যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে কে জানতো কাঁচপুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা? সম্ভবত সবাই জানে, একমাত্র আমি ছাড়া, তারপরেও মনে হলো কেনো কেউ আমাকে জানালো না। কোনো সুস্থ্য মানুষ এ সড়কে এলে একটামাত্র শব্দই উচ্চারণ করার বাকী থাকে তা হলো ইন্নালিল্লাহ। ঢাকা শহর আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কটি ফ্লাইওভারের মালিক হতে যাচ্ছে, যার মধ্যে দীর্ঘতমটার কর্মযজ্ঞের জন্য গুলিস্তান টু শনির আখড়া এখন দুষ্প্রবেশ্য।
এর মধ্যেই বাসে চড়ে ভৈরব এলাম। মাঝখানে কয়েক কেজি বরফ কিনে পলিথিনের ব্যাগে ঢুকিয়ে তারমধ্যে নিজের মাথা না ঢুকাতে পারলেও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধৈর্য্য-ধারকের বিরল কৃতিত্ব আমার জুটে গেছে নিশ্চয়ই।
এই মহাবিরক্তিকর যাত্রার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটা হলো নরসিংদীর পর ভৈরব পর্যন্ত। এদিকটা মনে হয় একটু বেশীই উজ্জ্বল, গ্রামগুলো একটু বেশীই সুন্দর। সড়কের দুইধারে প্রকৃতি যেমন নুয়ে এসেছে মখমলের মত, অন্য সব জায়গায় যা দেখা যায় কর্কশ, খেচর। আমার নানী বলেন শব্দটা। খেচর বলতে তিনি অগোছালো বোঝান।
সবজী বোঝাই যন্ত্র-শকট আর টায়রার মত সাজি মাথায় চাষীদের রূপজৌলুশ চোখে পড়ার মত।
আমার এবার ঢাকার বাইরে যাবার সময় মনে হলো এ শহর থেকে নিষ্কৃতির জন্য রোপওয়ে থাকলে বেশ হয়। সড়ক পথে তো সম্ভব নয়, বিমান তো অসম্ভবই, এই রোপওয়ে যা করতো তা হলো - মানুষজনকে কাঁচপুরের ওপারে বা বুড়িগঙ্গার ওপারে বা গাজীপুরের ওপারে বা সাভারের ওপারে ছুড়ে দিয়ে আসতো। ফেরার সময়ও তেমন - দড়ি ঝুলে ঝুলে ফিরছি।
ঢাকা শহর শীঘ্রই পাবে বেশ কিছু ফ্লাইওভার, সেজন্য আগ্রহ নেই অসহনীয় যানজট নিয়ে কথা বলার।
কোনমতে নিষ্কৃতি মিলেছে তাই অনেক। ধৈর্য্য ধরে বসে আছি ফ্লাইওভার দেখতে, এক বছর, দুই বছর, তিন বছর................। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।