রিপোর্টটি পড়ে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। আমি কখনও ভাবিনি এমনটি কখনও হতে পারে। আমার ভিতর যে কি হচ্ছে তা প্রকাশ করতে পারছি না। ব্লগারদের জন্য রিপোর্টটি তুলে ধরছি:
‘সকালে মিরসরাই স্টেডিয়ামে মঘাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে মায়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় মায়ানী বিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
আমরা সকলে মিলে বিজয় উল্লাস করতে করতে ট্রাকে করে নিজ এলাকায় ফিরছিলাম। পথে তৈতইতলার সৈদালী এলাকার লোহার ব্রিজ পার হয়ে একটু এগিয়ে গেলেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে আমাদের পিকআপটি পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপরের ঘটনা আমার কাছে অস্পষ্ট। ’
এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করলো দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া চার জনের একজন স্কুল শিক্ষার্থী সাজ্জাদ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সোমবার দুপুরে একটি পিকআপ ট্রাক খাদে পড়ে কমপক্ষে ৪০ শিশু কিশোর নিহত হয়।
এ ঘটনায় আহত রয়েছে আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে স্থানীয় সূত্রে বলে জানা গেছে।
মিরসরাইয়ের আবু তোরাব-বড়বাতিয়া মহাসড়কে স্কুল শিক্ষার্থীদের বহনকারী পিকআপটি সোমবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হতাহত সবাই স্থানীয় আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয় মায়ানী সরকারি প্রাথমিক, মঘাদিয় সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়, ও আবু তোরাব মাদ্রাসা বিদ্যালয়ের ছাত্র।
মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পরে তারা।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ শিশু কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত রয়েছে আরও অনেকে। তবে প্রশাসন অন্তত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
আবু তোরাব-বড়বাতিয়া মহাসড়কে স্কুল শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি ট্রাক সোমবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা জানান ঘটনার পরপরই স্থানীয় নারী-পুরুষ দ্রুত ছুটে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
নিহতদের মধ্যে ২২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছে, ধ্রুব নাথ (১৭), রনি (১৫), ইমরান (১৭), ইফতেখার (১৬), আনন্দ দাস (১২), জাহিদুল (১৩), কামরুল (১৬), টিটু দাস (১৬), লিটন দাস (১৭), জাহিদুল ইসলাম (১৬), স্বপন দেবনাথ, রাজিব, রাজু, আনোয়ার (৩০), শুভ, সাজু, রাকিবুল, আরিফ, সাজ্জাদ, জুয়েল, মেজবাহ উদ্দিন ও জুয়েল।
উদ্ধারকারীদের একজন একরামুল বাংলানিউজকে বলেন তারা অন্তত ৬৫ জনকে উদ্ধার করেছেন যাদের অনেকেই ছিলো মৃত এবং কেউ কেউ গুরুতর আহত।
হতাহতরা সবাই আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয় ও আঞ্জুমাননেসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। মিরসরাই স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পরে তারা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ বাংলানিউজের কাছে ২৬ জনের ও পুলিশ সুপার জেড এম মোরশেদ ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পুলিশ সুপার জানান মিরসরাই ক্লিনিকে ১১টি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩টি ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৩টি লাশ রয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলেই স্বীকার করেন প্রশাসনের এই দুই কর্তাব্যক্তি।
ক্লিনিকে ও হাসপাতালে রাখা ২৭টি মরদেহের পাশাপাশি আরও ১৫টি লাশ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একাধিক সূত্র। এ নিয়ে তাদের হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি হবে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন জানান, মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা ছুটে এসে সন্তানদের দ্রুত নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এর সংখ্যা ২৫ জনের বেশি হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর এরই মধ্যে নিহতদের স্বজনরা কেউ ঘটনাস্থলে কেউ ক্লিনিকে আবার কেউ থানায় ভিড় করেছেন। এসব স্থানে সৃষ্টি হয়েছে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি।
তাদের আহাজারিতে গোটা মিরসরাইয়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দুর্ঘটনায় নিহত একটি শিশুর বাবা থানা প্রাঙ্গনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সূত্র: বাংলানিউজ ২৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।