আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগের নয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের ছাত্রজীবনের গল্প ও কীর্তি

দেশের রাজনীতি দেখি... ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সোমবার রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে বদিউজ্জামান সোহাগ পেয়েছেন ১৬৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ পেয়েছেন ৫২১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে সিদ্দিকী নাজমুল আলম পেয়েছেন ১৭৭১ ভোট।

View this link তবে আশ্চর্যের বিষয় মোট পাচ প্রতিদ্বন্দীর বিষয়ে নানা তথ্য আমার কাছে দেয়া হয়। এর মধ্যে যেগুলো আমার কাছে প্রমান নেই সেগুলো আমি হিসেবে রাখি নাই। কিন্তু আশ্চর্য হলাশ এই মাত্রে এটা দেখে যে, পাচ জনের মধ্যে দুইজনের অতীতে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে সখ্যতা ছিল । তারাই কিনা ছাত্রলীগের মত দলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হয়। আশ্চর্য।

এখন যে সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ সে আগে ছিল কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক । ১/১১ এর সময়ে ছাত্রলীগ করবেন না বলে ঢাবি ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেড ক্রিসেন্টের প্রধান অধ্যাপক আব্দুর রহমানের মুচলেকা দিয়ে তিনি রেড ক্রিসেন্টে চাকরি শুরু করেন। নির্বাচনের পরে আবার তদবিরের রাজনীতিতে ফিরে আসেন। অবশ্য সবাই বলতে সে নাকি সিন্ডিকেটের কারনে সভাপতি হইছে। সেটা শুনে আরও আশ্চর্য লাগলো তাহলে এদেরই সিন্ডিকেট শক্তিশালী।

যারা যুদ্ধপরাধের বিচার চায় তারা খালি গলাবাজিই করে সামান্য সিন্ডিকেট করে নিজেদের ছাত্রলীগের পদও রাখতে পারে না। যাহোক, আরেক আলোচিত প্রার্থী হলেন এখনকার সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম আগে ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক । ইডেন কলেজের ছাত্রীদের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে কিছু দিন আগে যখন বেশ কথা উঠলো, এই নাজমুল সেই কাজের অন্যতম হোতা ছিলেন। ছাত্রলীগ ইডেন কলেজের সহ-সভাপতি চম্পার সাথে নাজমুলের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। তাকে ব্যবহার করে নাজমুল ইডেন কলেজে নানা অনৈতিক কাজ করে।

যা গত বছর অভিভবক ও সচেতন মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই নিয়ে ছাত্রলীগ ও সরকারের ইমেজ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি সংসদেও উত্থাপন করে। নাজমুল গত বছর ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ডকে ভেঙে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হট্টগোল বাধিয়ে দেয়। এ সময় তিনি প্রফেসর কবি মুহাম্মদ সামাদসহ কয়েকজন আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে শিবিরের ফোকাস কোচিং সেন্টার ও ছাত্রাবাসে থাকতেন নাজমুল। সেসময় শিবির থেকে তিনি মাসিক ভাতাও পেতেন। এছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবস্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে যে সিন্ডিকেট জড়িত তিনি তাদের পৃষ্টপোষক। খুবই কষ্ট পাইলাম এসব দেখে. . . . . . ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.