আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্ডারস্ট্যান্ডিং মোহাম্মদ -২ (মূল : আলি সিনা , অনুবাদ : দুরের পাখি)

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস পর্ব-১ (Click This Link) মোহাম্মদের সম্ভবত আরেকটি মানসিক রোগ ছিলো বলে ধারণা করা যায় । মনোবিজ্ঞান এবং অপরাধবিজ্ঞানে একে বলা হয় Obsessive Compulsive Disorder. এর লক্ষণ হিসাবেই বিভিন্ন ম্যাজিক সংখ্যা নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি (৩ কুলি, ৭ পাক, ২৭ রমজান), উদ্ভট সব প্রথা (বিভিন্ন কাজের শুরুর দোয়া), এবং কঠোর নিয়মনীতি এইসব দেখা যাবে তার জীবনে । তার কঠোর জীবনযাপন এবং ইসলামের শত শত হাবিজাবি নিয়মকানুনের ব্যাখ্যাও এভাবে দেয়া যায় । জীবনের শেষ দিকে মোহাম্মদের আরেকটি রোগ হয় যার নাম Acromegaly. দেহবর্ধক হরমোনের অস্বাভাবিক উৎপাদনে এই রোগ হয় যার ফলস্বরুপ হাড় বড় হয়ে যাওয়া, ঠান্ডা এবং মাংশল হাত পা, বড় নাক ঠোঁট এইসব লক্ষণ দেখা যায় । সাধারণত Acromegaly রোগ শুরু হয় চল্লিশোর্ধ বয়সে এবং প্রথম ষাটের দিকে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হয় এই রোগ ।

এই রোগ একদিকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (সময় মত লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া )তৈরী করে অন্যদিকে Temporal lobe (মস্থিষ্কের একটি অংশ) এর অতিরিক্ত কার্যকারীতার ফলে যৌনতাড়না বাড়ে । বৃদ্ধ বয়সে মোহাম্মদের খেয়ালি যৌনজীবনের ব্যাখা দেয়া যায় এভাবে এবং ধারণা করা যায় কেন জীবনের শেষ দিনগুলোতে তার ব্যাপক যৌন ইচ্ছা ছিলো । ইতিহাসে পাওয়া যায় মোহাম্মদ একরাতেই তার নয় বিবির ঘরে যেত , তৃপ্তি ছাড়াই । শেষ জীবনের যৌন-অক্ষমতা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, কেন মোহাম্মদ তার যুবতি বিবিদের নিয়ে ঈর্ষা, ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো । অন্যরা যাতে তার বিবিদের উপর কাম-নজর দিতে না পারে সেজন্য সে তাদের পর্দার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে ।

আজকের দুনিয়ার কোটি কোটি নারীর বোরকা পড়ার পিছনের রহস্য লুকানো আছে মোহাম্মদের শেষ বয়সের যৌন-অক্ষমতার মধ্যে । ইসলামের অনেক উদ্ভট আচরণের ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে মোহাম্মদের অসুস্থতা বিশ্লেষণ করে । উপরের এইসব মনোরোগ এবং অস্বাভাবিক বাহ্যিক চেহারা এই দুই মিলিয়ে মোহাম্মদ আর দশটা সাধারণ মানুষের চাইতে একেবারেই আলাদা । অবশ্য তার অশিক্ষিত মুরিদদের কাছে এই ভিন্নতা আসলে তার নবীত্বের প্রকাশ । আরসব পীরভক্ত মুরিদদের মতই তারা মোহাম্মদএর অনুকরণে নিজেদের সর্বোচ্চ সাধনা করে ।

মৃত্যুকে পরোয়া না করে এবং প্রতিপক্ষকে কচুকাটা করে এখন তারা ইসলামকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মে পরিণত করেছে । আর এটাই এখন পৃথিবীর সার্বিক শান্তি এবং মানব জাতির অস্ত্বিতের উপর সবচে বড় হুমকিতে পরিণত । মোহাম্মদকে জানা কেনো জরুরি ? কারণ এক বিলিয়নেরও বেশি লোক তার মত হতে চায় এবং সে যা করতো তা-ই করতে চায় । এক জনের পাগলামি এভাবে কোটি কোটি লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো । সুতরাং মোহাম্মদকে বুঝার মাধ্যমেই সম্ভব এই কোটি কোটি লোকের আচরণ সম্পর্কে অনুমান করা ; ভবিষ্যতে কি নিয়ে তারা আবার উত্তাল হয়ে উঠবে সেই সম্পর্কে ধারণা কার ।

সময় আসলে খুবই খারাপ এখন । খারাপ এবং বিপদজনক । মানবজাতির ২০% লোক যদি একটা মনোরোগীর পূজা করে, আত্নঘাতী বোমা হামলাকে মনে করে প্রশংশনীয় আর খুনাখুনিকে মনে করে ধার্মিকতার চূড়ান্ত অবস্থা তাহলে দুনিয়া খারাপ এবং বিপদসংকুল হতে বাধ্য । এরা যদি কোনদিন আণবিক বোমা হাতে পায় এই গ্রহ পরিণত হবে ধূলার গোল্লায় । ইসলাম মূলত পীরালি ব্যবসা (cult) ।

এখনি সবার বুঝা উচিৎ যে এই ব্যবসা মানবজাতির জন্য বিরাট হুমকি এবং এই মুরিদদের সাধে মানবতার সহাবস্থান কোনভাবেই সম্ভব নয় । মুসলিমরা যতদিন মোহাম্মদকে প্রশ্নহীনভাবে বিশ্বাস করে যাবে ততদিন তারা অন্যদের জন্য এমনকি তাদের নিজেদের জন্যও হুমকি হয়েই থাকবে । মুসলিমদের হয় তাদের ঘৃণার সংস্কৃতি ত্যাগ করে অবশিষ্ট মানবের সাথে মিশে যেতে হবে অথবা অন্যদের উচিত হবে মুসলিমদের আলাদা করে দেয়া, যাতে তারা অন্তত অন্যের ক্ষতি করতে না পারে । অমুসলিম দেশগুলোর উচিৎ ইসলামকে নিষিদ্ধ করা, মুসলিম অভিবাসীদের জায়গা না দেয়া এবং যারা তাদের সংস্কৃতিতে একাত্ন হতে অস্বীকার করে বা গণতন্ত্র ও সার্বজনীন বাক-স্বাধীনতার মত বিষয়গুলোকে অস্বীকার করে তাদের ধরে ধরে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া । গণতন্ত্র আর ইসলামের বণিবনা সম্ভব নয় ।

এটা একটা যুদ্ধবাজ আদর্শ, গণতান্ত্রিক সুবিধা ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার সিস্টেম , যার পরম উদ্দেশ্য হলো গোটা পৃথিবীতে ইসলামের একাধিপত্য কায়েম করা । এই বর্বর সিস্টেম এবং সভ্যতার সংঘর্য এড়িয়ে ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ইসলামের রহস্য মোচন করে এর কুরুপকথাগুলোকে প্রকাশ করে দেয়া । মানবজাতির শান্তিতে বসবাসের জন্য ইসলাম থেকে মুসলিমদের আলাদা হওয়াটা ভয়াবহভাবে জরুরী । সে অর্থে মুহাম্মদকে বুঝা মুসলিম এবং অমুসলিম দুই পক্ষের জন্যই দরকারী । এই বইয়ের উদ্দেশ্য সেই বুঝাকে সহজ করে দেয়া ।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার এই বই লিখতে গিয়ে অনেকের সাহায্য নিতে হয়েছে যাদের সবার কাছে আমি ঋণী । আমার ইংরেজির সংশোধন এবং মূল্যবার সমালোচনার মাধ্যমে সাহায্য করেছেন তারা । দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয় । কারণ নামোল্লেখ তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলবে । আবার বেশিরভাগের নাম আমি জানিও না ।

এইসব নাম না জানা সহযোদ্ধাদের কাছে আমি ব্যাপকভাবে ঋণী । বইটি লেখার সময় বের করতে পেরেছি কিছু চমৎকার বন্ধুদের কারণে, যারা ফেইথফ্রিডম ডট অর্গের পরিচালনা, সম্পাদনা এবং ফোরামগুলোর মডারেশনের দায়িত্ব নিয়ে আমাকে ভারমুক্ত থাকতে দিয়েছিলেন । তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ । ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে নাম না জানা, প্রশংসা না পাওয়া বীরদের দ্বারাই । এরা তাদের সময় এবং মেধা ক্রমাগত ব্যায় করে যাচ্ছেন ইসলামের বিপদ সম্পর্কে পৃথিবীকে অবহিত করার জন্য ।

পরিণামের আকাঙ্খা বা সুনাম এর কোনটাই তারা চান না । আলি সিনা এপ্রিল ২০০৮ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.