আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেক্সিকোতে এলিয়েন(!?)

!! ভূত আর এলিয়েন কিন্তু মামাতো ভাই- গত একমাস ধরে ভূত আর এলিয়েন নিয়ে আমার মাথা নষ্ট হবার উপায়। যখনই নেটে ঢুকি তখনই এলিয়েন আর ভূত নিয়ে পড়ি। ইতিমধ্যেই একগাদা এলিয়েন আর ভূতের ছবি দেখেছি আর পোস্ট পড়ে ফেলেছি। বলা বাহুল্য এদের বেশীরভাগই হকস। তবে কয়েকটি এলিয়েন আর ভূতের ছবি বেশী রহস্যময়।

এবং এইসব রহস্য নিয়ে আমার চারপাশের সবাইকে জালিয়ে যাচ্ছি অনবরত। এলিয়েন এর অস্তিত্ব নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। দুনিয়া জুড়ে অজস্র মানুষ এলিয়েনে বিশ্বাসী আবার অবিশ্বাসীর সংখ্যাও কম নয় বরং বেশী। এলিয়েন দেখেছেন এমন দাবি অনেকেই হরহামেশা করে যাচ্ছেন। এলিয়েন এর ছবিও নেটে ঘাটলে কম পাওয়া যায় না।

তবে এরিয়া-৫১ এ থাকা একটি প্রাণী যাকে এলিয়েন বলে দাবি করা হয় এর পরেই বিখ্যাত এলিয়েন সম্ভবত মেক্সিকোতে প্রাপ্ত একটি প্রাণীর দেহ। যদিও কোনটিকেই নিশ্চিত করে কিছুই বলার উপায় নেই। তবে বাইরের গ্রহতে প্রাণী থাকাটা খুব বেশী অস্বাভাবিক বলে আমার মনে হয় না কারণ বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই প্রাণধারণের মত পরিবেশ আছে এমন গ্রহর সন্ধান দিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশ যেহেতু আছে তাই প্রাণী কেনই বা থাকবে না? ভূউউউতত- ২০০৭ এ মেক্সিকোর খামারি মারিও লোফেজ তার খামারের জন্তু ধরার ফাঁদ(ইঁদুর মারার কল জাতীয়) এ একটি ছোট প্রাণী আটকে থাকতে দেখেন। ছোট কদাকার এই প্রাণীটি দেখে কিছুটা ভীত হয়ে তিনি এটাকে সাথে সাথে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

কয়েক দফা চেষ্টার পর বেশ কয়েকঘন্টা পানির নীচে চুবিয়ে রেখে উনি এটাকে মেরে ফেলেন। মারার পর গুজব রটে এটি একটি এলিয়েন এর বাচ্চা। ভদ্রলোক দাবি করেছেন এই প্রাণীটিকে ধরার সময় অনুরুপ দেখতে আরেকটি প্রাণী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এবং এলাকাবাসীর দাবি হল এই ঘটনার পর তারা আকাশে একাধিক ফ্লাইং সসার উড়তে দেখেছেন। এসব মিলে এলিয়েন গুজব একবারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

মেক্সিকান টিভিতে এটি নিয়ে প্রতিবেদন দেখানো হলে বিজ্ঞানীরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। মৃত্যদেহ তারা উদ্ধার করে ডিএনএ এবং অন্যান্য টেস্ট করান। গিরগিটির মত কঙ্কাল ধারী প্রাণীটি বলা বাহুল্য আমাদের জানা কোনও প্রজাতির সাথে হুবহু মিল পরে না। প্রাণীটি পানির নীচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে স্বক্ষম ছিল। এর দাঁতের গঠন চেনা কোনও প্রজাতির সাথে মিলে না।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল এটির মস্তিষ্কর গঠন দেখে বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন এটা বেশ বুদ্ধিমান প্রাণীর বংশধর। প্রতিশোধধধধধধধ- এবার গল্পের মোড় নিচ্ছে অন্যদিকে। অনেকটা বাংলা সিনেমার মত। নাগকে মেরে ফেললে যেমন প্রতিশোধ নেয় নাগিনী তেমনি ব্যাপারটা। আস্ত একটা এলিয়েন এর বাচ্চা মেরে ফেলল বেটা খামারি আর এলিয়েনরা কিছু করবে না তা কি করে হয়।

ঘটনার কয়েকমাস পর ঐ খামারি গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে আগুন লেগে মারা যান। এলাকাবাসীর দাবি এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। এলিয়েন বাবা মা তার সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে। গুজবের পালে হাওয়া দেন ইউ,এফ,ও বিশেষজ্ঞ জে,পি,ওয়ারেন। তার মতে গাড়িতে আগুন লাগলে যে পরিমাণ তাপমাত্রা হতে পারে ঐ খামারির গাড়িতে তাপমাত্রা ছিল তার অনেকগুণ বেশী।

এত তাপ সৃষ্টি হল কিভাবে? এটা নিশ্চয় এলিয়েনদের কাজ! প্রতিশোধ পর্বে এভাবে লাগল হাওয়া। সত্যিই কি এলিয়েন?- সত্যি বলতে কি এলিয়েন এর বিশ্বাসযোগ্য ছবি পাওয়াটা আসলেই কঠিন। তবে এই প্রাণীটি কি আসলেই এলিয়েন কিনা তা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। জে.মসসেন সহ একাধিক ইউ,এফ,ও বিশেষজ্ঞ এটিকে এলিয়েন বলে রায় দিয়েছেন। আবার এটি একটি হোয়াক্স সে সম্পর্কেও অনেকেই মতামত দিয়েছেন।

তাদের কথা এটি কোনো আন্ডার ডেভেলপড বানর বা কাঠবিড়ালির বাচ্চা। আমি এই জিনিস প্রথম দেখার পর থেকে নিয়মিত ব্লগগুলোতে এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। দেখি নতুন কি কমেন্ট আসছে এই এলিয়েন নিয়ে। সত্যি বলতে কি বিশ্বাসীর চেয়ে অবিশ্বাসীর সংখ্যাই বেশী। তবে আমি নিজে ফিফটি ফিফটি এটি নিয়ে।

চাইলে এই ভিডিওটাও দেখতে পারেন। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।