আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্ডারস্ট্যান্ডিং মোহাম্মদ -১ (মূল : আলি সিনা, অনুবাদ: দুরের পাখি)

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস পূর্বকথন এবং কৈফিয়ত : আলি সিনা ইরানি বংশোদ্ভুত একজন এক্স-মুসলিম । তবে এই নামে আসলে কোন সত্যিকারে ব্যক্তি বোধহয় নাই । ইন্টারনেট নিক এর মত অস্তিত্ব এই আলি সিনা । ইন্টারনেট থেকে পাওয়া প্রোফাইল অনুসারে তার পুরো জীবন ইসলাম এবং ইসলামি সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিবেদিত । তার ওয়েবসাইট এবং ফোরাম ফেইথফ্রিডম ডট অর্গ (http://www.faithfreedom.org/) বিশ্বব্যাপী ইসলাম এবং ইসলামি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ঘটনা দুর্ঘটনার বিবরণ এবং বিশ্লেষণে নিয়োজিত ।

এইখানে নিজস্ব কিছু কৈফিয়ত দিয়ে নেয়া ভালো । ফেইথফ্রিডম এবং আলি সিনার সাথে আমার নিজের পরিচয় অনেক পুরোনো এবং প্রায় চার বছর আগে থেকে আবার বিচ্ছিন্ন । ফেইথফ্রিডম থেকে পাওয়া তথ্য এবং বিশ্লেষণ সরাসরি গ্রহণ করার বদলে আমার নিজের মত করে চেক, ক্রস চেক এবং রিফারেন্স বিশ্লেষণ করেই আমার নিজের মতামত । এইজন্য ফেইথ ফ্রিডম কিংবা আলি সিনার নেয়া সমস্ত অবস্থান এবং মতবাদ আমার নিজের মতবাদ বললে ভুল বলা হবে । আলি সিনার তীব্র *ইসলাম ঘৃণা* একসময় *মুসলিম ঘৃণায়* রুপান্তরিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়, এবং সেই থেকেই ফেইথফ্রিডমের সাথে আমার যোগাযোগ আমি ছিন্ন করে দিই ।

আলি সিনার নিজের লেখা আরো কয়েকটা বই আছে । তবে এই বই অনুবাদের উদ্যোগ নিলাম এই ভেবে যে এই বইয়ের মধ্যে চিন্তাশীলদের ভাবনার অনেক খোরাক বিদ্যমান । এবং এই বইয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্য যে এখানে লেখা সমস্ত কথা এবং মতামত আমার নিজেরও অবস্থান বলে ধরে নেয়ার কোন কারণ নাই । বইটি কেবল যারা ধর্ম অপছন্দ করেন এবং ধর্মের বিলুপ্তি চান তাদের জন্য উপকারীই নয়, বরং ঈমানদার বান্দাদের জন্যও উপকারী । এর করা অভিযোগ এবং বিশ্লেষণ সমূহের বিপরীত বিশ্লেষণ এবং যুক্তি নিয়ে ভাবতে ভাবতে হয় ধর্ম নামক কুরুপকথা থেকে বেরিয়ে মুক্ত নিঃশ্বাস নিতে পারেন অথবা নিজস্ব বিশ্বাস শক্তপোক্ত করে পরম আত্নতৃপ্তি লাভ করতে পারেন ।

তবে দায় দায়িত্ব আমার ঘাড়ে চাপাবেন না । ************************************************* আন্ডারস্ট্যান্ডিং মুহাম্মদ বিষয় সার ১১ ই সেপ্টেম্বর ২০০১ এর পরে বিশ্বব্যাপী মোটামুটি ১২০০০ হাজারের মত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে । হাজার হাজার সাধারণ মানুষ হতাহত হয় । এসবের পরিচালক সন্ত্রাসীরা কোন দেও দানব না বরং নিজেদের বিশ্বাস অনুসারে জীবন চালানো মুসলিমই ছিলো। এমন আরো লাখ লাখ আছে যারা সুযোগ পেলেই এই ধরণের কাজ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত ।

কেউ যদি মনে করে ইসলামি সন্ত্রাস নতুন কোন ঘটনা তাহলে আবার ভালো করে ভাবার দরকার আছে তার । ইসলামের সাফল্যই মূলত সন্ত্রাসের অবদান । মোহাম্মদ যেদিন মদিনায় প্রথম পা দেয়, সেদিন থেকেই তার সন্ত্রাস অভিযানের শুরু । সেই থেকে তার অনুসারীরাও একই কাজ করে আসছে । মুসলিম জাতি অসহিষ্ণু, নাক-উঁচু, অত্যাচারী এবং হিংস্র ।

বিরোধীতার মুখে বা অন্যের চাইতে আলাদা সুযোগ এবং সম্মান না দিতে চাইলে তাদের ভিতরের এইসব গুন বিস্ফোরিত হওয়া শুরু করে । অথচ একই সাথে অন্য ধর্মের অনুসারীদের উপর অত্যাচার করা বা তাদের অধিকার কেড়ে নেয়াতে তাদের জুড়ি নেই । মুসলিমদের বুঝতে হলে সবার আগে তাদের নবীকে বোঝা দরকার । স্বীকার করতে না চাইলে মুসলিমরা মূলত মোহাম্মদকেই পূজা করে এবং অন্য যেকোন কিছুর চাইতে বেশি মূল্য দেয় । ইসলাম মূলত মোহাম্মদবাদ (পূঁজিবাদ, সমাজবাদ এর মত) ।

মোহাম্মদকে বুঝার মাধ্যমেই বুঝা সম্ভব, কি জিনিস মুসলিমদের আচরণকে ট্রিগার করে । “আন্ডারস্ট্যান্ডিং মোহাম্মদ” , আল্লাহর নবীর মানসিক জীবনবৃত্তান্ত । এই লোকের রহস্য ভেদ করার চেষ্টাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য । ইতিহাস থেকে জানা যায় মোহাম্মদ দিনের পর দিন গুহার মধ্যে একাকি ধ্যানে ডুবে থাকতো । ঘন্টাধ্বনি শোনা এবং ভৌতিক স্বপ্ন দেখার কথাও শোনা যায় ।

তার ধারণা ছিলো তার উপর প্রেত ভর করেছে । খাদিজা তাকে আশ্বস্ত করে যে সে আসলে নব্যুয়ত পেয়েছে । নব্যুয়তের এই নিশ্চিত বিশ্বাস পেয়ে, সে অবিশ্বাসীদের উপর ভয়ংকর ক্রোধান্বিত হয়, সমালোচকদের হত্যা করে, আর লুটপাট এবং গণহত্যা চালায় অনেক গোত্রের উপর । হাজার হাজার লোকের দাসত্ব, ধর্ষণের জন্য দায়ী এই লোক, তার অনুসারীদের অনুমতি দেয় নারী যুদ্ধবন্দীদের ধর্ষণের । এই সমস্তই সে স্থিরচিত্তে এবং নিজের অধিকার মনে করেই করেছিলো ।

যারা তাকে বিশ্বাস করতো তাদের প্রতি সে দয়ালু এবং উদার থাকলেও অবিশ্বাসীদের প্রতি ছিলো কঠোর এবং দ্বেষান্বিত । তার বিশ্বাস ছিলো সে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনের একমাত্র কারণ । মোহাম্মদ কোন সাধারণ মানুষ ছিলো না । সে ছিলো অসুস্থ রকমের আত্নপ্রেমী । “আন্ডারস্ট্যান্ডিং মুহাম্মদ” এইসব সাধারণ ঘটনার আরো গভীরে যাওয়ার একটা চেষ্টা ।

এই বইয়ের লক্ষ্য ‘কি ঘটেছিলো’ বর্ণনা করা নয়, বরং ‘কেন ঘটেছিলো’ তা বর্ণনা করা । এই উদ্দেশ্যে বইটি পৃথিবীর ইতিহাসের বিশাল এবং প্রভাবশালী এই ব্যক্তির রহস্য খুলার প্রচেষ্টা করবে । মোহাম্মদ নিজের সত্যতার উপর প্রবল বিশ্বাসী ছিলো । তার হ্যালুসিনেশনগুলাতে সে এতটাই প্রবল্ভাবে বিশ্বাস করতো যে সে চাইতে অন্যরাও কোন প্রকার প্রশ্ন ছাড়াই সেগুলো বিশ্বাস করুক । প্রবলভাবে রুষ্ট আল্লাহর মুখ থেকে সে ওহী নিয়ে আসে, “ কি ? তোমরা কি তাহলে মোহাম্মদ কি দেখেছে এই নিয়ে সন্দেহ কর ?” এটা মনোরোগের ব্যাপার ।

সে কি দেখলো না দেখলো তাতে কার কি এসে যায় ? তারইতো দায়িত্ব সে কি দেখলো সেটা প্রমাণ করা । অসুস্থ রকমের আত্নপ্রেমীই কেবলমাত্র প্রমাণ ব্যাতিরেকে বিশ্বাস দাবী করতে পারে । মোহাম্মদ ছিলো এতিম । শিশুকালেই মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক বেদুঈন দম্পতির ঘরে বড় হয় সে, স্নেহবঞ্চিত শৈশব পার করে । পরে দাদা এবং তার পরে চাচার কাছে বড় হয়।

দাদা চাচার দয়ার্দ্র আদরে নষ্ট হয় । যখন নির্বাধ ভালোবাসার দরকার ছিলো তখন সেটা না পেয়ে, যখন নিয়ম এবং দায়িত্ব শেখার কথা ছিলো তখন কোন শাসন না পেয়ে, সে আত্নপ্রেম নামের মনোরোগে আক্রান্ত হয় । এই রোগ তাকে পরিণত করে বিবেকহীন মেগালোম্যানিয়াকে (মেগালোম্যানিয়া =যুক্তিবুদ্ধিহীন বড় চিন্তা করা রোগ)। সীমাহীন ক্ষমতার দিবাস্বপ্নে, সে অন্যের কাছ থেকে ভালোবাসা এবং প্রশ্নহীন আনুগত্য চাইতো । বিশ্বাস করতো সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেউ এবং চাইতো অন্যরা তার কথামত চলুক ।

অন্যদের ব্যবহার করেও ঈর্ষা এবং সন্দেহে ভুগতো ক্রমাগত, ভাবতো অন্যরা বুঝি তার মাথায় কাঠাল ভেঙে খাচ্ছে, প্রত্যাখ্যাত হলে কষ্ট পেতো মারাত্নক এমনকি যারা ত্যাগ করে যেতো তাকে তাদের খুন পর্যন্ত করতেও দ্বিধা ছিলো না তার। নিজের অধিকার মনে করে প্রতারণা এবং মিথ্যা বলার উদাহরণও পাওয়া যাবে তার জীবনে । এই সবই আত্নপ্রেম নামক মনোরোগের লক্ষণ । এর সাথে ফাউ যোগ হওয়া মৃগীরোগের কারণে দ্বীনের নবী বিস্তারিত বর্ণনামূলক হ্যালুসিনেশনে ভুগতো । অবশ্য তার কাছে এগুলো ছিলো রহস্যময় স্বর্গীয় দর্শণ ।

তার স্বর্গীয় বাণী শোনা বা ফেরেশতা দেখার দাবী এক অর্থে মিথ্যা ছিলো না । সে মূলত বাস্তব এবং দিবাস্বপ্নের পার্থক্য করতে পারতো না । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.