আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ দূর্নীতিতে-১, এবং সবচেয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায়-২৫, এবং আমার কিছু গবেষনা।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ আমরা পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হেয়েছি। এখনো চ্যাম্পিয়নের কাছাকাছিই আছি। আজ আবার বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকা প্রকাশ করা হলো, তাতে বাংলাদেশের নতুন র্যাংঙ্কিং হলো ২৫। রিপোর্টে বলা হয়েছে.. প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফরেন পলিসির সর্বশেষ বার্ষিক র্যাঙ্কিং এমনটাই নির্দেশ করছে।

৬০টি সবচেয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশ। মাঝে আছে মিয়ানমার। ফরেন পলিসি বলেছে, প্রতি পাঁচজন বাংলাদেশীর মধ্যে দু’জনই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বাংলাদেশের পরিবেশের ঘড়ি টিক টিক ঘুরছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি শুধু এক মিটার বাড়ে তাহলে দেশটির ১৭ ভাগ এলাকাই পানির নিচে ডুবে যাবে।

ফরেন পলিসির ওয়েবসাইট মতে, ২০১১ সালে ১৭৭টি দেশের ওপর সমীক্ষা চলে। সোমবার ওয়াশিংটনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আল জাজিরা বলেছে, এবারের র্যাঙ্কিংয়ে কোনো বিস্ময় নেই। উল্লেখ্য, র্যাঙ্কিং তৈরি করেছে ইউএস ফান্ড ফর পিস। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ মাত্র একটি ধাপ সরেছে।

২০১০ সালে তার র্যাঙ্কিং ছিল ২৪। এবারে হয়েছে ২৫। র্যাঙ্কিংয়ের হিসাবে পাকিস্তান ১২, মিয়ানমার ১৮, বাংলাদেশ ২৫, নেপাল ২৭, শ্রীলঙ্কা ২৯। সেই হিসাবে বাংলাদেশের চেয়ে নেপাল ও ভুটানও উন্নত অবস্থানে রয়েছে। তবে টপ টেনে আছে আফ্রিকার চাঁদ, সুদান, কঙ্গো, হাইতি, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক এবং ইরাক।

গতকাল নিউইয়র্ক ডেটলাইনে ভারতের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা পিটিআই ফরেন পলিসির সর্বশেষ র্যাঙ্কিংকে আগের মতোই ‘ভারতের প্রতিবেশীরা সবাই সবচেয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত’ হিসেবে চিত্রিত করেছে। পাকিস্তান সম্পর্কে ফরেন পলিসির সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন বলেছে, ওয়াশিংটন নীতিনির্ধারক মহলে দেশটি দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আর জাতিসংঘের মতে নেপাল হলো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত দেশটির অবস্থা বদলাবে না। এরই মধ্যে এমন লক্ষণ ফুটে উঠেছে যাতে মনে হবে মাওবাদীরা ধৈর্য হারাতে পারে এবং তারা পরিখা খনন করে ফের যুদ্ধে শামিল হতে পারে।

শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের পরিসংখ্যান মতে এই ইঙ্গিত মিলছে যে, প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার ব্যক্তি এখনও বাস্তুচ্যুত রয়েছে। বিদ্রোহ দমন এখনও অনিশ্চিত। তবে সিংহলী অধ্যুষিত সরকার অতীত ভুলতে আগ্রহী বলেই মনে হচ্ছে। গবেষনা হলো.... যাদের নিয়ে আমরা দুর্নীতিতে প্রথম আবার তাদের নিয়েই আমরা ব্যার্থতায় ২৫, মানে অন্তত ২৪জনকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। তারমানে কি দাড়াল? ঘটনা একেবারেই স্পষ্ট।

আমাদের প্রাশাষন দুর্নীতি করে দেশকে নিচের দিকে টানছে, আর আমাদের সাধারণ মানুষে০ তাদের দক্ষতা আর কর্ম দিয়ে দেশকে উপরের দিকে টানছে। দুই দলের টানাটানিতে উন্নয়নশীলতার দিক থেকে আমরা ২৫, কিন্তু প্রশাষণিক দুর্নিতির দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়নই রেয়ে গেছি। অতএব বলা যায়, দেশযদি শুধু প্রাশনিক নেতাদের হাতে ছেড়ে দেয়া যায় তাহলে তা অচিরেই ১থেকে নেমে মাইনাসে চলে গিয়ে বরফ হয়ে যাবে, যা ভাংগা অনেক কষ্ট সাধ্য হবে, অপরপক্ষে দেশকে সাধারণ মানুষদের হাতে ছেড়ে দিলে তাদের ট্যালেন্ট আর নিষ্ঠা দিয়ে দেশকে টেনে ধিরে ধিরে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। কাজীনজরুলের ভাষায়, তারা শুধু চলার পথের বাধাঁই নয় বরং বুঝাও। তাই এইবুঝা আগে মাথা থেকে ফেলতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.