ডিজিটাল দিনাজপুর ## নানা আলোচনা-সমালোচনা আর দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে অতঃপর কেমো থেরাপির জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দিলেন আজম খান। গতকাল রাত ১১টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স যোগে তিনি রওনা দেন। গতকাল দুপুরে বিমানের টিকিট কনফার্ম করার পর এমনটাই নিশ্চিত করে জানালেন পপ সম্রাট আজম খান।
এবারও তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার ছেলে হৃদয় খান। প্রায় আড়াই মাসের এই সফরে মাউন্ট এলিজাবেথ মেডিকেল সেন্টারের ইএনটি হেড-নেক সার্জন বিভাগের প্রধান এন্ড্রু লয় হেং চেং এর তত্ত্বাবধানে আজম খানকে ছয়টি কেমো দেয়ার কথা রয়েছে।
আজম খান জানান, কেমো থেরাপির জন্য টানা দুই-আড়াই মাস তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশ জীবন অনেক কষ্টের, হোটেল জীবন আরও কষ্টের। এই কষ্টের কথা ভেবেই আবার সিঙ্গাপুর যেতে চাইনি। ভেবেছিলাম দেশেই কেমো দেয়া সম্ভব। পরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে বুঝলাম- কষ্ট হলেও কেমোটা সিঙ্গাপুরেই দেয়া ভাল হবে।
তার ওপর এক মাস আগেই কেমো দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। শরীরটাও ভীষণ খারাপ, গেল এক মাসে আমার ছয় কেজি ওজন কমেছে। মুখে রুচি নাই। প্রেসার আপ-ডাউন করছে। জানি না সিঙ্গাপুর গিয়ে কি হয়।
আজম খান দ্বিতীয় দফায় দেশ ছাড়ার আগে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। যেন সুস্থ শরীরে আবার ফিরে আসতে পারেন। এদিকে কেমো থেরাপি ও সিঙ্গাপুরে থাকা খাওয়ার জন্য মোটা দাগের অর্থ নিয়ে আপাতত তেমন কোন চিন্তা নেই বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান কুল এক্সপোজারের প্রধান এরশাদুল হক টিংকু। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আজম খানের মুখ গহ্বরে-জিহ্বার নিচে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর ১৪ই জুলাই উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে শিল্পীদের সম্মিলিত উদ্যোগে পপ গুরুকে পাঠানো হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
এরপর গেল ২০শে জুলাই মাউন্ট এলিজাবেথ মেডিকেল সেন্টারের ইএনটি হেড-নেক সার্জন বিভাগের প্রধান এন্ড্রু লয় হেং চেং এর তত্ত্বাবধানে আজম খানের মুখে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
সূত্র :: দৈনিক মানবজমিন,
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।