আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতের নায়েবে আমরি ও ঢাকা মহনগররে আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসনে কাসমেী-এর জীবণী

বাংলা আমার দেশ

[২৪ ডিসেম্বর শাপলা চত্বরে হেফাজতের মহাসমাবেশ হবেই : কাসেমী Click This Link নূর হোসেন কাসেমী কুমিল্লা জেলার লাকসামে ১৮ জুলাই, ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৌলভী আব্দুল ওয়াদুদ। পড়ালেখার হাতেখড়ি দাওরা ও তাখাচ্ছু দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত। যাদের কাছে দেওবন্দে পড়েছেন মাওলানা সাইয়েদ ফখরুদ্দীন মুরাদাবাদী, ক্বারী মোহাম্মদ তৈয়্যব, শায়খ জাকারিয়া কান্ধলভী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গাঙ্গোহী প্রমুখ। শিক্ষকতা করেছেন মাদ্রাসায়ে মরাদিয়া মুজাফ্ফর নগর ভারত, দারুল উলুম রাহমানিয়া হায়দারাবাদ, ভারত নন্দনসার মাদ্রাসা শরীয়তপুর, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ এবং জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা।

প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা এবং জামিয়া সোবহানিয়া মাহমুদ উত্তরা, ঢাকা। শায়খুল হাদিস চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসা এবং জামিয়া এমদাদিয়া সৈয়দপুর বিক্রমপুর মাদ্রাসা, সিনিয়র সহসভাপতি জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি, সহসভাপতি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, সভাপতি তানজিমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ মক্তব পরিষদ। নূর হোসেন কাসেম ইসলামের নেতা হিসাবে যত না পরিচিত তার চেয়ে অধিক কাদিয়ানী বিরোধী খতমে নবুওয়াত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি একসময় জামায়াত শিবির ও মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে ওয়াজ ও বইয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তাছাড়া কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

জামায়াত ও মওদুদীবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “মওদুদী দর্শন হল একটি ভ্রান্ত ও আত্মঘাতি দর্শন এবং তার সৃষ্ট জামায়াতে ইসলাম হল ধর্মের নামে একটি ভাওতাবাজি, বিপদগামী দল। জামায়াত কিংবা মওদুদী দর্শন সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমরা কখনও জামাতকে সমর্থন করি না, ভবিষ্যতেও করব না। কারণ, জামায়াতে ইসলাম মোনাফেকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, আমরা তা করিনা। তাছাড়া মওদুদীর দর্শনটাই হল ভুল।

”(প্রখ্যাত আলেম-ইসলামী রাজনীতিক ও পীর-মাশায়েখের সাক্ষাৎকার ২০০৮ সাল) অথচ নূর হোসেন কাসেমী জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বাঁচানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ১৩ দফার নামে আন্দোলন শুরু করেছেন। নূর হোসেন কাসেমী হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা ও পরামর্শকদের মধ্যে অন্যতম। হরকাত জঙ্গীদের নিকট তিনি ছিলেন বড় অভিভাবক। ঢাকাকেন্দ্রিক হরকাতের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তার ছিল অগাধ সমর্থন ও জঙ্গীদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা। তাছাড়া নূর হোসেন কাসেমী তাহাফ্ফুজে খতমে নবুয়ত ও খতমে নবুয়ত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী।

১৯৯৩ সালে মানিক মিয়া এভিনিউতে খতমে নবুয়তের মহাসমাবেশের মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানিয়ে দেন। তখন থেকেই নূর হোসেন কাসেমী সবার কাছে কাদিয়ানী বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তবে তিনি তার অতীতের সব পরিচিতি পিছনে ফেলে এখন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার জীবণী থেকে বুঝা যায় সে একজন পল্টিবাজ। ৫ মে, ২০১৩ যে সব মানুষের জীবণ গেছে তার জবাব দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ সমাবেশ করুণ।

তদন্ত রিপোট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.