লিখতে ভালোবাসি যাস্ট যৌনতাকে পুঁজি করে ব্যবসা রাজধানীতে নতুন কোনো কিছু নয়। অমর্যাদাকর এই যৌন বাণিজ্য বন্ধে বহু বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই বাণিজ্য। ফলে এর সঙ্গে জড়িত নারী ও শিশুরা অবহেলিত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে যৌন বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে, তেমনি বদলে যাচ্ছে ব্যবসার কৌশলও।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ নামধারী কিছু সাংবাদিকও নিয়ন্ত্রণ করছে যৌন বাণিজ্য। নারী ও শিশুর শরীরকে পণ্য করে রাজধানীতে এই খাত থেকে সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা হচ্ছে। যৌন বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক নিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানা চমকপ্রদ তথ্য।
সন্ধ্যা ছয় টা। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা পরিচিত একটি সিনেমা হল।
চারপাশে ব্যস্ত মানুষের ঘরে ফেরার প্রস্তুতি, যানবাহনের জন্য চিরচেনা অপো। সিনেমা হলটিতে দিনভর লোক সমাগম কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। একটু দূরেই ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম। হলের সামনে রিকশা, ভাসমান দোকান। বেশ রমরমা অবস্থা দেখে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন আসছে’ মনে হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবতা তেমনটা বলে না।
হলটির কাউন্টার ম্যানেজারের কাছে জানা গেল, “ব্যবসার অবস্থা ভাল না। কোনো শো-ই হাউসফুল হয় না। প্রায় অর্ধেক সিট খালি পড়ে থাকে। তবে এই সময়টাতে বেশ গ্যাদারিং হয়, আশপাশে অনেক লোকজন থাকে।
সবাই তো আর সিনেমা দেখার জন্য আসে না। ”
তাহলে কেন আসে? বহুবার প্রশ্ন করা হলেও বরাবরই নিশ্চুপ কাউন্টার ম্যানেজার। পাশ থেকে এক নিরাপত্তারী জানালেন, “শো শুরু হচ্ছে, বাইরে কিছুক্ষণ থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। ”
সন্ধ্যা সাড়ে সাত টা। অপেক্ষা লোক সমাগমের রহস্য জানার জন্য।
কিছুক্ষণ বিপ্তিভাবে ঘোরাফেরা করার পর অবশেষে নজর কাড়তে সম হই। শীর্ণদেহী এক লম্বা তরুণ এসে এভাবে ঘোরাফেরা করার কারণ জানতে চায়। ‘কিছু লাগলে বলেন’ অযথা ঘোরাফেরা করেন ক্যা?
তার কথায় একটি ইঙ্গিত পেয়ে মনোযোগী হই, একটি সিগারেটের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলি আরও কিছুণ। দূর থেকে কেউ একজন হাত নেড়ে পুলিশ বক্সের দিকে যেতে ইঙ্গিত করে। সেদিকে পা বাড়াই।
রাস্তার মাঝখানেই পুলিশ বক্স, একপাশটা বেশ অন্ধকার। আবছা আলোয় দাঁড়িয়ে আছে তিনজন, সকলেই বোরকার আদলে মুখ ঢেকে রেখেছে। পায়ের চপ্পল আর নিজেদের মধ্যে কথা বলার ধরণ দেখে আঁচ করা গেল তাদের সম্পর্কে।
কিছুণ দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে কথা বলতে রাজি হলেন একজন। ঠিক হলো মিরপুরেই একটি বোর্ডিংয়ে গেলে ৫শ’ টাকা দিলেই কেবল তারা মুখ খুলবেন।
এই টাকাটার তিনশ’ই সেই বোর্ডিং এ দিতে হবে। বাজেট কম বলে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তখন পাশ থেকে একজন বলে উঠলেন, “ট্যাকা কম হইলে অন্য কিছু হবে না, লন হলে একসঙ্গে সিনেমা দেখি, খুশি কইর্যা দিবো। দুইশ টাকা দিলেই হবে। টিকেট আপনে কাটবেন।
”
সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিনেমা হলগুলোকে কেন্দ্র করে এক ধরনের যৌন বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। সিনেমা দেখার নাম করে খদ্দেরদের সঙ্গে নিয়ে হলের ভেতরেই চলে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। দালাল এবং খদ্দেরের কাছে এরা ‘ভাড়াটে বান্ধবী’ বলে পরিচিত। সিনেমা দেখার এই বিশেষ বান্ধবীরা একশ্রেণির দালাল ম্যানেজ করে হলের ভেতরে প্রবেশ করে। আর টাকাওয়ালা খদ্দের পেলে তাদের শেষ গন্তব্য হয় আবাসিক হোটেল কিংবা বোর্ডিং নামের অন্ধকার ঝুপড়ি ঘর।
আর এই ‘ভাড়াটে বান্ধবী’রা সবকিছু বিলিয়ে দেয়ার পর পায় একশ এবং দুইশ টাকা। বাকি টাকা চলে যায় বোর্ডিং, সিনেমা হলের দালালদের পকেটে।
সন্ধ্যা থেকে রাত এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা দুই শিফট ভাগ করে কাজ করে এই ভাড়াটে বান্ধবীরা। একেকজন দৈনিক আয় করে কমপে সাতশ থেকে এক হাজার টাকা। প্রায় ১৫ টি সিনেমাহলকে ঘিরে কমপে ২০ জনের একাধিক গ্রুপ থাকে।
গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ছিচকে ছিনতাইকারী-মাদকাসক্ত একাধিক চক্র। আর তাদের গতিবিধির সব তথ্যই থাকে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে, মেলে মাসোয়ারও। তাই রহস্যজনক কারণে তারা নীরব থাকেন।
অসমর্থিত একটি সূত্র দাবি করেছে, “দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দৈনিক চুক্তি-ই এই নীরবতার কারণ। ”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দালাল ও হোটেল-বোর্ডিং কর্মচারী বলেন, “ভাই, আমরা এই ট্যাকা একা খাইনা, হগল রে দিয়া হালাল কইরা খাই।
”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এক সিনেমা হল কর্মচারী বলেন, “এমনিতেই হলের অবস্থা খারাপ। ভেতরে তো খারাপ কিছু হয় না। তারা একসঙ্গে সিনেমা দেখে, সুযোগ পেলে গায়ে হাত দেয়। আর কিছু ভেতরে করার সুযোগ নাই। কেউ কেউ সময় কাটানোর জন্য আসে।
বেশি কিছু করলে সেটারও জায়গা আছে, তারা সেখানে যায়। পোষাক দেখে তো আর মানুষ চেনা যায় না। এরা গরীব, প্যাটের দায়ে করে, কিন্তু আশপাশে যারা থাকে সবাই তো এ থেকে টাকা খায়। ”
বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীতে ‘ভাড়াটে বান্ধবী’ শুধু সিনেমা হলকেন্দ্রিক নয়, বিভিন্ন বিনোদন পার্কেও এদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। এরা দালালদের সহায়তায় নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
সিনেমা হল ও বিনোদনস্পটগুলোকে তারা বেছে নেয় খদ্দের সংগ্রহ করার স্থান হিসেবে। খদ্দেরের সঙ্গে রফা হওয়ার পর সুবিধাজনক স্থান বেছে নেয়।
রাজধানীজুড়ে দিন দিন এই ধরনের যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই শ্রেণির যৌনকর্মীরা ভাসমান, তারা এক সময় একটি এলাকা বেছে নিয়ে কাজ করে। কাজের সন্ধানে রাস্তায় নামার পর তারা বোরকা পরে থাকে, দালালদের মাধ্যমেই তারা সবকিছু ম্যানেজ করে।
যারা নিয়মিত গ্রাহক তারা খুব সহজেই ‘ভাড়াটে বান্ধবী’দের অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারেন।
রাতভর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার কৌশল বদলে অনেকেই এ নতুন পথ ধরছে। রাজধানীজুড়ে এমন ‘ভাড়াটে বান্ধবী’র সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। সঙ্গে রয়েছে আরও প্রায় শতাধিক দালাল চক্র। এই ধরনের যৌনকর্মীদের চাহিদা স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে বেশি।
c যৌনতাকে পুঁজি করে ব্যবসা রাজধানীতে নতুন কোনো কিছু নয়। অমর্যাদাকর এই যৌন বাণিজ্য বন্ধে বহু বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই বাণিজ্য। ফলে এর সঙ্গে জড়িত নারী ও শিশুরা অবহেলিত থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে যৌন বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে, তেমনি বদলে যাচ্ছে ব্যবসার কৌশলও।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যসহ নামধারী কিছু সাংবাদিকও নিয়ন্ত্রণ করছে যৌন বাণিজ্য। নারী ও শিশুর শরীরকে পণ্য করে রাজধানীতে এই খাত থেকে সপ্তাহে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা হচ্ছে। যৌন বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক নিয়ে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানা চমকপ্রদ তথ্য।
সন্ধ্যা ছয় টা। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা পরিচিত একটি সিনেমা হল।
চারপাশে ব্যস্ত মানুষের ঘরে ফেরার প্রস্তুতি, যানবাহনের জন্য চিরচেনা অপো। সিনেমা হলটিতে দিনভর লোক সমাগম কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। একটু দূরেই ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম। হলের সামনে রিকশা, ভাসমান দোকান। বেশ রমরমা অবস্থা দেখে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন আসছে’ মনে হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবতা তেমনটা বলে না।
হলটির কাউন্টার ম্যানেজারের কাছে জানা গেল, “ব্যবসার অবস্থা ভাল না। কোনো শো-ই হাউসফুল হয় না। প্রায় অর্ধেক সিট খালি পড়ে থাকে। তবে এই সময়টাতে বেশ গ্যাদারিং হয়, আশপাশে অনেক লোকজন থাকে।
সবাই তো আর সিনেমা দেখার জন্য আসে না। ”
তাহলে কেন আসে? বহুবার প্রশ্ন করা হলেও বরাবরই নিশ্চুপ কাউন্টার ম্যানেজার। পাশ থেকে এক নিরাপত্তারী জানালেন, “শো শুরু হচ্ছে, বাইরে কিছুক্ষণ থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। ”
সন্ধ্যা সাড়ে সাত টা। অপেক্ষা লোক সমাগমের রহস্য জানার জন্য।
কিছুক্ষণ বিপ্তিভাবে ঘোরাফেরা করার পর অবশেষে নজর কাড়তে সম হই। শীর্ণদেহী এক লম্বা তরুণ এসে এভাবে ঘোরাফেরা করার কারণ জানতে চায়। ‘কিছু লাগলে বলেন’ অযথা ঘোরাফেরা করেন ক্যা?
তার কথায় একটি ইঙ্গিত পেয়ে মনোযোগী হই, একটি সিগারেটের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলি আরও কিছুণ। দূর থেকে কেউ একজন হাত নেড়ে পুলিশ বক্সের দিকে যেতে ইঙ্গিত করে। সেদিকে পা বাড়াই।
রাস্তার মাঝখানেই পুলিশ বক্স, একপাশটা বেশ অন্ধকার। আবছা আলোয় দাঁড়িয়ে আছে তিনজন, সকলেই বোরকার আদলে মুখ ঢেকে রেখেছে। পায়ের চপ্পল আর নিজেদের মধ্যে কথা বলার ধরণ দেখে আঁচ করা গেল তাদের সম্পর্কে।
কিছুণ দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে কথা বলতে রাজি হলেন একজন। ঠিক হলো মিরপুরেই একটি বোর্ডিংয়ে গেলে ৫শ’ টাকা দিলেই কেবল তারা মুখ খুলবেন।
এই টাকাটার তিনশ’ই সেই বোর্ডিং এ দিতে হবে। বাজেট কম বলে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তখন পাশ থেকে একজন বলে উঠলেন, “ট্যাকা কম হইলে অন্য কিছু হবে না, লন হলে একসঙ্গে সিনেমা দেখি, খুশি কইর্যা দিবো। দুইশ টাকা দিলেই হবে। টিকেট আপনে কাটবেন।
”
সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিনেমা হলগুলোকে কেন্দ্র করে এক ধরনের যৌন বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। সিনেমা দেখার নাম করে খদ্দেরদের সঙ্গে নিয়ে হলের ভেতরেই চলে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। দালাল এবং খদ্দেরের কাছে এরা ‘ভাড়াটে বান্ধবী’ বলে পরিচিত। সিনেমা দেখার এই বিশেষ বান্ধবীরা একশ্রেণির দালাল ম্যানেজ করে হলের ভেতরে প্রবেশ করে। আর টাকাওয়ালা খদ্দের পেলে তাদের শেষ গন্তব্য হয় আবাসিক হোটেল কিংবা বোর্ডিং নামের অন্ধকার ঝুপড়ি ঘর।
আর এই ‘ভাড়াটে বান্ধবী’রা সবকিছু বিলিয়ে দেয়ার পর পায় একশ এবং দুইশ টাকা। বাকি টাকা চলে যায় বোর্ডিং, সিনেমা হলের দালালদের পকেটে।
সন্ধ্যা থেকে রাত এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা দুই শিফট ভাগ করে কাজ করে এই ভাড়াটে বান্ধবীরা। একেকজন দৈনিক আয় করে কমপে সাতশ থেকে এক হাজার টাকা। প্রায় ১৫ টি সিনেমাহলকে ঘিরে কমপে ২০ জনের একাধিক গ্রুপ থাকে।
গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ছিচকে ছিনতাইকারী-মাদকাসক্ত একাধিক চক্র। আর তাদের গতিবিধির সব তথ্যই থাকে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে, মেলে মাসোয়ারও। তাই রহস্যজনক কারণে তারা নীরব থাকেন।
অসমর্থিত একটি সূত্র দাবি করেছে, “দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দৈনিক চুক্তি-ই এই নীরবতার কারণ। ”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দালাল ও হোটেল-বোর্ডিং কর্মচারী বলেন, “ভাই, আমরা এই ট্যাকা একা খাইনা, হগল রে দিয়া হালাল কইরা খাই।
”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এক সিনেমা হল কর্মচারী বলেন, “এমনিতেই হলের অবস্থা খারাপ। ভেতরে তো খারাপ কিছু হয় না। তারা একসঙ্গে সিনেমা দেখে, সুযোগ পেলে গায়ে হাত দেয়। আর কিছু ভেতরে করার সুযোগ নাই। কেউ কেউ সময় কাটানোর জন্য আসে।
বেশি কিছু করলে সেটারও জায়গা আছে, তারা সেখানে যায়। পোষাক দেখে তো আর মানুষ চেনা যায় না। এরা গরীব, প্যাটের দায়ে করে, কিন্তু আশপাশে যারা থাকে সবাই তো এ থেকে টাকা খায়। ”
বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীতে ‘ভাড়াটে বান্ধবী’ শুধু সিনেমা হলকেন্দ্রিক নয়, বিভিন্ন বিনোদন পার্কেও এদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। এরা দালালদের সহায়তায় নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
সিনেমা হল ও বিনোদনস্পটগুলোকে তারা বেছে নেয় খদ্দের সংগ্রহ করার স্থান হিসেবে। খদ্দেরের সঙ্গে রফা হওয়ার পর সুবিধাজনক স্থান বেছে নেয়।
রাজধানীজুড়ে দিন দিন এই ধরনের যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই শ্রেণির যৌনকর্মীরা ভাসমান, তারা এক সময় একটি এলাকা বেছে নিয়ে কাজ করে। কাজের সন্ধানে রাস্তায় নামার পর তারা বোরকা পরে থাকে, দালালদের মাধ্যমেই তারা সবকিছু ম্যানেজ করে।
যারা নিয়মিত গ্রাহক তারা খুব সহজেই ‘ভাড়াটে বান্ধবী’দের অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারেন।
রাতভর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার কৌশল বদলে অনেকেই এ নতুন পথ ধরছে। রাজধানীজুড়ে এমন ‘ভাড়াটে বান্ধবী’র সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। সঙ্গে রয়েছে আরও প্রায় শতাধিক দালাল চক্র। এই ধরনের যৌনকর্মীদের চাহিদা স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে বেশি।
লেখাটি এই ওয়েব সাইট থেকে নেয়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।