Click This Link
উলফা’কে অস্ত্র সরবরাহ দিয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট একটি সংস্থা। অত্যাধুনিক সেইসব অস্ত্র জাহাজে করে এসে নামতো বাংলাদেশে। তারপর তা স্থলপথে ট্রাকে করে পৌঁছে যেতো উলফার কাছে। এ কথা বলেছেন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (উলফা)-এর চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া। তিনি ভারতের অনলাইন হিন্দুস্থান টাইমসকে গত শুক্রবার এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন।
তিনি বলেন, একবার চট্টগ্রামে অস্ত্রের বিপুল একটি চালান ধরা পড়ে যায়। বেশ কয়েকটি জাহাজ জব্দ করা হয়। অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার ভয়ে অস্ত্র বোঝাই একটি জাহাজ সাগরের পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু অনেক চালানই সফলভাবে হস্তগত হয়েছে। অরবিন্দ রাজখোয়া বলেন, বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) আমাকে গ্রেপ্তার করে।
এখন তারাই জব্দ করা ওইসব অস্ত্র ব্যবহার করছে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন উলফা’র অনেক গোপন কথা। উলফা’র নেতৃত্ব পর্যায়ের কোন নেতার এটাই প্রথম এমন ধরনের স্বীকারোক্তি। অরবিন্দ রাজখোয়া (৫৭) বর্তমানে অসমের রাজধানীতে অবস্থান করছেন। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় উলফার নেতৃত্বদানকারী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট একটি গোষ্ঠী ১৯৯০ সাল থেকে তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে। তার দাবি, ওই অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার কারণে তারা জনগণ থেকে আলাদা হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে এতে আঘাত লাগে। আমরা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরশীল হতে শুরু করি। কেন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল উলফা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অসমে গণতন্ত্রের শূন্যতার কারণেই উলফা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের অব্যাহতভাবে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছিল রাষ্ট্রীয় মদতে। অন্যদিকে অসমীয় জনগণ তাদের নিজভূমে নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলছিল। তারপরও আমরা জানতাম সামরিক উপায়ে সমাধান সম্ভব নয়। ২০০৯ সালের ৩০শে নভেম্বর র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে তাকে ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষাকারী সংস্থার হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে নিজেদের সংগঠনের মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
উলফার কেন্দ্রীয় কমিটির অজ্ঞাতে অনেক চুক্তি হয়েছে। এতে বাণিজ্যিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে অস্ত্র সংগ্রহ প্রতিটি বিষয়ে মারাত্মক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। উলফা ছিল অস্ত্র সংগ্রহের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। কিন্তু নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও ত্রিপুরায় আমাদের সমমনাদের সঙ্গে অবিশ্বাস সৃষ্টি হতে থাকে। উলফা প্রধান আরও দাবি করেন, উলফাকে আন্তর্জাতিক মহলে যারা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের একজন পূর্ব তিমুরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হোসে রামোসন হোরতা অন্যতম।
তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৫, ’৯৬ এবং ’৯৮ সালে জাতিসংঘে গিয়েছিলাম। আমরা জেনেভাতে ব্যাপক সমর্থনও পেয়েছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।