অভিমানীর মত চলে গেলেন বড় অসময়ে দেশের সূর্যসন্তান পপসম্রাট আজম খান। এই মানুষটাকে খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে ছিল ফারুকের, আমার। ঢাকায় কুব বেশি যাতায়াত ছিল না কোনকালেও। ১৯৯৯ সালের থার্টি ফার্স্টে পলাশ আমাদের সে সুযোগ করে দেয়। ঢাকায় তার কল্যাণে৫ দিন ছিলাম।
একদিন রিকশাযোগে তিন বন্ধু যাচ্ছি কমলাপুরের দিকে। হঠাৎ পলাশ বলে ওঠে, ওই যে তোদের গুরু। কীভাবে রিকশা থেকে লাফ দিই মনে নেই, শুধু জানি একেবারেই তার কাছাকাছি পৌছে যাই। তার গায়ে ছিল বিখ্যাত সেই খাকি রঙের শার্টখানি। হতবিহ্বল গুরু আমাদের কাণ্ডকারখানায় বেশ মজা পান।
বাড়ি কোথায় জিজ্ঞাসা করেন। যশোর জেনে তিনি খুশি হন। বলেন, তার খুব ইচ্ছা যশোরে গান করা। আমরাও তাকে আমন্ত্রণ জানাই।
এরপর অনেক দিন পার হল।
স্টেজে গান শুনি, তাকে দেখি। তার গান শুনি।
কিন্তু তার সে ছোট্ট আশাখানি আমরা মেটাতে পারিনি, গুরু ক্ষমা চাইছি। আমাদের মত নাদান এই অসহায় মানুষকে মাফ করুন। ক্ষমা করে দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।