এক সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার স্ত্রী সামান্থা ক্যামরনকে নিয়ে ইটালিতে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। ঘুরতে ঘুরতে এরিজো এলাকায় ডলসিনেরো রেস্টুরেন্টে তারা যান কফি পান করতে। কফির অর্ডার দিয়ে স্বামী-স্ত্রী রেস্টুরেন্টের বাইরে পেতে রাখা চেয়ারে এসে বসেন। কফি তৈরী হতে একটু দেরী হচ্ছে দেখে ক্যামেরন ভেতরে ঢুকে একজন ওয়েট্রেসকে (পরিচারিকা) বলেন কফিটা তৈরী হলে যেন তাদের টেবিলে তিনি দিয়ে আসেন। তারা বাইরে বসে আছেন বলে জানান।
কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখের সামনে আরিয়ানি নামের ওই পরিচারিকা বলে দেন, তিনি ব্যস্ত। তাই কফিটা হলে যেন তিনি নিজেই উঠে এসে নিয়ে যান। কি আর করা। কিছুক্ষন পরে এসে ক্যামেরন তাদের কাপ নিয়ে যান। কিন্তু তিনি চলে যাবার পর বিশ্বের বহু পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়।
সাংবাদিকের আরিয়ানি জানান, তিনি ক্যামেরনকে চিনতে পারেননি। কিন্তু বিল দেয়ার পর ক্যামেরন তাকে বখশিস (টিপস) না দিয়ে চলে যাওয়ায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন বলে জানান। আরিয়ানি বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কাউন্টারে বিল মেটানোর সময় খুচরো পয়সাগুলোও নিয়ে হাটা দিলেন! সেগুলো তো আমাকে টিপস দিতে পারতেন! তার বিল হয়েছিল ৩ দশমিক ১০ ইউরো। তিনি ৫০ ইউরোর নোট দেন। কাউন্টারম্যান বাকি অর্থ ফেরত দেয়ার পর তিনি সব নিটে হাটা দেন!
এই খবর ব্রিটেনে ফেরার পর পত্রিকায় পড়েন ক্যামেরন।
তিনি ‘লজ্জা’ পেয়ে রবিবার তার কন্যা ন্যান্সিকে নিয়ে ইটালিতে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি আরিয়ানিকে খুজে বের করেন। এবার তিনি আরিয়ানিকে বলেন তার জন্য একটা বিয়ার এবং আরিয়ানির নিজের জন্য একটা সফট ড্রিংকস আনতে। পান শেষে ফিরে যাবার সময় ক্যামেরন আরিয়ানিকে ৫ দশমিক ১০ ইউরো বকশিস দেন। তার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটান এবং ছবিও তোলেন।
- দ্য টেলিগ্রাফ।
ইওেফাক সংবাদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।