আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরি এ বাংলাদেশে, যার যা ইচ্ছা, তা-ই করি!

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশ। ...আপনি যদি একটু চালাক-চতুর হয়ে থাকেন, তাহলে আর দেখতে হবে না। ...চাই কি আপনার নৌকা ডাঙ্গা-তেও দৌড়াবে!!!...আশৈশ্যব সাধ জজ হবেন!!!...সাবধান, ভুলেও পড়া-লেখা করার কথা মনে আনতে যাবেন না যেন, মশাই। ...তাহলে জজ হওয়ার সাধ ঐ মনে আনা পর্যন্ত-ই, ইহজনমে আর তা পূরণ হবার নয়। ...বরং আপনি বুদ্ধিমান হয়ে থাকলে হাইকোর্টে সরকার দ্বারা নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকদের অনুসরণ করে কোনক্রমে টেনেটুনে এল.এল.বি পাস করুন, আর এই ফাঁকে দেশের বড় দু'টি দলের একটিতে জোয়েন করে ফেলুন...তারপর মওকা বুঝে আন্দোলনের নামে কোন এক ফাঁকে প্রধান বিচারপতির দরজায় ঝেড়ে কয়েকটা লাথি বসিয়ে দিন।

... এরপর বসে বসে শুধু গোঁফে তা দিতে থাকুন...আর মজা লুটুন। ...দল পরের বার ইলেকশনে ক্ষমতায় আসতে পারলে.... দরকার হলে গোটা পৃথিবী অলট-পালট হয়ে যাবে, কিনতু...আপনার বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তি কেউ ঠেকাতে পারবে না! আপনি ডাক্তার হতে চান? আরে...মেডিকেল কলেজে পড়ার কি দরকার!!!!... কোন গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে নামের আগায় শুধু 'ডা.' বসিয়ে বাজারে বসে যান...আর শিশু রোগীদের রোগ সারানোর নাম করে তাদের দু্ই ঠ্যাং ধরে মাথার উপর বন্‌ বন্‌ করে কয়েকটা চক্কর লাগান। ...দেখবেন, পরেরদিন আপনার ডাক্তারখানা(!!)-র সামনে রোগীদের এত্তো লম্বা লাইন লাগবে যে চোখে দূরবীণ লাগিয়েও শেষটা দেখা যাবে না। বাবা-মা'র বড় শখ ছিলো ছেলে ইউনিভার্সিটির টিচার হবে...তা-ও যে-সে টিচার হলে চলবে না, এক্কেবারে পি.এইচ.ডি- ডিগ্রীধারী টিচার হওয়া চাই। ...কিন্তু...পড়া-লেখায় আদুভাই ধরণের হওয়ার কারণে পি.এইচ.ডি হওয়া তো দুরে থাক, কোনক্রমেই মাস্টার্সটা কমপ্লিট করতে না পেরে নিজেকে কুলাঙ্গার ভাবছেন?...ভাই, এত্তো চিন্তা-ভাবনা আপনাকে কে এতো চিন্তা করতে বলেছে!!!...চিন্তা-ভাবনায় সময় নষ্ট না করে বরং চটজলদি এশিয়ান ভার্সিটির সে-ই নকল পি.এইচ.ডি-ধারী শিক্ষককে গুরু মেনে তার পা-য়ের ধুলো আগে নিয়ে নিন...তারপর আর দেরী না করে গুরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেনিন কিংবা নিকারাগুয়া নামক কোন অখ্যাত দেশের স্বখ্যাত(!) কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে নিলখেত হতে একটি পি.এইচ.ডি-র সার্টিফিকেট বানিয়ে বাসা-বাড়িতে, গলির চিপা-চাপায় কয়েকটি মাত্র রুম নিয়ে হঠাৎ গজিয়ে উঠা কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চটজলদি শিক্ষকতার জন্য এপ্লাই করে ফেলুন..সাথে ডোনেশন হিসেবে কিছু টাকা জমা দিন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টে।

...এরপর আপনাকে আর পায় কে!!!...লেকচারার-এর পদটা তো নস্যি, চাই কি... ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ডিপার্টমেন্টের চ্যায়ারমেনের পদটাও আপনার পদধুলিতে ধন্য হয়ে যেতে পারে!!! আপনার একটা কোচিং সেন্টার আছে। ...রাজধানীর ব্যস্ততম কয়েকটি এলাকাসহ দেশের কয়েকটি জায়গায় শাখা খুলে কোচিং সেন্টারের রমরমা ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ...কিনতু... প্রতিদন্দ্বী কোচিং সেন্টারগুলোর জন্য আপনার 'ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি' অবস্থা?...শত চেষ্টা করেও ছাত্র ভেড়াতে পারছেন না?...মনের মাঝে চিন্তার দোলা?...গর্ধভ কিসিমের যে ছেলে-মেয়েগুলা এখনো আপনার এখানেই পড়তে আসে..তাদের আর শুধু শুধু কষ্ট করে কলেজে যাওয়ার কি দরকার!!! নিজের কোচিং সেন্টারটাকে কলেজ বানিয়ে ঐগুলাকে তাতে ভর্তি করলেই হয়!...............তাহলে আর দেরী না করে হঠাৎ গজিয়ে উঠা কোন কোচিং সেন্টার গ্রপের আদর্শ অনুসরণ করে ধানমন্ডির মত কোন স্থানে জায়গা ভাড়া নিয়ে কোচিং সেন্টারটিকে কলেজে পরিণত করে ফেলুন। ...নাম কি দিবেন সে নিয়ে চিন্তা করছেন!!! ভাই এতো চিন্তার কিছু নাই...লোকজন তো 'পিতা'-'মাতা'-'শহীদ' বসিয়ে কত নামই তো রাখছে!...আপনিও সেরকম কারো একটা নাম লাগিয়ে নিন না!... ল্যাঠা চুকে গেলো! কি মজা তাই না?...এই দেশটি নিয়েই তো আমাদের কত না গর্ব! সত্যিই....সেলুকাস!!! কি বিচিত্র এ দেশ!!! তারচেয়েও বিচিত্র এদেশের কিছু মানুষ! সব সম্ভবের এ ভূমে, গড়েছি মোরা স্বপ্নপুরী। আমরি এ বাংলাদেশে, যার যা ইচ্ছা, তা-ই করি!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।