২. ব্যক্তির চেতনা একটু হলেও লুপ্ত হয় যখন সে কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকে। ১. যদি চতুর্দিক বন্ধ নিরেট পাথরের ভিতরেও কেউ ভাল কাজ করে, তবু সেটার কল্যাণ পৃথিবীতে ছড়াবেই। (এটি হাদিস। ) ০.সাপের মাথা বাদে বাকি পুরোটাই লেজ। সো, লেঞ্জা ইজ কোয়াইট ইম্পসিবল টু হাইড।
অপকর্মের সময় যে রেফারেন্স দেয়া হয় সেই ঘটনার শুরু মহানবী দ.'রও আগে থেকে। তরুণ ইব্রাহিম আ. ছুটে এলেন পিতা তারখের মৃততুর পর যাঁকে পিতা ডাকতেন সেই চাচা আযরের মূর্তিগুলোর সামনে। আযর ছিলেন ব্যাবিলনিয়ার ভাষ্কর। তাদের সভ্যতায় তখন যে আইডলের পূজা বেশি করা হত তার নাম ছিল শস্যদেব স্যাটান, শাইত্বোয়ান।
আব্রাহাম আ. নিজের বাসায় মূর্তি ভাঙলেন।
রাসূল দ. আদম আ. ও ইব্রাহিম আ.-ইসমাঈল আ. নির্মিত-সংস্কারকৃত ক্বাবা ঘরের ৩৬০ মূর্তি ধ্বসালেন।
এই বিষয়টা রেফারেন্স হয়ে গেল।
যে, ইসলামে পরধর্মের মূর্তি ভাঙা, পরধর্মের উপাসনালয় ভাঙা অত্যন্ত পূণ্যের কাজ।
রেফারেন্স হিসাবে গৃহীত হল মিলিট্যান্ট মুসলিমদের কাছে এবং ইসলামোফোবিকদের কাছে।
কিন্তু অর্ধসত্য যে মিথ্যারচেও ভয়ানক! ফিতনা যে ক্বতল থেকেও ভয়ানক!
আজকের মুসলিম শিক্ষিত সমাজ মুখ লুকিয়ে চলে।
তারা মনে করে, তাদের নবীরা এমন কিছু কাজ করেছেন, যা মুখ ফুটে বলা যায় না। আসলে যে এটা আমাদের জানার অভাব, এই কারণেই একদিন আমরা নিজেরাও ধর্ম সম্পর্কে আরো উদাস হয়ে পড়ব সে কথা কি আর ভাবি?
আমরা পরিবারে নিজের বাবা-চাচার উপর জোর খাটাই। যদি দেখি বাবা-চাচা ধূমপান করছেন, আমরা তাদের মুখ থেকে সিগারেট কেড়ে নেয়ার অধিকার রাখি।
কিন্তু রাস্তায় চলা একটা মানুষের মুখ থেকে নয়।
ক্লিয়ার কনসেপ্ট।
আর এই ক্লিয়ার কনসেপ্ট আমাদের মত নামে 'মুসলমানরা' বুঝতেও পারছেন না, মিলিট্যান্ট মুসলিমদেরও জবাব দিতে পারছেন না, ইসলামোফোবিকদেরও জবাব দিতে পারছেন না।
ইব্রাহিম আ. বা নবী দ. যেখানে সেখানে মূর্তি ভেঙেছেন?
তাঁদের সুযোগ ছিল যেখানে সেখানে মূর্তি ভাঙার। ইতিহাস বলে। ভেঙেছেন? নাকি শুধু নিজের বাড়ির ভিতরে?
যেখানে পরধর্ম নিয়ে বিন্দুমাত্র কটাক্ষ করতে বুখারি-মুসলিম-আবু দাঊদ থেকে শুরু করে সব গ্রন্থে এমনকি কুরআনেও এইসব কথা আছে, যার যার ধর্ম তার তার। তোমরা সহনশীলতার সাথে মানুষের কাছে এগিয়ে যাও।
তোমরা শুধু আমন্ত্রণ জানাও। তোমরা কক্ষনো কটাক্ষটা পর্যন্ত করো না পরধর্মের দেবদেবীদের বিষয়ে, সেখানে...
স্বয়ং রাসূল দ. রাষ্ট্রেরও নায়ক ছিলেন এক পর্যায়ে। কই, তাঁর রাষ্ট্রে তো অগ্নিপূজারী নিজের আরাধনা করেছে। নক্ষত্রপূজারী নিজের আরাধনা তো করেছে। প্রতিমাপূজারীও।
করেছে ইহুদিও। খ্রিস্টান তো মসজিদে নববীর ভিতরেই তাঁর অনুরোধে প্রার্থনা করেছে।
অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও ভয়ানক। বিভ্রান্তি হত্যার চেয়েও ভয়ানক।
ইসলামকে রক্ষা করতে হলে অপভ্রংশ ইসলামের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।