আসুন, দেখুন, ভালবাসুন। সূত্র: প্রথম আলো
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল উচ্চবিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের পিটুনিতে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রীর নাম সালমা বেগম (১৪)। সে সাগরনাল উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।
তাদের বাড়ি স্থানীয় সাগরনাল ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামে। অসুস্থ ওই ছাত্রীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সালমার কয়েকজন সহপাঠী জানায়, পাঠদান শুরুর আগে সকাল সোয়া নয়টার দিকে সালমাসহ চার-পাঁচজন ছাত্রী শ্রেণীকক্ষে দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছিল। এরই এক ফাঁকে সালমা শিক্ষক মুহিবুর রহমানের চেয়ারে পা তুলে ফেলে। এ সময় বাইরে থেকে সহকারী শিক্ষক মুহিবুর রহমান শ্রেণীকক্ষে ঢুকে প্রথমে সালমার চুল ধরে টেনে চড়-থাপর মারেন এবং পরে সামনের মাঠে দাঁড় করিয়ে পেয়ারাগাছের ডাল ভেঙে সেটি দিয়ে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন।
এতে সালমার নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় সেখান থেকে ওই শিক্ষক চলে যান। সহপাঠীরা মাথায় পানি ঢালার পর সালমার জ্ঞান ফিরে। পরে তাকে ধরাধরি করে তারা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সালমার মা আফজান বেগম (৫০) কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে জানান, বাড়িতে পৌঁছানোর পর সালমা ভালোমতো কথা বলতে পারছিল না। থরথর করে কাঁপছিল। এ অবস্থায় তাকে তাঁরা উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের চিকিত্সক শরিফুল কবির জানান, মারধরের কারণে সালমার শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে।
সুস্থ হতে সময় লাগবে। তার প্রয়োজনীয় চিকিত্সা চলছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘চেয়ারে পা রাখায় খারাপ লেগেছে। তাই ছাত্রীটিকে ডেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কয়েকটি মার দিয়েছি। ’ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ—সেটি জানেন কি না, এ প্রশ্নে তিনি কোনো কথা না বলে একপর্যায়ে সংযোগ কেটে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ইসলাম বিকেলে জানান, ঘটনাকালে অন্য কাজে তিনি বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রীটিকে দেখে এসেছেন। খোঁজখবর নিয়ে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মণীশ চাকমা প্রথম আলোকে জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদকে বলবেন।
সূত্র: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।