আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা শুধু “ভাত তন্ত্রই” শুধু বুঝি!!

১)“এ কর্মসূচী গনতন্ত্রকে রক্ষার জন্য,দেশের গনতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন.........” ২)“তারা দেশে গনতন্ত্র চায় না......এ দলের জন্মই হয়েছিল অগনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়.........” সবাই দেশে গণতন্ত্র চায়। তবে একটা দেশে যখন ফাঁসির আসামি রাজনৈতিক পরিচয়ে বের হয়ে যায়,ছয় জন ছাত্র যখন বিনা বিচারে “গনপিটুনিতে”(!) প্রাণ হারায়,চিনির দাম বাড়তে বাড়তে যখন চিনি তিতা লাগে তখন দেশে আর যাই থাকুক না কেন দেশের মানুষ শান্তিতে নাই। সে দিন পত্রিকায় দেখলাম বিরোধী দলীয় নেত্রীর সেই আলোচিত বাড়ীতে বহুতল ভবন নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে ভাবছি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প যখন বছরের পর বছর আলোর মুখ দেখে না,একটা হাসপাতালের এম্ব্যুলেন্স কিনতে যখন বছর চলে যায় তখন এই কাজগুলি কত দ্রুত হয়!!এর অর্থ কিন্তু একটাই যে সরকার চাইলে যে কোন কাজই তাড়াতাড়ি সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইদানিং পুলিশের ভুমিকা আরও প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে। কে জানে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রকেও বিরোধী দলের লোক মনে করছে!!যখন একটা ছাত্র বলে “পুলিশের পা ধরে বলছি আমাদের বাঁচান কিন্তু পুলিশ লাথি দিয়ে আমাকে ফেলে দেয়”-এ কথা শোনার পর আপনি ঠিক থাকতে পারলেও আমরা পারি না,বিবেকের দংশন হয়,আপনার এক নির্দেশের পরও তারা দায়িত্ব ঠিক মত পালন করবে না এ কথা বিশ্বাসযোগ্য না।

কিন্তু এ কথা শোনার সময় আপনার কই???আপনি তো বিরোধী দলকে সাইজ করতেই ব্যাস্ত,আর তারা ব্যাস্ত গদি ঠিক করতে!!এত কিছুর পরও আমরা আশায় থাকি কিন্তু যখন অনিয়ম এত বেড়ে যায় তখন কপালের দোষ দেই। হঠাৎ দেশে অপরাধ বেড়ে গেছে,এ কথা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী না স্বীকার করলেও আমরা বুঝি। সম্প্রতি মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ক্ষমা পেল, আমার প্রশ্ন একটা মানুষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ,আদালত তার প্রমান পেয়ে ফাঁসিও দিল সে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে বের হয়ে যাবে আমরা কিভাবে মেনে নেব???রাষ্ট্রপতির কাছে এই সব তদবির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় হয়ে যায়,আপনার সাথে পরামর্শও নাকি প্রয়োজন হয়,তাহলে একটাই কথা জাতির জনকের হত্যাকারীদের যদি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেয়???কিংবা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার আসামীরাও যদি পাড় পেয়ে যায়???আর এ পরিনতি কিন্তু আপনারাই ডেকে এনেছেন,আর এমনটাই হবে। সরকার পরিবর্তন হলে তো আমরা এই ব্যাপার গুলা খুব ভাল করেই দেখি!!! শেষ কথা,দেশের মানুষ প্রতিবার পরিবর্তনের আশা নিয়ে ভোট দেয় আর আশাহত হয়,এই সরকার যে ভাবে শুরু করেছিল তাতে আমরা আশা করতে বাধ্যই ছিলাম,কিন্তু আড়াই বছর পর আরেকবার আমরা প্রতারনার শিকার। আমরা কিন্তু গনতন্ত্র বুঝি না ভাততন্ত্রই বুঝি চিনির দাম কমিয়ে দেন,২ বেলা ভাত নিশ্চিত করেন,রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন,সুশাসন নিশ্চিত করুন তখন আপনি সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক এ কথা আপনারও বলতে হবে না দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে বলবে।

৩০ টাকার চালের প্রতিশ্রুতির জন্য সামনের নির্বাচনে প্রতীকও বদলে দেব। অনেকেই বলে এই দুই দল থাকতে নাকি দেশে কিছু সম্ভব না,কথাটা বোধহয় সত্যিও কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এমন চিন্তা ধারার লোক নগন্য!!সামনের নির্বাচনে ভোট দেব কিন্তু কাকে দেব খুজে পাই না!!! একটা কথা বলে লেখা শেষ করছি ঃ- ফেসবুকে একটা জরিপ এ প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে কোথায় দূর্নীতি সবচেয়ে বেশি?? পুলিশ??সচিবালয়???বিদ্যুতখাত??? হায়রে কপাল আমি শেষ পর্যন্ত “ALL” ক্লিক করতে বাধ্য হলাম!!!একটা জায়গায় এসে জনগন বোধহয় আটকে গেছে,নিরুপায় আমরা সব বুঝে,একই পরিনতি জেনেও ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যর্থ!! (প্রথম ব্লগ তাই যে কোন মতামত মাথা পেতে নেব) নিবেদকঃমানস নাগ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.