আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবাস ফেরত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও শ্রমের মূল্যায়ন বিষয়ে

প্রবাস ফেরত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও শ্রমের মূল্যায়ন বিষয়ে ফকির ইলিয়াস ====================================== লিবিয়া থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের। লিবিয়ায় এখনো যুদ্ধ চলছে। যারা দেশে ফিরেছেন তাদের লিবিয়ায় ফেরার সম্ভাবনা নেই। শ্রম বাজারের এই অবস্থা গোটা বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক।

ফেরত শ্রমিকদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রত্যেককে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে সরকার। মূলত এই অর্থ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। তা নিয়ে একটা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগ্রহী শ্রমিকদের যতো শিগগির সম্ভব সময়ের মধ্যে পুনরায় বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৪০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) ঋণ দেবে।

এ অর্থ থেকেই লিবিয়া ফেরত বাংলাদেশী কর্মীর পরিবহন ব্যয় বাবদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) পাওনা পরিশোধ করা হবে। মন্ত্রী বলেছেন, লিবিয়া ফেরত যারা ব্যবসা করতে চান প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। এতে সুদের হার হবে নয় শতাংশ। ওয়েজ আর্নার্স তহবিল থেকে ৯৫ কোটি এবং সরকারি মঞ্জুরি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যাত্রা শুরু হবে। পরে ব্যাংকের কার্যকরী মূলধন ৪০০ কোটি টাকা করা হবে।

কিছুদিন আগে আইওএম-এর প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম লেসি সুইং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে উইলিয়াম লেসি বলেন, লিবিয়ায় বাংলাদেশের ৬০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী ছিল। এর মধ্যে ৩৫ হাজার কর্মী ফিরে এসেছে। যারা বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে, তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের পুনর্বাসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে ৪১টি দেশের কর্মীদের মতো বাংলাদেশীরাও সুযোগ পাবে।

মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে ক্রমশ লিবিয়ার শ্রমবাজারসহ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে করণীয়গুলো নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এদিকে প্রবাস ফেরত এসব হতভাগ্য মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া থেকে যারা ফেরত আসছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য এখনই সরকারকে জরুরি সেল খুলতে হবে। অর্থ, প্রবাসী কল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি সভায় ফেরত আসা প্রবাসীদের আশ্বস্ত করে এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন সারা দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আপনাদের পাশে আছে।

আপনারা একা নন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। লিবিয়া ফেরত কর্মীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বিবেচনা করে যথাক্রমে ৫০০ ও ১০০ জনকে চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এফবিসিসিআই পরিচালক হারুন অর রশিদ ও মনোয়ারা হাকিম আলী। বিজিএমইএ সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী দক্ষতা অনুযায়ী প্রবাসী কর্মীদের চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, পোশাক খাতে বর্তমানে ৫০ হাজার পদ আছে, যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের অভাব রয়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সরকারের সঙ্গে মিলে ব্যবসায়ীরা লিবিয়া ফেরত কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য তহবিল গঠন করবেন।

সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি ও সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এগুলো সবই আশার বাণী। ঐ সভায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রবাসী কর্মীদের যে আয়ের ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতি চলছে সে অবস্থায় লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ফলে দারিদ্র্য পরিস্থিতি এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বায়রা সভাপতি আবুল বাসার বলেছেন, লিবিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে যুদ্ধাবস্থার কারণে ফেরত প্রবাসীদের পুনর্বাসন ও পুনরায় বিদেশে প্রেরণসহ যে কোনো কাজে বায়রা সহায়তা করবে।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের আনা ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে সবার যোগ্যতা, দক্ষতা ও বিস্তারিত জানা গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি জাতি আশাবাদ নিয়েই বাঁচে। একটি প্রজন্ম দাঁড়ায় কর্মের ওপর ভর করে। আমরা দেখেছি গালফ ওয়ার ( ইরাক-কুয়েত) এরপর বেশ কিছু শ্রমিক ফেরত এসেছিলেন।

এরা সবাই তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছেনÑ তা শোনা যায়নি। অনেকে নানা প্রশাসনিক চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এমন অবস্থা এবার হবে না বলেই আশা করছেন প্রবাস ফেরত এসব মানুষ। বাংলাদেশে এ সময় নানা সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সেসব সেক্টরেও এসব মানুষকে কাজ দেবার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

দুই. বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বাংলাদেশে শিশু শ্রমিকের কোনো পরিসংখ্যান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনির এক এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘২০০২-০৩ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জাতীয় শিশু শ্রম জরিপ পরিচালনা করে। ওই জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে ৫-১৪ বছর বয়সী শিশুর প্রায় ২৬ লাখ ৫০ হাজার শ্রমজীবী শিশু রয়েছে।

এর মধ্যে ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে বলেও জানান তিনি। একই প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার প্রায় ৫৫ হাজার শ্রমজীবী শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ২৬ হাজার শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া ও ১৩ হাজার জনকে কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। খবরটি বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ সংকেত বহন করছে। দেশের অন্যতম বিকশিত শিল্প খাত গার্মেন্ট।

বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিক এ খাতে কর্মরত, যাদের মধ্যে ৮০ ভাগই নারী। আগামী তিন বছরের মধ্যে এ শিল্প দ্বিগুণ আকারে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরো প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই হিসাব অবশ্য গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবনে প্রযোজ্য হচ্ছে না। প্রায়ই বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন শ্রমিকরা।

অন্যদিকে প্রশাসন কঠোরভাবে দমন করে যাচ্ছে বিক্ষোভগুলোকে। নানা সমীকরণে ভাঙচুর আর বিশৃঙ্খলাও ঘটছে এই আন্দোলনগুলোয়। অবশ্য কারণ অনুসন্ধানে গেলে দেখা যায় মালিক এবং সরকারের দায়িত্বহীন আচরণই এ খাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশে দায়ী। গার্মেন্ট খাতে বিক্ষোভ, ভাঙচুর হলে অনেক সময়ই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় এটা বিদেশী ষড়যন্ত্র। বিদেশী ষড়যন্ত্র হলে সেটা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।

কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার বা মালিকপক্ষ কেউই এ বিদেশী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু প্রকাশ করতে পারেননি। এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, গার্মেন্ট শিল্পে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ছড়ানো হচ্ছে। আর এ ঘটনার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দল জড়িত। চট্টগ্রামে শ্রমিক বিক্ষোভকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন তৃতীয় পক্ষের কারসাজি হিসেবে। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা।

ষড়যন্ত্র করে হাজার হাজার শ্রমিককে নিত্যদিন পুলিশের লাঠিচার্জ আর গুলির সামনে আনা সম্ভব নয়। আর শ্রমিকরা সচ্ছল, শান্তির জীবনে থাকলে নিশ্চয়ই বিক্ষোভ দেখাতো না। বরং চূড়ান্ত অমানবিক জীবনই শ্রমিকদের বাধ্য করছে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে। শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে গত বছর ২৯ জুলাই গার্মেন্ট খাতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়। গেলো নভেম্বর মাস থেকে সেই বেতন কাঠামো কার্যকর হওয়ার কথা থাকলে বিভিন্ন স্থানে তা না হওয়ার অভিযোগ আছে।

এদিকে পাঁচটি খাতে বাজেট বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবি পাঁচটি হচ্ছে, গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা। নারী শ্রমিকদের জন্য গার্মেন্ট অধ্যুষিত এলাকাসমূহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০টি নিরাপদ মাতৃত্বকেন্দ্র স্থাপন। তাদের শিশুদের দেখাশোনার জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫টি শিশু লালনকেন্দ্র স্থাপন। নারী শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দসহ গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য শহরতলির খাস জমিতে স্বল্প ব্যয়ে কলোনি নির্মাণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।

শ্রম অধিকার ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর নাগরিক দাবি-দাওয়া জানাচ্ছেন সরকার বরাবর। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ভূমিহীনদের জন্য কর্মসংস্থান স্কিম চালু করা এবং এ বিষয়ে বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা ও ভূমিহীন ও গরিব কৃষকদের জন্য স্বল্পসুদে ও সহজ শর্তে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা করা; ও গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয় বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য ও ফসলভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি করা; ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি পাট কলের ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা; ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলিত শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু করা; শিক্ষিত দলিত নারী-পুরুষের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা; শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের ১০ ভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করা; শিক্ষাক্রম শেষে প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা; শিক্ষা বাজেটে আদিবাসীদের শিক্ষা প্রসারের জন্য আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ দেয়া; উচ্চ শিক্ষায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা। বিষয়গুলো সরকারের ভেবে দেখা দরকার। যে দেশে শ্রমের মূল্যায়ন হয় না, সে দেশ কোনোভাবেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে না। বাংলাদেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে না পারলে এই দেশের মেরুদ- সোজা হয়ে দাঁড়ানো কঠিন কাজ।

প্রযুক্তির জয় জয়কারের এই যুগে সেই সুযোগটি যদি বাঙালি জাতি কাজে লাগাতে না পারে তবে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে। নিউইয়র্ক / ১৫ জুন ২০১১ ========================================== দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা / ১৮ জুন ২০১১ শনিবার প্রকাশিত ছবি- এস নোভাক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।