আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তৈরি করল বিজ্ঞানীরা

লেখক/কবি এবার ডায়াবেটিকসকে ঘায়েল করতে বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় তৈরি করেছেন। এধরনের অগ্ন্যাশয় মানুষের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন নামের হরমোন সরবরাহ করতে পারবে। আমেরিকার মায়ো ক্লিনিক এর দু’জন গবেষক ডাক্তার যোগীশ কুডভা এবং আনন্দ বসু এ ধরনের একটি কৃত্রিম অগ্ন্যাশয় বানিয়েছেন বলে অনলাইন জার্নাল সাইন্স ডেইলির এক খবর হতে জানাযায়। সংবাদ মাধ্যমটির মতে এধরনের আবিষ্কার এটাই প্রথম। সাধারণত খবার পর কম শারীরিক পরিশ্রম করেন এমন রোগীর রক্তে স্বাভাবিক অবস্থায় চিনির পরিমাণ পূর্ণ কর্মক্ষম অগ্ন্যাশয় বিশিষ্ট লোকের মতই থাকে।

কিন্তু খাবার পরই তাদের রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়তে দেখা যায়। এই মূলনীতিকে কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা মায়ো ক্লিনিকে কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়টি তৈরি করেছেন। একদল সেচ্ছাসেবীর দেহে এবছরের নভেম্বর নাগাদ কৃত্রিম এই অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এসময় মায়ো ক্লিনিকের গবেষক দল তাদের খাওয়া দাওয়া, বয়াম এবং ইনসুলিন সরবরাহ ইত্যাদি সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন। খবরে আরো জানানো হয় খুব শীঘ্রই সান ডিয়েগোতে আমেরিকান ডায়াবেটিকস এসসিয়েসনের এমাসের এক সভায় প্রতিদিনকার জীবন ধারায় রক্তে চিনির প্রভাব তুলে ধরবেন ড.কুডভা এবং বসু।

এ সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমটিকে ড. কুডভা জানান, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিকসের ক্ষেত্রে গ্লুকোজের ওঠানামার সহিত শারীরিক দুর্বলতা সঠিক চিত্র সম্বন্ধে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। নতুন এই গবেষণায় দেখাযায় টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিকসে আক্রন্ত লোকেদের খবার পর পরই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরের মূল কার্যকলাপে প্রভাব ফেলে। গ্লুকোজের এ ধরনের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে, একটি স্বয়ংক্রিয় ইনসুলিন পাম্প সহ ক্লোজ লুপ ধরনের এই কৃত্রিম অগ্ন্যাশয়ের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য এতে মনিটর ও একটি সিপিইউ সহযোজন করা হয়েছে। যা শরীরের সঙ্গেই সংযুক্ত থাকবে। এসম্পর্কে ড.কুডভা আরো বলেন, শারীরিক পরিশ্রম ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে তাই একই সঙ্গে খাওয়া, ব্যয়াম ও গ্লুকোজের ওপর তার প্রভাব জেনে স্বয়ংক্রিয় ইনসুলিন সরবরাহের মাত্রা ঠিক করাযাবে।

আর কেবল তখনই আমেরিকার ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন আঙ্গুলে সুচ ফুটিয়ে ইনসুলিনের মাত্রা জানা থেকে রেহাই পাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।