বেপোয়া মানুষ ১৫ কোটির বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই দেশটির ৯০ শতাংশই মুসলমান। দেশটির এই আদর্শগত দ্বন্দ্ব এখন প্রায় সংঘাতের দিকে গড়িয়েছে বা গড়াচ্ছে। দেশটির মানুষ কোন আদর্শকে গ্রহণ করবে; অসাম্প্রদায়িক আদর্শ না কি ইসালামী আদর্শ- এই দিশা খুঁজতেই মূলত এই দ্বন্দ্ব। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সংস্কারের পথেই এগিয়ে চলছে। এই চলার পথে ক্রমাগত কাঁটা বিছিয়ে চলছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

এই দলটির বিরুদ্ধেই রয়েছে মৌলবাদী সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতার গুরুতর অভিযোগ। সরকারকে মোকাবেলার কৌশল হিসেবে এ পন্থা অবলম্বন করেই তারা ধর্মের তাস খেলতে চাইছে। এ রকমই একটি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটি সর্বপ্রথম ২০১০ সালে আত্মপ্রকাশে আসে। তখন একটি অসাম্প্রয়াদিক শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে এর পথচলা শুরু।

এই সংগঠন পরিচালিত হয়েছে জামায়াতে ইমলামীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ ও সহায়তায়। সেদেশে জামায়াতে ইসলামী এমন একটি রাজনৈতিক দল, যার আদর্শই হলো দেশকে ইসলামী বিধান ও শরিয়ার ভিত্তিতে পরিচালনা করা। করেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সহায়তা নিয়েই মূলত এই দুটি মৌলবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠী এখনও টিকে আছে। বলতে গেলে বিএনপির সহায়তাই তাদের অক্সিজেনের যোগান দিচ্ছে।

তাদের এখন লক্ষ্যই হলো যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় বসা, যা দেশটির উন্নয়নকে ব্যাহত করবে। তারা বর্তমান গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিবর্তে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যা মূলত তাদের চলার পথকেই সুগম করবে। ’ ।