মাননীয় স্পীকার,
জাতি আজ দুইভাগে বিভক্ত। একভাগে গোলাম মাওলা রনি আর অন্যভাগে দরবেশ বাবা সালমান এফ রহমান। আমি দুইপক্ষেরই বিপক্ষে।
মাননীয় স্পীকার,
গোলাম মাওলা রনি একজন আইনপ্রনেতা হয়ে নিজেই নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছেন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার জন্য উনার উচিত ছিল সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করা।
অথচ, হামলার বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে উনি ক্রমাগত মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। শেখ সেলিমসহ কোন সাংসদকেই দেখছিনা বলতে যে, এতে সংসদ বা সাংসদদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
মাননীয় স্পীকার,
অন্যদিকে, সালমান এফ রহমান ওরফে দরবেশ বাবা সম্পর্কে বলার কিছু নাই। উনার দূর্নীতি সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। অথচ এই দূর্নীতিবাজ লোকটাই হলেন প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা।
নিজের এবং নিজ ও নিজ গোত্রের প্রতিস্ঠানের দূর্নীতিকে আড়াল করা আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সালমান এফ রহমানের মতন লোকেরা মিডিয়ায় ইনভেস্ট করেন। টিভি চ্যানেলের মধ্যে এটিএন, দিগন্ত, ইনডিপেনডেন্ট, একাত্তর, এনটিভি, প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, নয় দিগন্ত প্রভৃতির প্রধান কাজ হল নিজ গোষ্ঠীর দূর্নীতি আড়াল করা এবং প্রতিপক্ষকে শাসনের মধ্যে রাখা। তাই, শেয়ার কেলেংকারী নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট নীরব, হেফাজতের তান্ডব নিয়ে নীরব ছিল দিগন্ত। প্রথম আলো আর কালের কন্ঠের পরস্পরের প্রতি হাস্যকর রিপোর্ট নিয়ে রম্য সিরিয়াল হতে পারে।
মাননীয় স্পীকার,
এবার মূল কথায় আসি।
রনি ওরফে মাওলানা এবং সালমান এফ রহমান ওরফে দরবেশ বাবা একই গোয়ালের গরু। দুইজনের গুঁতোগুতির জন্য গোয়ালের মালিক দুইজনকে ডেকে মৃদু ধমকে দিবেন। তারপরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। দুইজন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে বলবেন যে, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝির অবসান হয়েছে। ভুল বোঝাবোঝির অবসান যে হয়েছে তা বোঝানোর জন্য গোলাম মাওলা রনি ইন্ডিপেনডেন্টের টকশোর নিয়মিত অতিথি হবেন।
মাঝখান থেকে যে সাংবাদিকরা মার খেয়েছেন তাদের চাকুরীচ্যুতি ঘটতে পারে, তারা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে পারেন।
মাননীয় স্পীকার,
গোয়ালের মালিকের উচিত ছিল দুই গরুকেই গোয়াল থেকে বের করে দেওয়া। কারন দুষ্টু গরুর চাইতে শূন্য গোয়াল ভাল। কিন্তু রাজনীতি অন্য জিনিস। তাই গোয়ালের মালিক এই দুষ্ট গরুদের গোয়াল থেকে বের করে না দিয়ে গরুরা যে দুষ্ট নয় সেটা প্রমানে সক্রিয় হবেন।
আর তাতে, দুষ্টু গরুদের সম্পর্কে সাধারন মানুষের ধারনা কতটা পাল্টাবে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ হলেও গরুর মালিকের সম্পর্কে যে একটা খারাপ ধারনা তৈরী হবে সেটাতে কোন প্রশ্ন নেই।
মাননীয় স্পীকার,
ইদানিং ফিলিং বাকের ভাই। এইরকম ঘটনা দেখলেই ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিনভাবে ‘টিপা দিতে’ ইচ্ছা করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।