শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় এ অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেন তিনি। চাঁদা দাবি এবং তা না পেয়ে হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়, যার নম্বর ৪২।
পুলিশের উপকমিশনার (রমনা বিভাগ) মারুফ হোসেন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রনির অফিসে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে আটকে মারধর করা হয়।
অপরাধবিষয়ক অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘তালাশ’ এর সংবাদ সংগ্রহের জন্য তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় বিকেলে রনির বিরুদ্ধে মামলা করে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। ওই মামলায় রনিসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার নম্বর ৪১।
সরকার দলীয় এই সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর পরই রনি জানিয়েছিলেন তিনি ইনডিপেনডেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ‘বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার এবং ইনডিপেনডেন্ট টিভির অন্যতম মালিক সালমান এফ রহমানের গুন্ডাবাহিনী প্রথমে চাঁদা দাবি, তা না পেয়ে হত্যা, অপহরণ বা গুম করার উদ্দেশ্যে আজকের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
’
সংসদ সদস্যের প্যাডে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর মামলার ওই অভিযোগ দাখিল করেন রনি।
২০০৯ সালে রনির বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদী দখল করে বিপণীবিতান তৈরির অভিযোগ ওঠে। সে সময় এ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। অভিযোগ আছে, খবর প্রকাশের পর রনির সমর্থকদের হাতে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিগৃহীত হন। পরে রনি সাংবাদকিদের বিরুদ্ধে পাল্টা চারটি মামলাও করেছিলেন।
তবে তিনি আলোচনায় আসেন সৈয়দ আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব পাওয়া নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে 'অদ্ভূত' এক কাহিনী বলে। ওই কাহিনীতে তিনি হাস্যরস করে বলেন, দৌড় জিতে মন্ত্রিত্ব বাগান আবুল হোসেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।