আমার দেশে কাজী জহিরুল ইসলামের লেখাটা পড়লাম। এটা নিয়ে সামুর প্রমিথিউসের কথাও জানলাম।
কাজী জহিরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ভালো লিখেন। মূলত কবি তিনি।
গদ্যও লিখে থাকেন। বেশ ঝরঝরে। আমি তাঁর বাসায় এক জš§দিনের অনু¯¤ানে তাকে অনুরোধও করেছিলাম, গদ্য লিখেন। আপনার হাতে গদ্য বেশ ভালো হয়।
সে যাই হোক।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে সমালোচনা দেশে-বিদেশে কম নেই। দুনিয়ার মানুষ এটা কম-বেশি জানে। মূলত যারা অশান্তি সৃস্টি করেন, তাদেরকেই শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। যে কেউ একটু সার্চ দিয়েই বের করতে পারবেন।
আমাদের মুহম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় আমরা খুশি। যেদিন ঘোষণা দেয়া হলোÑমনে আছে টিভির সামনে বসে আছি। ইউনুস সাহেবের অনুভূতি, সাধারণ মানুষের উল্লাস কেমন হয় দেখার জন্য। পুরস্কার পাওয়ার পরপরই ইউনুস সাহেবকে নিয়ে বিশাল এক মিছিল বেরুল। সারির প্রথমেই জনাব ইউনুস।
সাংবাদিকরা তাকে একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন, আর চিরাচরিত মুখের সেই হাসি ঝুলিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন সদ্য নোবেলজয়ী। হঠাৎ এক সাংবাদিক বেমক্কা প্রশ্ন করে বসলেন, স্যার, আপনি তো অর্থনীতিতে কাজ করেছেন, আপনাকে অর্থনীতিতে নোবেল না দিয়ে শান্তিতে দেয়া হলো কেন?
প্রশ্নটা শুনেই খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন ইউনুস। পরণেই নিজেকে সামলে নিয়ে জবাব দিয়েছিলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলেই তো শান্তি আসে। শান্তির সঙ্গে অর্থনীতির একটা সম্পর্ক আছে।
সেদিন সত্যি কথাই বলেছিলেন ইউনুস।
শান্তির সঙ্গে অর্থনীতির একটা সম্পর্ক অবশ্যই আছে। অশান্তির সম্পর্কও আছে। এই যেমন যার অর্থ নেই সেই অশান্তি করে। আবার যারা ঋণগ্রস্ত থাকে তারাও অশান্তি করে। পত্রিকায় পাওয়া খবর থেকেই বলছি, বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে চুরি ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার পিছনে মূল কারণ নাকি ঋণগ্রস্ত হওয়া।
যে সহজ সরল কৃষক বা দিনমজুর দিন এনে দিন খেতেন, একটু সচ্ছলতার আশায় তারা ঋণ নিয়েছিলেন গ্রামীণ এবং অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে। কিন্তু ঋণ শোধ করতে না পারায় হারিয়েছিলেন মাথা গোঁজার ঠাইও। তাদের কিছু আÍহত্যা করেছেন, কেউ কেউ আবার নানান সামাজিক অপকর্ম শুরু করেন। সমাজের চোখে সে অপরাধী। আর নাটের গুরু রয়ে যায় লোকচুর আড়ালে।
তাকে কে জব্দ করবে? তার তো আর্ন্তজাতিক খ্যাতি। সে তো ফুয়েন্টলি ইংলিশ বলতে পারে।
পুরস্কার বিজয়ের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেগম (২য়) ইউনুস জানালেন, ওকে নরওয়ে থেকে ফোন করে জানানো হয়েছিল। তাদের কথাবার্তা হয়েছিল অভিয়াসলি ইংলিশে।
বেগম ইউনুসের এমন কথা শুনে হাসি চাপিয়ে রাখা যায়নি সেদিন।
নরওয়ে থেকে নোবেল কমিটির লোকজন তো ইংরেজিতেই কথা বলবে, নিশ্চয়ই বাংলায় নয়। সেটা আবার জানানোর কী আছে?
তো আমাদের মহান জ্ঞানী যিনি নোবেল কমিটির লোকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বললেন, ইংরেজিতে বইও লেখেনÑতাঁর নোবেল প্রাপ্তির খবরে কেউ উল্লসিত হলো, কেউ দুঃখ পেল। দুঃখ পাওয়াটা দুধরনের। প্রথম ঈর্ষা। আর দ্বিতীয়ত দেশের জন্য কতখানি শান্তি এনেছিলেন ডক্টর সাহেব, যেজন্য তিনি নোবেল পেতে পারেন?
তবে দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি যেমন উন্নয়নই করেন না কেন, নিজের উন্নয়নটা কিন্তু ঠিকই করতে পেরেছেন।
সে ব্যপারে তাঁর কাছে কোনো ছাড় নেই। নোবেল পুরস্কারের টাকাটা যাতে আয়কর মুক্ত করা যায় সেজন্য তিনি সরকারের কাছেও আবেদন করেছিলেন।
মহান ব্যক্তি, যারা নোবেল পেয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগই পুরস্কারের অর্থ দান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের মহামান্য ডক্টর সাহেব পুরোটাই হজম করেছেন। তবে তিনি একটি কাজ করেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংকে একটি জাদুঘর প্রতি¯¤া করেছেনÑনোবেল জাদুঘর। আমাদের দেশে এমন একটি জাদুঘর ছিল না। সেজন্য কি তিনি আরেকটি নোবেল দাবী করতে পারেন না?
পারতেন, যদি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো নোবেল থাকত। তাঁর দুর্ভাগ্য এ বিষয়ে নোবেল প্রাপ্তির সুযোগ নেই। তো এই ইউনুসের অর্থ কেলেঙ্কারির কথা তো দুনিয়ার মানুষই জানে।
নতুন করে জানানোর কী আছে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবকিছুতেই লেজ খুঁজে বেড়াই। ইউনুসের সঙ্গে কোন দলের মাখামাখি, কোন দলের নয়, সেটাই খুঁজি। ইউনুসের মতো নোবেল পাওয়া একজন ডক্টরকে দলে পেলে বর্তে যাবে যে কেউ। ডক্টর সাহেবও নিজেকে বিকোতে পারবেন বেশ চড়া মূল্যে।
এমন একজন সেলিব্রেটিকে দলে ভেড়ানোর আগে তার চরিত্র তো ফুলের মতো করতে হবে। না থাকলেও করতে হবে। আমাদের একটা গোষ্ঠী সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে। এই গোষ্ঠী কারা? যাদের ঘরের চাল কিংবা ভাতের হাঁড়িতে ইউনুসের কালো থাবা পড়েনিÑতারাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।