তবে ব্যক্তিজীবনে তার রয়েছে এমন অনেক অজানা কাহিনি, যা জানেন না অনেকেই। সালমানের এমন সব চমকপ্রদ দশ তথ্য নিয়েই এই আয়োজন।
সাঁতারু সালমান
অভিনেতা না হলে কী হতেন সালমান? সালমানের স্কুলের সহপাঠীদের এই প্রশ্ন করা হলে তারা একবাক্যেই উত্তর দেবেন-
পেশাদার সাঁতারু।
স্কুলে পড়ার সময় সালমান ছিলেন খুব ভালো সাঁতারু। ভারতের বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন তিনি।
ওই সময় তার সাঁতারের কোচরা ভাবতেন, বড় হয়ে পেশাদার সাঁতারেই নাম লেখাবেন সালমান। পরবর্তীতে রূপালিজগতের হাতছানিতে সিনেমায় নাম লেখালেও এখনও সময় পেলেই সুইমিং পুলে নেমে পড়েন তিনি।
লাকি ব্রেসলেট
হোক সেটা অ্যাকশন সিনেমা অথবা রোমান্টিকতায় ভরপুর কোনো মুভি-- ক্যারিয়ারের প্রায় সব সিনেমাতেই সালমানের হাতে দেখা যায় টারকুইজ পাথরের একটি রুপালি ব্রেসলেট। সালমানের বাবা সেলিম খানের হাতেও দেখা যায় একই রকমের একটি ব্রেসলেট। পিতাপুত্র দুজনই মনে করেন ব্রেসলেটটি সৌভাগ্যের; আর তাই সবসময় সেটা হাতে পরে থাকেন তারা।
বাজিগরনামা
আব্বাস-মাস্তানের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সিনেমা ‘বাজিগর’-এর জন্য প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সালমান খানকেই। কিন্তু নেতিবাচক চরিত্র হওয়ায় প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে ওই চরিত্রে অভিনয় করেই খ্যাতি পেয়েছিলেন সালমানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শাহরুখ খান।
সাবানবিলাস
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধী সাবানের প্রতি সালমানের রয়েছে বিশেষ ঝোঁক। সোলমানের গোসলখানায় রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগন্ধি সাবান।
বিশেষ করে ভেজিটেবল অয়েলে তৈরি ফলের সুবাসযুক্ত সাবানে রয়েছে সালমানের দারুণ আকর্ষণ।
গাড়িপ্রেমী সালমান
আর সব তারকাদের মতোই সালমানেরও রয়েছে দারুণ সব গাড়ির এক বিশাল সংগ্রহ। নিজে চালান একটি বিএমডব্লিউ। সংগ্রহে আছে মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং ল্যান্ডক্রুজারের মতো গাড়িও।
বিরিয়ানির জন্য
শুটিং এর সেটে সালমানকে দারুণ এক সহকর্মী হিসেবেই চেনেন সবাই।
কাজ চলাকালে সেটের সবাইকে দারুণ সব সারপ্রাইজ দিতে পছন্দ করেন তিনি। ‘লন্ডন ড্রিমস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এমনই এক চমক নিয়ে উপসস্থিত হয়েছিলেন তিনি। দিনের পর দিন লন্ডনের আলুনি খাবার খেতে খেতে বিরক্ত সহকর্মীদের চমকে দিতে সেবার সবাইকে মুম্বাই উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সালমান। উদ্দেশ্য-- সবাইকে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ‘মাটন বিরিয়ানি’ খাওয়া!
ভোজনরসিক সালমান
চাইনিজ খাবার দারুণ পছন্দ সালমানের। এ ক্ষেত্রে তার পছন্দের রেস্টুরেন্টটি হল মুম্বাইয়ের চায়না গার্ডেন।
পাদুকাবিদ্বেষ
নিজে একটি জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হলেও পা আটকে রাখা জুতা পরতে একেবারেই পছন্দ করেন না সালমান। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হোক বা গরম, নিজের ঘরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।
পছন্দের অভিনয়শিল্পী
হলিউডে সিলভেস্টার স্ট্যালোন আর বলিউডে হেমা মালিনি-- এরাই হলেন সালমানের প্রিয় অভিনয়শিল্পী।
ফতোয়ার বলি!
উপমহাদেশের অনেক অসহায় নর-নারীই এ পর্যন্ত শিকার হয়েছেন মৌলবাদীদের ফতোয়ার। মজার ব্যাপার হলে তারকা হওয়া সত্ত্বেও সালমান খানের নামেও দুটি ফতোয়া জারি করেছে ভারতের উগ্রপন্থী এক ইসলামি দল।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসলামের অনুসারি হওয়া সত্ত্বেও নিজের বাড়িতে গণেশ পূজা আর মাদাম তুসো জাদুঘরে নিজের মোমের মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদ না করায় সালমান শরিয়তবিরোধী। এই ‘অপরাধে’ তাকে ‘মুরতাদ’ও ঘোষণা করেছে তারা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।