কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি। পৃথিবীর নানা বিস্ময় আর জ্ঞানভাণ্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে জাদুঘর। মানুষের অপরিসীম জ্ঞান তৃষ্ণা আর বুদ্ধিবৃত্তিক নির্মাণের অগণিত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিখ্যাত সব জাদুঘরে।
আপনি যদি প্যারিস যান তবে মোনালিসার ছবি দেখার জন্য ল্যুভর মিউজিয়ামের সামনে আপনাকে থমকে দাঁড়াতে হবেই। এমনই সব আকর্ষণে বোঝাই বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি জাদুঘরের কথা জেনে রাখুন
ইতিহাস, স্থাপত্য, কলা, ধর্ম ও মহাকাশ বিষয়ক জ্ঞান পিপাসা মেটানোর জন্য আপনি যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’তে অবস্থিত স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরে।
মিশরে পাবেন বিখ্যাত প্রতœতাত্বিক জাদুঘর। মিশরের প্রতœতাত্বিক নিদর্শনের সবচেয়ে বড় সংগ্রহশালা এটি। এখানে গিয়ে তুতেনখামেনের ভাস্কর্য এবং মমি কক্ষে যেতে ভুল হবে না আপনার মোটেও।
এছাড়া পিকাসো, সারভাদর ডালিসহ বিশ্বের বিস্ময়কর শিল্পকর্মের দর্শন পেতে পারেন স্পেনের বার্সেলোনা জাদুঘরে।
নিউইয়র্কে অবস্থিত আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি যে কোন বয়সী জাদুঘর প্রেমীকে কাছে টানবেই।
ভ্যাটিক্যান সিটিতে অবস্থিত ভ্যাটিক্যান জাদুঘর একটি ক্যাথলিক চার্চের সংগ্রহশালা যা বিশ্বের প্রথম সারির জাদুঘরের একটি। তবে এটি শুধু প্রতি মাসের শেষ রোববার দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
এবার আসি বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়্যামের কথায়। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দর্শণার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয় এ শিল্প জাদুঘর। এখানে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনলিসা চিত্রকর্মটিসহ প্রায় ৩৫ হাজার চিত্রকর্ম রয়েছে।
এগুলো দেখতে দেখতে বিমোহিত কারো কয়েক ঘণ্টা, কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
কানাডায় পাবেন ব্যতিক্রমী এক জাদুঘর, নাম রয়েল ওন্টারিও মিউজিয়াম। একে বাটা শো মিউজিয়াম হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখানে রয়েছে জুতা ও মোজার সংগ্রহশালা এবং জানতে পারবেন জুতার ইতিহাস।
বিশ্বে জাদুঘরের অন্যতম ক্ষেত্র জার্মানির বার্লিন।
গত দশকে এখানে ২৭ টি জাদুঘর পুনরায় চালু হয়েছে, আবার নতুন করেও খোলা হয়েছে কয়েকটি। এখানে উল্লেখ করার মত ব্যতিক্রমী দুটি জাদুঘর রয়েছে। এন্টি-ক্রিগজ-মিউজিয়াম বিশ্বের প্রথম যুদ্ধবিরোধী জাদুঘর। এছাড়া বার্লিনে রয়েছে যৌন উত্তেজক একটি জাদুঘর, নাম বেথে উসে ইরোটিক জাদুঘর। এখানে ছবি, চিত্রকর্ম এবং ৫ হাজার দেহশৈলীর চিত্রকর্মের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন ২ হাজার বছরের যৌন ভাবনা।
লন্ডনে জাদুঘরের কথা আলাদভাবে বলার কিছু নেই। এখানে শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও ইতিহাস জানতে ঢুঁ মারার জন্য রয়েছে বেশ কিছু জাদুঘর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মিউজিয়াম অব লন্ডন, লন্ডন ট্রান্সপোর্ট মিউজিয়াম ও ডিজাইন মিউজিয়াম।
বিস্তারিত এখানে দেখুন
সূত্রঃ সুখবর২৪.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।