অতিতে কখনো রাজনৈতিক নেতাদের চোরাই পথে হাটতে দেখা যায়নি। অবশ্য আত্নগোপন রাজনৈতিক সংস্কৃতি হিসাবে স্বীকৃত। বর্তমানে রাজনৈতিক নেতারা চোরের মত পালিয়ে থেকে বাচতে চায়। গতকাল বিএনপির সমাবেশে নিজেদের ফাটানো ককটেল নিয়ে নাটকীয়ভাবে কেন্দ্রীয় দফতরে এমন লুকোচুরি খেলে। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে সাবেক অতিরঞ্জিত মন্ত্রি আলতাফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকা ও জয়নাল আবদিন ফারুক মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন গ্রেফতার হন।
দীর্ঘ দুইমাস অফিসে বসেছিলেন রুহুল কবির রিজভী ও গ্রেফতার হন। তাদের দোসর মাহমুদুর রহমান তো এখনো দফতরেই আছে। অবশ্য মির্জা ফখরুল এই তুলনায় ভাল যে ছলচাতুরী করেননি। ইতোপূর্বে তিনিও সুপ্রীম কোর্টে বোরকা পড়ে হাজির হয়েছিলেন।
কয়েকদিন আগের হরতালে বিএনপির ৪ মহিলা এমপি যাদের ডাকসাইটে হিসাবে পরিচিতি আছে তারাও চোরের মত পালানোর চেষ্টা করেছেন।
একেবারে পুলিশকে জাবরে ধরে গাড়ি থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছেন। এহন কান্ড কোন এমপি করতে পারে এটি ভাবতেও পারে না সাধারণ মানুষ। আবার বিলাপ করেছেন পুলিশে কি করতাছে? বিএনপি নেতা পিন্টুও আইনজীবির পোষাকে পালাতে চেষ্টা করে সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় ধরা পড়েছিলেন। রাজনীতিবিদরা এমন চোরাই পথে হাটতে পারে আর সততার গর্জন করতে পারে এটি কেউ বিশ্বাসই করেতে পারে না। অথচ বিএনপি নেতারা তাই করল।
অন্তত যখন দরজা ভাঙছে পুলিশ তখনো তারা দরজা খুলে দিতে পারতো। কিন্তু চোরের মন পুলিশ পুলিশ। আর ওই যে ককটেল তাদের হেড অফিসে! এটি কি রাজনৈতিক দলের অফিস না, সন্ত্রাসী কোন দলের? ১৮ দলের কেউ কালকে ওই সমাবেশ থেকে ধরা পড়ল কেন? জামাত শিবির কি বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক ফাটালো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।