আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনুদুনঃ আগে জানতাম মধ্যরাতে সিঁধ কাটে, এখন টকশোতে আমাদের গলা কাটতে চায় : রামুতে আ.লীগের লোক উপস্থিত ছিল সহিংসতা থামানোর জন্য

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। বিনুদুন আর বিনুদুন। আমাগো সরকার প্রধান কি রকম বিনুদুন দেন। আমি বাজী ধইর‌্যা কইতে পারি, এই রকম বিনুদুন দুনিয়ার আর কুনু রাষ্ট্রপ্রধান দিতে পারবেন না! তাগো সেই বিনুদুনের জ্ঞানই নাই। তা না হইলে শেখ হাসিনা কি খামাখাই এ্যাতোগুলা ডিগ্রী পাইছেন? কবি গুরুর ভাষায় "এমন দেশটি কোথাও খু্ঁজে পাবে নাকো তুমি"।

কবি গুরু কি কইর‌্যা বুঝছিলেন, এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো একজন সরকার প্রধান হইবেন?????? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন???? টেলিভিশন টকশোতে অংশগ্রহণকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আগে তো আমরা জানতাম, মধ্যরাতে সিঁধ কাটতে যায়। আর এখন মধ্য রাতে আমাদের গলা কাটতে ও ধ্বংস করতে যায়। ঘুম কামাই দিয়ে রাত জেগে টকশো করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। গতকাল দুপুরে গণভবনে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী গণ-মাধ্যমের সমালোচনা করে আরও বলেন, যাদের অনেক পয়সা আছে, তারা পত্র-পত্রিকা চালাতে পারে।

তারা ব্যবসায়ী। তাদের তো অনেক রকম চাহিদা আছে, আমাদের পক্ষে তো সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। সেই চাহিদা পূরণ না করলেই তারা বেজার হয়ে যান এবং আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথাই লেখেন। তত্ত্বাবধায়কের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ এমন আছে, তত্ত্বাবধায়কের উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন।

অবার অনেকে আমাদের কাছে এসে পদের জন্য কত কান্নাকাটি করেছেন, আমরা হয়তো দয়া করে দিয়েও দিয়েছি। এখন তারাই আমাদের সবক দেন। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তার প্রতিশোধ নিলে বিএনপির কোনো অস্তিত্ব থাকত না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ না নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। সঠিক তদন্ত না করে কাউকে দোষী করা ঠিক নয়, রামুর বৌদ্ধবিহারের ঘটনা সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর এ বোধোদয় তখন কোথায় ছিল? যখন ঘটনা ঘটল সাথে সাথে বলে দিলেন, এর সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত।

অবশ্য মিথ্যা বলায় ওনার পারদর্শিতা আছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির স্থানীয় এমপি ওখানে (রামু বাজার) যান রাত সাড়ে ১১টায়। তার সঙ্গে গাড়ি আর হোন্ডায় করে লোকজন ছিল। প্রত্যেক হোন্ডায় তিনজন করে ছিল। তারপর উনি বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, আর তখনই বৌদ্ধবিহারসহ সব পুড়ছিল।

আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিল সহিংসতা থামানোর জন্য। ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৌদ্ধদের সঙ্গে করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, তদন্তেই বেরিয়ে আসবে, ওই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে অনেকেই ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছে।

সে চেষ্টা এখনও শেষ হয়ে যায়নি, এখনও চেষ্টা আছে। তিনি বলেন, নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তসহ বহু কিছুর পরও আওয়ামী লীগ উজানে নাও বয়ে সাফল্য এনেছে। নানা প্রতিকূলতা ঠেলে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এখন জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মহাজোট সরকার মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৫ লাখ বেকারকে সরকারি চাকরি এবং প্রায় ৭৮ লাখ বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।

এত দরদ নিয়ে মানুষের কথা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ চিন্তা করে না। View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.