আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খয়রাতি সাহায্য নিয়ে পাহাড় পর্বতে উঠে লাভ কি?

রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই শিরোনাম টা শুনে অনেকেই হয়ত আমাকে এক চোট গালি দিয়ে নিলেন। যারা গালি দিলেন, তাদের আগাম ধন্যবাদ। এক মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে উঠার জন্য প্রায় ৩০ -৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, অনেক ধার দেনা করে এটা জোগাড় করেছেন। এর পর আরো একজন (মুহিত) এভারেস্টে উঠলেন, তাদের দেখাদেখি আরো অনেকেই এভারেস্টে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

যদি আপনার নিজের অলস টাকা পড়ে থাকে, বাপের টাকা থাকে, তাহলে পাহাড়ে, সমুদ্রে যেখানে ইচ্ছে যান, কারো কিছু বলার নেই। যদি আপনি ধার দেনা করে, চাঁদা তুলে এভারেস্ট যাওয়ার চিন্তা করেন, তবে আপনাকে বলবো, এই বার মাফ করেন। এর আগে বাংলাদেশ থেকে কেউ উঠে নাই, মুসা এভারেস্টে গিয়ে সেই কাজ করে ফেলল। এর পর বাকীদের এতো এতো টাকা খরচ করে যাওয়ার দরকার টা কি? শুনলাম অনেকে প্রশিক্ষণও নিচ্ছে। এই সব আসলে ব্যবসায়ীক চিন্তাভাবনা।

তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অনেকে বিজ্ঞাপনও বানাচ্ছে, রোড শোও করছে। খেয়াল করে দেখেন, এভারেস্টে যারা উঠেন, দক্ষিণমেরু, উত্তরমেরুতে যারা যারা যান, তাদের ৯০% ই ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। বাকী ১০% হয়ত গরীব দেশের ধনীর দুলাল। তারা এডভেনচার প্রিয়, অঢেল ইনকাম, বছর শেষে পাহাড়ে চড়ে টাকা খরচ করতে আসে। কিন্তু আমাদের মতো গরীব দেশের মানুষ জনের জন্য ৩০-৪০ লক্ষ টাকা বিলাসীতার পর্যায়ে পড়ে।

২-৩ লাখ টাকার জন্য কতজন হার্টের চিকিৎসা করাতে পারছেন না, সেই খানে আমাদের দেশের মানুষরা এতো টাকা খরচ করে এভারেস্টে যাওয়া কতটুকু দরকারী? এভারেস্ট যাওয়াটা এখন ব্যক্তিগত অর্জন ছাড়া আর কিছু নয়। এটা দিয়ে দেশ ও দশের কোনো উন্নতি সাধন হয় না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।