বরগুনা, ২৪ জুলাই (শীর্ষ নিউজ ডটকম): বরগুনায় জামায়াতে ইসলামী প্রকাশিত দুটি বইয়ের সহস্রাধিক কপিসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। বই দুটির শিরোনাম হলো_ 'জামায়াত এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ভিত্তিহীন' এবং 'বানোয়াট এবং মানবতা বিরোধী কালো আইনে জামায়াত শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিচারের নামে প্রহসন'। আটককৃত ব্যক্তির নাম আল-আমিন। এ ঘটনার পরপরই বরগুনার জামায়াত নেতৃবৃন্দ গা ঢাকা দিয়েছেন।
বরগুনা থানা সূত্র জানিয়েছে, বোরবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বরগুনার টাউন হল এলাকায় পুলিশের টহলরত একটি দল সন্দেহবশত একটি রিকশা থামিয়ে রিকশায় থাকা বস্তা খুললে জামায়াত ইসলামী প্রকাশিত ১ হাজার ৪০টি বই উদ্ধার করে।
বরগুনার থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, বস্তায় 'জামায়াত এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ভিত্তিহীন শিরোনামে এক হাজার এবং মানবতা বিরোধী কালো আইনে জামায়াত শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিচারের নামে প্রহসন শীর্ষক ৪০টি সহ মোট ১ হাজার ৪০টি বই পাওয়া গেছে। বইগুলোর প্রকাশক জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। 'মানবতা বিরোধী কালো আইনে জামায়াত শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিচারের নামে প্রহসন' বইটি ৫০৪/১ বড়মগবাজার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং মুদ্রণে আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৫২৩, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা লেখা রয়েছে। এর প্রকাশ কাল আষাঢ় ১৪১৮, মূল্য লেখা আছে ৩০ টাকা। 'জামায়াত এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ ভিত্তিহীন' বইটিতে শুধু জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ লেখা এবং মূল্য-১০ টাকা লেখা রয়েছে।
উভয় বইয়ের লেখক আবু তাহের মুহাম্মাদ মাসুম।
বই বহনকারী আল-আমিনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা থেকে বাসে করে একজন লোক বইগুলো নিয়ে এসে টাউনহল বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় উঠিয়ে দেয়। বইগুলো নুরে হেরা দাখিল মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
তিনি আরো জানান, বইগুলো নিষিদ্ধ কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনার পর ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াত নেতৃবৃন্দকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।