মেন্টাল উন্ডস নট হিলিং লাইফ'স আ বিটার শেইম আই এম গোইং অফ দ্যা রেইলস অন আ ক্রেজি ট্রেইন !! ব্লগ, ফেসবুকের কল্যানে এখন মানুষের ভাবনাচিন্তা জানা অনেক বেশি সহজ। আর এই ভাবনা চিন্তা জানতে গিয়ে একটা বুঝতে পারলাম, আমরা কমবেশি সবাই হিপোক্রেট। ভিকারুননিসার ঘটনায় ব্লগে, ফেসবুকে বেশ আলোচনা, সমালোচনা হচ্ছে।
► “হুম হুম! মেয়েটারই দোষ! এমন জামা কাপড় পড়ে গেলে তো এসব হবেই!”
► একজনের মেয়ের কমেন্ট: seduce করলেই সব পুরুষই পরিমল!
► একহাতে তালি বাজে না
► পর্দা শুধু মেয়েদের না, ছেলেদেরও করতে বলা হয়েছে।
► ছেলেরা পশু! না না! পশুর চেয়েও অধম!
►সবই অপসংস্কৃতির ফল।
নানা জনের নানা মত। নিজের দোষ আছে এটা স্বীকার না করে যখন, পাপের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখি তখন আর ভালো লাগে না।
“বয়ফ্রেন্ড বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিডিও প্রকাশ করলো” এটা নিয়ে হাউকাউ চিল্লাফাল্লা। আমরা বলি! ছি ছি! খুব খারাপ! জঘন্য! আর সে মেয়ে যে নিজেই নিজের সাথে, নিজের বাবা-মা এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো?? সেটা না হয়, বুঝলাম আধুনিক সময়ের হাওয়া, প্রেমিকের সাথে লুটোপুটি করলেও কিছু না। কিন্তু যে সব ভদ্রলোকের বাচ্চারা ঐ ভিডিও দেখলো, তারা? তাদের কোন দোষ নেই??
কিছু কিছু মেয়েরা অশালীন জামা পড়ে, তাই বলে অনেকের ঈমানে টান লাগে! ওরে মাদারি! তোমার ঈমান যদি এতই মজবুত হয় সামনে দিয়ে ন্যাংটা কেউ গেলেও তুমি নিজেকে ঠিকই কন্ট্রোলে রাখতে পারবা।
হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদের সেনাবাহিনীর মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে কাফিররা বিবস্ত্র নারীদের পথে পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু, একজন মুসলিম সৈন্যের মনোযোগও নষ্ট করতে পারেনি।
তাঁরা কি বলতে পারতেন না, “আমরা তো নিজেদের ঠিকই সামলে রাখতে চাই, কিন্তু সামনে একটা ন্যাংটা দাঁড়ায় থাকলে কি করবো?” নিজের ঈমান ঠিক রাখার জন্য ভরসা করতে হচ্ছে আরেকজনের উপর!
আমার ঈমান যেন ঠিক থাকে সে জন্য আমার সামনে দিয়ে হেটে যাওয়া মেয়েকেও ঈমানদার হতে হবে?
গ্রামের যে স্কুল ছাত্রী ইভটিজিং এর শিকার– সেও কি পোশাকের দোষে victim!মানসিক বিকারগ্রস্থদের জন্য পোশাক, সম্পর্ক কোন ব্যাপার না। নিজের আত্মীয়, বোন, ছাত্রী, পুত্রবধু এমনকি নিজের মেয়েও নিরাপদ না, এই সব বিকারগ্রস্থদের হাত থেকে।
ছেলেরা চাইছে মেয়েরা বোরকা পড়ুক, কিন্ত নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে মনে থাকে না।
মেয়েরা চাইছে “স্মার্ট” পোশাক পড়তে, সাথে চাইছে ছেলেরা যেন খারাপ দৃষ্টিতে না তাকায়।
হিপোক্রেসি টা এখানেই। আমি নিজে ধর্ম মানিনা, কিন্তু আশা করছি আশেপাশের মানুষ ধর্ম মেনে চলুক!!!
এখানে কোন উপদেশ দেইনি। নীতিকথা শুনে নিজেই ক্লান্ত, বিরক্ত। আরেকজনের দোষ খুঁজতে গেলে আমরা সবাই সাধু।
নিজেই যে সে দোষে হাবুডুবু খাচ্ছি, সে ব্যাপারে কোন হুঁশ নেই। গালি না দেওয়ার উপদেশ দিতে গিয়ে এক জন আরেকজনকে বলে, “চুদির ভাই! যদি শুনি তুই আর কোন দিন কাউরে গালি দিসোস, তোর টেংরি ভাইঙ্গা হাতে ধরাই দিমু”
মূল: ফেবুক নোট: Click This Link - রাফিদ ওয়াহিদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।