দেশের রাজনীতি দেখি... শীর্ষ নিউজে কয়েকদিন আগে দেখলাম খালিদ নামে এক রিপোর্টার কে চাকরিচ্যুত করা হলো। বলা হলো তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হলো।
আজ আবার ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হলো, খালিদের বিরুদ্ধে অর্থ বা অন্য কোন লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এটা ঠিক না সম্পাদক সাহেব।
খালিদকে অব্যাহতি দেয়া সম্পর্কে শীর্ষ নিউজের ব্যাখ্যা
সম্পাদক একরাম সাহেব বা খালিদ আপনাদের দু’জনের কাউকেই আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না।
তারপরও
এবার আসি আপনার ব্যখা প্রসঙ্গে - - - - -
শীর্ষ নিউজের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার খালিদ হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে তিনি কী কারণে গত ২০ জুলাই গভীর রাতে একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে ভুল, বিপরীতধর্মী এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করেছেন- এর জবাব খালিদ দিতে পারেননি।
ওকে মানলাম।
বিভ্রান্তিমূলক যে প্রতিবেদনটির কারণে খালিদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়, সেই ধরনের ঘটনা আদৌ তার রিপোর্টিং দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে না।
এটা মানলাম না।
রিপোর্টারের কি দায়িত্ব আর কি দায়িত্ব না সেটা আপনার আরো ভাল ভাবে জানা উচিত। রিপোর্টারের দায়িত্ব খবর দেয়া। সেটা যে কোন বিষয়েরই হতে পারে।
আর বিএনপি বিটের রিপোর্টারকে দিয়ে খালেদার বাড়ি ছাড়ার রিপোর্টিই কি করানো হয়নি?
অবশ্যই হয়েছে। তো তারেক রহমান পালাইলো না দেশে ফিরে আসলো সেটা বিএনপি বিটের সাংবাদিকের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।
উপরন্তু, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেদনের তথ্যগুলো সম্পর্কে কোনরকমের কনফার্ম করা হয়নি। এ বিষয়ে কারো বক্তব্যও নেয়া হয়নি। যে কারনে শীর্ষ নিউজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে।
স্পর্শকাতর কেন মনে হইল কারন সম্পাদক সাহেবের বাপ তারেক রহমানকে নিয়ে কথা, তাই। ওকে মানলাম।
কিন্তু লেখলেন কনফার্ম করা হয়নি। আরে শীর্ষ নিউজ কখনও কোন নিউজ কনফার্ম করে নাকি ?
হুজুগে নিউজ দেয় শীর্ষ নিউজ। তার পরও অনেক সময়ই আগে আগে দেয় জন্য খানিকটা জনপ্রিয়তা আছে। আমিও এজন্যই শীর্ষ নিউজ দেখি।
যাই হোক আপনিও তো খালিদকে চাকরিচ্যুত করার জন্য লেখলেন অনেক অভিযোগ প্রমান হয়েছে।
এখন আবার বললেন অর্থ সংলগ্ন কোন অভিযোগ প্রমান হয়নাই। তাহলে কনফার্ম না করার কারনে সম্পাদক আপনারও তো চাকরি যাওয়া দরকার।
লেখলেন কারো বক্তব্য নেয়া হয় নাই, মানে কি? আপনারা কারো কোন ধার ধারেন নাকি। সারাজীবন লেখলেন সূত্র জানায়। এখন কন কারো কমেন্টস নাই।
ভালো।
শীর্ষ নিউজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে কথাটা দেখে হাসি পাইলো। আরে সারা জীবন মানুষের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা হাবাজাবা লিখতেছেন তাতে কি তাদের কিছু হয়না ???
তীয়ত, রাতের ১০টার পর এ ধরনের নিউজ ছাড়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে। অথচ, খালিদ রাতের আড়াইটায় এ প্রতিবেদনটি ছেড়েছেন এবং তা প্রকাশের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সাব-এডিটরের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন।
চতুর্থত, শীর্ষ নিউজের একই বিটের সিনিয়র রিপোর্টার ইমরান মজুমদারের সঙ্গে খালিদ রাতের ১টার দিকে এ নিউজটি সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি এ প্রতিবেদনের তথ্য এতো রাতে কনফার্ম করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন।
সকালে তথ্য কনফার্ম করে নিউজ ছাড়ার পরামর্শ দিলে খালিদ তাও মানেননি।
এই অংশটা পড়ে মনে হল ছেলে খুব এ্যকটিভ ছিল। পারফেক্ট ছিল অনলাইনের জন্য। সে ইমরানকে ফোনও করেছিল। অবশ্য ইমরানকে বলে তো কোন লাভ নেই।
কারন ও বেটার মনটাই খারাপ হইছে এই খবরটা শুনেই যে আহারে আমার নেতা পালাইল আর এরা খবর দিয়ে দিলো।
আর কনফার্ম করা যাবে না কেন? আমাদের রাত মানে লন্ডন-ফ্রান্সে সন্ধ্যা তাই না? সোর্স থাকলে সেটাতো সম্ভবই।
আচ্ছা এখন একটা কথা মনে হলো, এখন আপনারা কি কনফার্ম তারেক রহমান পালাননি, লন্ডনেই আছেন। নাকি পালানোর তথ্যটা লুকাতেই খালিদ সংশ্লিষ্ট নাটক করছেন সম্পাদক, জানি না।
খালিদের এহেন কর্মকা- শীর্ষ নিউজের স্বার্থের পরিপন্থি এবং ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য যেসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হয়নি।
বাহ স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ শীর্ষ নিউজ বিএনপি-জামায়াতের স্বার্থ দেখে। আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের জন্য শীর্ষ নিউজ না।
পরিশেষে সম্পাদক সাহেব, আপনাকে বলি . . . . ছেলেটার চাকরি খাইছেন, গালি গালাজ করছেন, ভালো কথা , , , , নিউজ করে দেয়াটা ঠিক হয় নাই। অবশ্য আপনি যে আপনার বিএনপি-জামাতের বাপদের মনফেরাতে নিউজ এত ঘটা করে দিচ্ছেন তা আমরা জানি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।