মানুষের জীবনে বন্ধুত্ব সবসময় প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষের সফলতার পেছনে একজন নারীর অবদান থাকে এই কথা আমরা সবাই জানি। আমার একজন খুব ভালো বন্ধু আছে। তার নাম টা আমি প্রকাশ করতে চাই না ।
একসময় আমি খুব খারাপ ছিলাম।
মারামারি থেকে শুরু করে অনেক খারাপ কাজ। তবে কখনও কোন মেয়েকে অসম্মান করিনি। মেয়েরা বরাবরই আমার কাছ থেকে শ্রদ্ধা পেয়েছে। তো খুব খারাপ অবস্থায় তার সাথে একদিন আমার দেখা হয়। আমি যে তখন খারাপ পথে আছি সেটা সে কিছু কিছু শুনেছে।
সেই শোনা থেকেই সে প্রতিজ্ঞা করল।
আমার কাছ থেকে কৈফিয়ত নিতে থাকল যে কোন ব্যাপারে। ছোট বেলা থেকেই আমার অন্যের কাছে কৈফিয়ত দেয়ার স্বভার নেই। অথচ একটা সময় আমি খেয়াল করলাম তার কাছে কৈফিয়ত দিতেই আমার ভাল লাগছে। সে কোন কথা না জানলেও নিজ থেকে বলা শুরু করলাম।
কোন খারাপ কাজ করলেই তার কাছ থেকে শাসন পেতাম। সাথে ঐ কাজ আর কখনও করব না এই প্রতিজ্ঞা টাও নিয়ে রাখত।
একবারের কথা বলি, আমি একটা ছেলেকে খুব মেরেছিলাম। তো সে যখন এই কথা শুনল আমার কাছে ফোন করল-
-ছেলেটা কে মারলে কেন?
-ও অন্যায় করেছে।
-কি অন্যায়?
-আমার বন্ধুর ইয়ের সাথে বেয়াদবি করেছে।
-কেন তোমার বন্ধু মারতে পারলনা?
-ও একটু ভীতু টাইপের।
-আর তুমি কি সাহসী? কেন করলা এটা? কোন ক্ষতি হয়েছে?
-কই আমার কোন ক্ষতি হয়নি তো।
-তোমার না ওই ছেলের।
-মুখে কেটে গেছে দেখেছি
-একটা সি এন জি ডাক
আমি ডাকলাম
হাসপাতালে গেলাম্। গিয়ে দেখি অবস্থা যা বলছি তা থেকেও খারাপ।
ছেলেটার হাত ভেঙ্গে গেছে। আমাকে বকা দিয়ে ছেলেটার যত বিল আসল তা দেওয়াল। শপথ করাল এই পথ যেন ছেড়ে দেই।
আমি ছেড়ে দিলাম। ভাল হয়ে গেলাম।
কিন্তু আজ আমার সেই বন্ধুটি খুব অসুস্থ। আমি তার কাছে যেতে পারছিনা। তাদের ফ্যামিলি আমাদের এই ব্যাপার টা অন্যভাবে নেয়। তারা ব্যাপারটাকে খুব বিশ্রিভাবে নিয়েছে। কিন্তু আমার কষ্টটা শুধু আমি বুজতেছি।
তাদেরকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করলাম। তারা বুঝলনা। যে আমার প্রতিটা মুহূর্তের খবর রাখত আজ তার অসুস্থের সময় আমি খবর নিতে পারছিনা। এই যন্ত্রনা সহ্য কি করে সহ্য করব জানিনা। আমার বন্ধুটির জন্য সবাই দোয়া করবেন প্লিজ....... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।