আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথোপকথনঃ নিম্নবিত্ত ভাবনা

কথোপকথনঃ নিম্নবিত্ত ভাবনা পুরুষঃ তুই মাইয়া মানুষ, তরে বিশ্বাস নাই। তরা ছলনাময়ী। তগো মন খোদা নিজেই বুঝবার পারে নাই। এই কথাডা হগলতেই কয়। নারীঃ হ জানি, যারা কয় তারা হগলতেই পুরুষ।

তুমি নিজেও পুরুষ। খোদাও একজন পুরুষ। হেয় যদি নারী হইতো তাইলে তোমার মত অবিশ্বাসী আর জালিম পুরুষ মানুষ বানাইতো না। এমন মানুষ বানাইতো যে নারীগো মন বুঝে। পুরুষঃ হ, তরে কইছে! খোদায় মাইয়া মানুষ হইলে দুনিয়ায় কবেই কেয়ামত আয়া পরতো।

বাঁইচা গেছোস। তরা হগল সময় একটু বেশী প্যাচাল পারোস। খুঁইজা খুঁইজা বোকা আর ভুদাই পুরুষগুলনরে বিয়া করবার চাস যাতে ইচ্ছামত হুকুম চালাইবার পারোস, শাড়ী-গয়না আদায় করবার পারোস। নারীঃ হ, আমাগো ভুদাই পুরুষ খুঁজনের ঠেকা পরছে! পুরুষ মাইনসের আবার মন! হেইডা আবার খুঁইজা দেখোনের একখান জিনিষ হইলো? মনতো থাকে শরীরের ভিতর। হেইডা সামনে বাইর কইরা দিলেও কেউ কারো মন চিনবার পারবো না।

আমিও তোমার মন চিনবার পারুম না, তুমিও আমার মন বুঝবানা। হেইডা কেউ বোঝেনা। পুরুষঃ আমরা মাইয়া মানুষের অত প্যাঁচগোজ বুঝি না। আমরা যা দেখি ডাইরেক্ট দেখি। তরা না দেখাইলে জোড় কইরা দেখি।

না দেখবার দিলে এ্যাসিড মাইরা মুখ ভচকায়া দেই। তগো আমাগো মতো অত সাহস নাই। হের লাইগাইতো তগো মাইনসে অবলা আর দুর্বল কয়। আমরা তগো মাথার উপরে উঠবার দেইনা। নারীঃ তোমরা আসলে বেইমান! তোমরা লম্পট,বর্বর।

নিষ্ঠুর,ব্যাভিচারী। তোমরা সন্ত্রাসী। তোমরা সবই পারো। যতসব আকাম কইরা তোমরা বাহাদুরি দেখাও। তোমরা যতই ফাল পারো, কোন মাইয়ার প্রেমে পরলে এমন ভাব দেখাও যে একেবারে ভেজা বিলাই।

প্রথম কয়দিন পিছন পিছন ম্যাও ম্যাও করো। তারপর যেই একদিন ভুল কইরা ধরা দেই,অমনেই বাঘ হয়া যাও। কত তেজ দেখাও! তোমাগো মুরাদ কতোখানি জানা আছে। পাঁচ মিনিটের বেশীতো ত্যাজ দেখাইতে পারো না। পরেতো লেজ গুটায়া পালাও।

তহন আর আমাগো ভাল লাগেনা। অন্যখানে ঘাঁটি গাড়ো। পুরুষঃ দ্যাখ্ বেশী প্যাক প্যাক করবি না। মেজাজ খারাপ হইলে উল্টা পাল্টা কিছু কইরা ফালামু কইলাম। নারীঃ হ, হেইডাইতো পারো।

আর কিছুতো করার খেমতা নাই। আমাগো বুক ফাটে তবু মুখ ফোটেনা হেইডা ভাল কইরাই জানো। তাই তোমাগো কিছু হইলেই আমরা হুদাই কষ্ট পাই। কষ্ট দেওনের বেলায় তোমরা হগলতে এক। রাগ কইরাতো একদিনের বেশী থাকবার পারোনা।

রাইত হইলেই মিন মিন কইরা ভালো ভালো কথা কও। তখন লজ্জা করে না? সাধ মিটলেই আবার ছাইরা যাইতে চাও। তোমরা এক্কেরে বেহায়া। তোমাগো কোন লজ্জা শরম নাই। পুরুষঃ দ্যাখ বেশী কথা কইবি না কইলাম।

তরে খাওন পিন্দন দেই তারপরেও তর এতো দেমাগ কিসের! মেজাজ বিল্লা হইলে কইলাম তর খবর আছে! নারীঃ দ্যাহো হাত উঠাইবা না কইলাম। আমি তোমার কেনা দাসী-বান্দি না। আমি নিজের পেটের ভাত নিজে যোগাই। তোমার খাওন পিন্দনের আমি ধারধারিনা। মাসে মাসে বেতন আইনা সংসারে দেই।

অহনতো আমারে দিয়া শখ মিটছে। আমি পুরান হইছি। আমারে খেদাইলে আরেকখান নতুন হাঙা করবার পারো। আমিও দেইখা নিমু কোন ছিনালরে তুমি ঘরে আনো। তোমার এই ঘরে আমি আগুন দিমু।

পুরুষঃ কি! কি কইলি! আমি হাঙা করুম! হ করুম। করলেই কি? তরে আমি তালাক দিমু। নারীঃ কি কইলা! তালাক দিবা? অত সোজা না। আমি তোমারে জেলের ভাত খাওয়ামু। তোমার নামে নারী নির্যাতনের মামলা করুম।

আমারে অতটা অবলা ভাইবোনা। গার্মেন্টেসে চাকরি করি। আমাগো সমিতি আছে। তোমারে অত সহজে ছাইড়া দিমু ভাইবোনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।