আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশে দেশে যুবলীগ নেতারা নোবেল পুরস্কারের জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে লবিং, যার যত মত এখনি দিয়ে দেন, পরে আর লাভ হবে না।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য চলছে জোর আন্তর্জাতিক লবিং। বাংলাদেশ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এজন্য আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টির কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও বুদ্ধিজীবী মহলে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা কি ভূমিকা পালন করছেন তার বিবরণ। অতিসম্প্রতি যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে গেছেন। এর আগে গত মার্চ মাসে একই উদ্দেশে তারা বস্টন ও নিউইয়র্ক সফর করেন।

এই টিমে আরও রয়েছেন যুবলীগের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত ও সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর। ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনার শান্তি দর্শন’ শিরোনামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরা হচ্ছে বিশ্বের নীতিনির্ধারক ও আইন প্রণেতাদের কাছে। গত ১৪ জুন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা সাবেক স্পিকার ও বর্তমানে কংগ্রেসে মাইনরিটি লিডার ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। একই সময়ে তারা কংগ্রেস সদস্যা শিলা জ্যাকসন লি ও কংগ্রেসম্যান হেনসেন ক্লার্ক ও ম্যারিল্যান্ড থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য ভ্যান হল্যানের সঙ্গেও কথা বলেন। সাক্ষাত্কালে তারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিহাস ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, মৌলবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধিতায় শেখ হাসিনার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। বৈঠকে যুুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর অনুরোধ জানানো হলে ন্যান্সি পেলোসি বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। গত ১৫ জুন এই প্রতিনিধিদল লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। লন্ডনের আইন প্রণেতাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার দর্শনের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে জাপান সফর করে সেখানেও একই বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী অন্যান্য দেশেও শেখ হাসিনার শান্তি দর্শনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। এজন্য যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে দেয়া হয়েছে বিশেষ মিশন। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত্ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সঙ্গে, এমন একজন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, সুদূর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে শেখ হাসিনার শান্তি দর্শনকে তুলে ধরার কারণ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণেই আমি নিজেও কৌতূহলী ছিলাম এর বিষয়বস্তু নিয়ে। তবে সাক্ষাতের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে, নোবেল পুরস্কারে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করাই মূলত এই প্রয়াসের সার্বিক লক্ষ্য।

এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস সদস্যদের যে কেউ প্রস্তাব পাঠাতে পারেন। নিউইয়র্কে বসবাসরত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নিউনেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ফাজলে রশীদ এ বিষয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে কিভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ানো যায়, এটাই সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর মধ্যেই বিষয়টি খোলাসা করে দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, শান্তিতে নোবেল দিলে সেটা শেখ হাসিনাকেই দেয়া উচিত ছিল। ড. ইউনূস প্রসঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ শান্তির পতাকাবাহী হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বে এক নতুন ইমেজ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.