আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভয়ংকর একটি রাতের কাহিনী।

প্লান্ট ব্রিডিং এন্ড জেনেটিকসের প্রাকটিকাল পরীক্ষার ভাইভা। এর পরই আমার পালা। প্রানপণে শেষ মুহু্র্তের পড়াগুলো আওরে নিচ্ছি। ভাইভা বেশ ভালই দিলাম মনে হচ্ছে বেশ রমরমা ভাব নিয়ে বের হতেই বন্ধুদের মুখে প্রথম যে কথাটা কানে আসলো তা হল ৩০মিনিটের মধ্যে হল ভ্যাকান্ট করতে হবে, কারফিউ জারি হয়েছে। (তখন ২০০৭ সালের তৎকালীন ছাত্র আন্দোলন চলছে, এবং তার জের ধরে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ১ ঘন্টার নোটিশে খালি করার আদেশ আসে)।

পরীক্ষার হল থেকে বিদ্যুৎ বেগে রুমে ফিরে রুমমেটদের বললাম। ওরা আগেই খবর পেয়ে রেডি। প্রক্টর এসে বললেন তোমাদের সাহায্যের জন্য একটা বাস বরিশাল শহর পর্যন্ত যাবে। ব্যাগটা গোছাতে যেটুকু সময় কিন্তু বাসে তিল ধারনের ঠাই নাই কোনো মতে হ্যান্ডেল ধরে ছাদে উঠে বসলাম। রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু।

চিন্তা করছি কোনো মতে বাস স্ট্যান্ড পৌছাতে পারলেই হল। কিন্তু দপদপিয়া ফেরিটা মিস্ করায় বেশ দেরী হয়ে গেলো। বাস যখন বরিশাল তখন ঘরিতে ৭টা৫৩। ৭ মিনিটে কোনো ভাবেই ঢাকার বাস স্ট্যান্ড পৌছানো যাবে না। চিন্তা করছি কি করবো? বরিশাল এক নানুর বাসা আছে কিন্তু ওখানে যেতেও প্রা্য় ১৫ মিনিট লাগবে তাই ভাবলাম একটা রিস্ক নেই সরাসরি লন্চঘাট গিয়ে লন্চে ঢাকা।

এদিকে বাসায় ও কোনো যোগাযোগ করতে পারছিনা মোবাইল নেটয়ার্ক বন্ধ। কোনো রিক্সা রাজিনা হওয়ায় পা হেটে রওয়ানা দিলাম। ঘরিতে ৮টা দশ। সুরা কালাম পড়ে হাটা শুরু করলাম। মেডিকেল কলেজ পার করার পর ফাকা গুলির আওয়াজ শুনলাম।

পুরো রাস্তায় আমি একা। এর মাঝে মনে হল আওয়াজটা আমার সামনে থেকে আসছে। পাশেই একটি পুরানো গাড়ির গ্যারেজ এবং লাকরি ঘর। কোনো রকমে পালালাম। সেনাদের গারিটা থিক আমার গ্যারেজের সামনে এসেই থামলো।

ওডের একজন বললো স্যার আমি ঠিক দেখেছি এখানেই ঢুকেছে। ততখনে আমি আমার হার্টবিট নিজেই শুনছি। সার্চ লাইটের আলো আমার সামনে দিয়ে পাশে রাখা লাকরির স্তুপে পরছে। আমার মনে হল আর শেষ রক্ষা বুঝি হল না। খোদার অশেষ রহমতে ওরা চলে গেলো।

মিনিট পাচেক ওভাবেই শুয়ে ছিলাম এর পর আলোর গতিতে দৌড় শুরু করলাম উদ্দেশ্য নানুর বাসার দিকে। নানুর বাসায় ঢুকেই আমি দরজায় ফিট হয়ে পরে গেলাম। পরদিন সকালে ঘুম ভাংলো রাফির চেচামেচিতে। এরপর বন্দিদশায় ৩ দিন কাটানোর পর কারফিউ শেষে ঢাকা আসি। ঐ রাতের কথা মনে হলে এখোনো আমার গা শিউরে ওঠে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

পল্এর পরই আমার পালা। প্রানপণে শেষ মুহু্র্তের পড়াগুলো আওরে নিচ্ছি। ভাইভা বেশ ভালই দিলাম মনে হচ্ছে বেশ রমরমা ভাব নিয়ে বের হতেই প্রথম যে কথাটা কানে আসলো তা হল ৩০মিনিটের মধ্যে হল ভ্যাকান্ট করতে হবে, কারফিউ জারি হয়েছে। (তখন ২০০৭ সালের তৎকালীন ছাত্র আন্দোলন চলছে, এবং তার জের ধরে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো ১ ঘন্টার নোটিশে খালি করার আদেশ আসে)। পরীক্ষার হল থেকে বিদ্যুৎ বেগে রুমে ফিরে রুমমেটদের বললাম।

ওরা আগেই খবর পেয়ে রেডি। প্রক্টর এসে বললেন তোমাদের সাহায্যের জন্য একটা বাস বরিশাল শহর পর্যন্ত যাবে। ব্যাগটা গোছাতে যেটুকু সময় কিন্তু বাসে তিল ধারনের ঠাই নাই কোনো মতে হ্যান্ডেল ধরে ছাদে উঠে বসলাম। রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু। চিন্তা করছি কোনো মতে বাস স্ট্যান্ড পৌছাতে পারলেই হল।

কিন্তু দপদপিয়া ফেরিটা মিস্ করায় বেশ দেরী হয়ে গেলো। বাস যখন বরিশাল তখন ঘরিতে ৭টা৫৩। ৭ মিনিটে কোনো ভাবেই ঢাকার বাস স্ট্যান্ড পৌছানো যাবে না। চিন্তা করছি কি করবো? বরিশাল এক নানুর বাসা আছে কিন্তু ওখানে যেতেও প্রা্য় ১৫ মিনিট লাগবে তাই ভাবলাম একটা রিস্ক নেই সরাসরি লন্চঘাট গিয়ে লন্চে ঢাকা। এদিকে বাসায় ও কোনো যোগাযোগ করতে পারছিনা মোবাইল নেটয়ার্ক বন্ধ।

কোনো রিক্সা রাজিনা হওয়ায় পা হেটে রওয়ানা দিলাম। ঘরিতে ৮টা দশ। সুরা কালাম পড়ে হাটা শুরু করলাম। মেডিকেল কলেজ পার করার পর ফাকা গুলির আওয়াজ শুনলাম। পুরো রাস্তায় আমি একা।

এর মাঝে মনে হল আওয়াজটা আমার সামনে থেকে আসছে। পাশেই একটি পুরানো গাড়ির গ্যারেজ এবং লাকরি ঘর। কোনো রকমে পালালাম। সেনাদের গারিটা থিক আমার গ্যারেজের সামনে এসেই থামলো। ওডের একজন বললো স্যার আমি ঠিক দেখেছি এখানেই ঢুকেছে।

ততখনে আমি আমার হার্টবিট নিজেই শুনছি। সার্চ লাইটের আলো আমার সামনে দিয়ে পাশে রাখা লাকরির স্তুপে পরছে। আমার মনে হল আর শেষ রক্ষা বুঝি হল না। খোদার অশেষ রহমতে ওরা চলে গেলো। মিনিট পাচেক ওভাবেই শুয়ে ছিলাম এর পর আলোর গতিতে দৌড় শুরু করলাম উদ্দেশ্য নানুর বাসার দিকে।

নানুর বাসায় ঢুকেই আমি দরজায় ফিট হয়ে পরে গেলাম। পরদিন সকালে ঘুম ভাংলো রাফির চেচামেচিতে। এরপর বন্দিদশায় ৩ দিন কাটানোর পর কারফিউ শেষে ঢাকা আসি। ঐ রাতের কথা মনে হলে এখোনো আমার গা শিউরে ওঠে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।