আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চ শিক্ষিত তরুনীর আত্মহত্যা ; অসহায়ত্ব নাকি নিজেকে লুকিয়ে পেলা?

আমি পড়তে ভালোবাসি উচ্চ শিক্ষিত তরুনীর আত্মহত্যা; অসহায়ত্ব নাকি নিজেকে লুকিয়ে পেলা? প্রশ্নটি করেছিলাম নিজের বিবেকের কাছে। উত্তর পাইপাই করেও পাওয়া হলোনা। কিভাবে হবে? এযে বাংলাদেশ এখানে প্রতিদিন বা প্রতিসপ্তাহে কিংবা প্রতি মাসেই যেন এধরনের দুএকটি ঘটনা ঘটা একেবারেই স্বাভাবিক বিষয়। এতে নেই কারো প্রতিরোধ মূলক হস্তক্ষেপ। আদৌ তা হবে কিনা তাও ভাববার বিষয়, থাক ওসব কথা মূল কথায় আশাযাক আজো একটি ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের একটি নামকরা বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ঘটনার বিবরনীতে জনতে পারলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ¡বিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়া এক ছাত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দীর্ঘ সময় রুমের ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকলেও হল প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে বান্ধবীরা নিজ উদ্যোগে নামায়। পরে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেয়ার পর সে মারা যায়। জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সোয়া একটায় বিশ¡বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের (৩৫তম ব্যাচ) ছাত্রী মারজিয়া জান্নাত সুমী হলের নিজ রুমের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি শহীদ জাহানারা ইমাম হলের ৩১৩ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্রী ছিলেন।

মারজিয়া জান্নাত সুমী অনার্সে (চুড়ান্ত পরীক্ষা) প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং গত ২রা আগষ্ট মাস্টার্স পরীক্ষাও শেষ করেছেন। তবে কেন আত্মহত্যা করেছেন এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। সহপাঠিরা জানান এক শিক্ষকের সাথে সম্পর্কের জের ধরে বিয়ে না করায় ও অত্মহত্যা করে। এদিকে হলের শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে সুমি ১৫ মিনিট ঝুলে থাকলেও হল প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়া হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসনের তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে নামিয়ে মেডিকেলে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহপাঠি কান্নাজড়িত অবস্থায় এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা যখন হল প্রশাসনকে বলেছিলাম সুমিকে নামাতে তখন নামালে ও বেচে যেত। হল প্রশাসনের গাফলতির কারনে ওকে হারাতে হল। এর বিচার চাই আমরা। " এটি আজকের একটি ঘটনা অতীতে এরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে ভবিষ্যতে যেন এরকম কোন ঘটনা না ঘটে সে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা সহ এ ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে সামাজিক সচেতনাতা সৃষ্টি করে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তির পথ চিরতরে বন্ধ করাই হোক আমাদের প্রত্যাশা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.