আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনুদুনঃ এইবার বাংলাদেশে

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। দু'জনের মধ্যে গভীর প্রেম, বাড়ি থেকে পালানো, তারপর গোপনে বিয়ে। এমন ঘটনাক্রম বিরল নয়। কিন্তু বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল, কারণ ওরা দু'জনেই মেয়ে! ওরা পিরোজপুরের তরুণী সানজিদা ও শ্রাবন্তী রায় পূজা। সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় তারা নিজেদের মতো করে 'বিয়ে' করেন।

পূজার পরিবারের অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মঙ্গলবার এই মজার কাহিনী জানতে পারেন র‌্যাব-পুলিশের সদস্যরা। র‌্যাব-২-এর কর্মকর্তা লে. সাজ্জাদ রায়হান সমকালকে জানান, পিরোজপুর সদরে পরিবারের সঙ্গে থাকে দশম শ্রেণীর ছাত্রী পূজা। বয়স ১৬। এক বছর আগে থেকে তাকে প্রাইভেট পড়াতেন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্রী সানজিদা। বয়স ২১।

এ সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু'জনই একে অপরের প্রতি অনুভব করেন অন্যরকম আকর্ষণ। একপর্যায়ে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর দু'জনে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর সড়কের ১৯৯ নম্বর বাসায় ওঠেন। এ ব্যাপারে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক নারী তাদের সহায়তা করেন।

এদিকে, পূজার বাবা অনেক খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে ২০ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পূজার 'অপহরণকারী'ও নারী। তারা দু'জনই এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। পূজাকে উদ্ধারে র‌্যাবের সহায়তা চায় পুলিশ। এরপর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা সাজ্জাদ রায়হান বলেন, পূজাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। পূজা জানতে চান, তারা ভালোবেসে বিয়ে করে সুখে থাকলে র‌্যাব-পুলিশের কী সমস্যা? একটি ছেলে যদি একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, দু'জন মেয়ে কেন তা পারবে না? পূজা জানান, সোমবার রাতে সানজিদা তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করে বিয়ে করেছেন। পরে তাদের দু'জনকে পিরোজপুর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। র‌্যাব-২-এর অপারেশন্স অফিসার এএসপি রায়হান উদ্দিন খান সমকালকে জানান, পূজা মোহাম্মদপুরের ওই বাসায় অবস্থানের সময়ে সেখানকার দুই নারী তার বাবার কাছে ফোন করেন। তারা বলেন, পূজা তাদের হেফাজতে রয়েছে।

তাকে ফিরে পেতে চাইলে তিন লাখ টাকা দিতে হবে। ঘটনাটি জানার পর র‌্যাব কর্মকর্তারা পূজার বাবাকে টাকা দেওয়ার শর্তে রাজি হওয়ার কথা বলেন। এরপর ওই দুই নারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের সেই বাসায় উপস্থিত হন পূজার বাবা ও বোন। তাদের পেছনেই সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা ছিলেন। http://www.samakal.net/2013/07/24/7552 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.