আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিমতলীর রুনার ঘরে নতুন অতিথি

তাশফী মাহমুদ নিমতলীর ধ্বংসসত্ম্থপের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা 'রুনা-জামিলে'র সংসারে নতুন অতিথি এসেছে। সেই সুবাদে এবার দেশেই নানু হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গর্ভজাত কন্যা পুতুলের সন্তান হবার সুবাদে আগেই নানু হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও এবারের নানু হওয়ার স্বাদটা একটু ব্যতিক্রমী। মায়ের মমতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরণ করে নেয়া নিমতলীর আগুনে প্রিয়জনসহ স্বর্বস্ব হারানো তিন কন্যার এক কন্যা রুনা শনিবার গভীর রাতে একটি পুত্রসস্তনের জন্ম দিয়েছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নতুন শিশুটি ভূমিষ্ঠ হলেও মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছে।

তবে আজিমপুর মাতৃসদনের ৪ তলার ৪০৫ নম্বর কেবিনে এখনও চিকিৎসকের পরিচর্যায় রয়েছেন মা ও শিশু। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সেই গভীর রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রুনা-রত্নার উকিল বাবা এমএ আজিজ ও সাবেক সাংসদ হাজী সেলিম সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন পরিবারটির সঙ্গে। রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এই সুসংবাদ জানানো হলে নাতিকে শুভেচ্ছাও জানানো হয় বলে রম্ননার স্বামী জামিল জনকণ্ঠকে জানান। ফুটফুটে পুত্রসন্তানের গর্বিত পিতা হতে পারায় যারপরনাই উচ্ছ্বসিত জামিল জানান, আগের রাতেই রম্ননা, রত্না এবং স্বামীসহ তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাৰাত করেন। সে সময়ই রম্ননা মা হতে যাচ্ছে সংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী রম্ননাকে বুকে টেনে নিয়ে প্রাণভরে দোয়া করে দেন।

এরপর শরিবার রাত ১১টার দিকে রম্ননার অকস্মাৎ 'লেবার পেইন' উঠলে তাকে আজিমপুর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সোয়া একটার সময় সনত্মানের জন্ম হয়। এ সময় তাঁর উকিল বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ সঙ্গে ছিলেন। হাজী সেলিম নিজে আসতে না পারলেও লোক পাঠিয়ে সর্বৰণিক খবরা খবর রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও সর্বৰণিক বিষয়টি মনিটর করা হয়।

রবিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে হাস্যোজল এই পরিবারটিকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে কতবড় দুঃসহ যন্ত্রণার প্রহর পেছনে ফেলে এসেছে তারা। হাসপাতালে উপস্থিত জামিলের বড় ভাই সৈয়দ আসির আলী নবজাতককে কোলে নিয়ে আবেগাপস্নুত কণ্ঠে বলেন, গেল বছরের ৩ তারিখ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। ৪ তারিখ তাদের দাফন-কাফন হলো। সে ঘটনার বছর ঘুরে আসার ঠিক পরের দিন আলস্নাহ অশেষ নেয়ামত দান করলেন। রম্ননার খালা পুষন, পুষনের স্বামী সুমন, রত্না তখন সবাই টানাটানি করে বাচ্চাটিকে কোলে নেয়ায় ব্যসত্ম।

যেন আনন্দ আর ধরে না। নবজাতকটির চেখেমুখে বিস্ময়, শুধু এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। রম্ননাকে তখনও পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ড থেকে কেবিনে দেয়া হয়নি। বাচ্চা সুস্থ থাকায় তাকে আগেই দেয়া হয়েছে। নবজাতককে নিয়ে যেন স্বজনদের মধ্যে কোলে তুলে নেয়ার প্রতিযোগিতা চলতে দেখা গেল।

জামিল জানালেন, বাচ্চার নাম তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছেন, সৈয়দ আলী মুর্তজা। তার পরও রম্ননা কেবিনে এলে তার সঙ্গে কথা বলেই নাম চূড়ানত্ম করা হবে। তিনি জানান, এমনিতে কোন সমস্যা নেই। তবে শিশু এখনও মায়ের দুধ পায়নি এটাই যা সমস্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটা ঠিক হয়ে যাবে।

১৮/১০ হোসেনি দালান নিবাসী জামিল, বিয়ের এক মাস পরেই দুবাই চলে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। এবার দেশে এসে থেকে যাওয়াই মনস্থির করেছেন। যে কারণে চাকরির জন্য কাগজপত্র গণভবনে জমা করেছেন বলে জানান। শীঘ্রই এ বিষয়ে পদৰেপ নেয়া হবে বলেও নাকি তাকে গণভবন থেকে আশ্বসত্ম করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, নিমতলীর ভয়াবহ অগি্নকা-ে রম্ননা ও রত্না দু'বোন এবং আসমার স্বজনরা নিহত হয়।

সবহারা এই মেয়েদের নিজের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করে সেদিন মানবতার এক অনন্য দৃষ্টানত্ম স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। আগুনে পুড়ে স্বজন হারানোয় বেদনার্ত এই অসহায় মেয়েগুলোর মাথায় স্নেহের হাত রেখে তিনি সেদিন যে দৃষ্টানত্ম উপস্থাপন করেন তা এক বিরল ঘটনা। এর পর থেকেই তিনি মেয়েদের জন্য মায়ের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। একই দিনে নিজের মেয়ে হিসেবেই যথাযোগ্য মর্যাদায় ঘটা করে গণভবনে তাঁর তিন কন্যার বিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাদের পাছে কোন কারণে শাশুড়িবাড়িতে কথা শুনতে হয়, সেজন্য স্বামীদের চাকরি দেয়াসহ কনেদের গয়না-গাটি, ঘরের জন্য আসবাবপত্র, ফার্নিচার-কোন কিছুরই কমতি হতে দেননি তিনি।

এর পর থেকেই নানা বিশেষ দিনে তাদের খোঁজ খবর নেয়া এবং ভালমন্দের দেখভালও করা হয় গণভবন থেকে। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য, প্রধানমন্ত্রীর অপর কন্যা আসমাও সনত্মানসম্ভবা। তাঁর সম্ভাব্য তারিখ পড়েছে আগস্ট মাসে। নিমতলীর ধ্বংসসত্ম্থপের মধ্য থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা 'রম্ননা-জামিলে'র সংসারে নতুন অতিথি এসেছে। সেই সুবাদে এবার দেশেই নানু হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গর্ভজাত কন্যা পুতুলের সন্তান হবার সুবাদে আগেই নানু হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও এবারের নানু হওয়ার স্বাদটা একটু ব্যতিক্রমী। মায়ের মমতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরণ করে নেয়া নিমতলীর আগুনে প্রিয়জনসহ স্বর্বস্ব হারানো তিন কন্যার এক কন্যা রুনা শনিবার গভীর রাতে একটি পুত্রসস্তনের জন্ম দিয়েছেন। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নতুন শিশুটি ভূমিষ্ঠ হলেও মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছে। তবে আজিমপুর মাতৃসদনের ৪ তলার ৪০৫ নম্বর কেবিনে এখনও চিকিৎসকের পরিচর্যায় রয়েছেন মা ও শিশু। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় সেই গভীর রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রুনা-রত্নার উকিল বাবা এমএ আজিজ ও সাবেক সাংসদ হাজী সেলিম সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন পরিবারটির সঙ্গে।

রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এই সুসংবাদ জানানো হলে নাতিকে শুভেচ্ছাও জানানো হয় বলে রম্ননার স্বামী জামিল জনকণ্ঠকে জানান। ফুটফুটে পুত্রসন্তানের গর্বিত পিতা হতে পারায় যারপরনাই উচ্ছ্বসিত জামিল জানান, আগের রাতেই রম্ননা, রত্না এবং স্বামীসহ তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাৰাত করেন। সে সময়ই রম্ননা মা হতে যাচ্ছে সংবাদ শুনে প্রধানমন্ত্রী রম্ননাকে বুকে টেনে নিয়ে প্রাণভরে দোয়া করে দেন। এরপর শরিবার রাত ১১টার দিকে রম্ননার অকস্মাৎ 'লেবার পেইন' উঠলে তাকে আজিমপুর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সোয়া একটার সময় সনত্মানের জন্ম হয়।

এ সময় তাঁর উকিল বাবা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ সঙ্গে ছিলেন। হাজী সেলিম নিজে আসতে না পারলেও লোক পাঠিয়ে সর্বৰণিক খবরা খবর রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও সর্বৰণিক বিষয়টি মনিটর করা হয়। রবিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে হাস্যোজল এই পরিবারটিকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে কতবড় দুঃসহ যন্ত্রণার প্রহর পেছনে ফেলে এসেছে তারা। হাসপাতালে উপস্থিত জামিলের বড় ভাই সৈয়দ আসির আলী নবজাতককে কোলে নিয়ে আবেগাপস্নুত কণ্ঠে বলেন, গেল বছরের ৩ তারিখ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি।

৪ তারিখ তাদের দাফন-কাফন হলো। সে ঘটনার বছর ঘুরে আসার ঠিক পরের দিন আলস্নাহ অশেষ নেয়ামত দান করলেন। রম্ননার খালা পুষন, পুষনের স্বামী সুমন, রত্না তখন সবাই টানাটানি করে বাচ্চাটিকে কোলে নেয়ায় ব্যসত্ম। যেন আনন্দ আর ধরে না। নবজাতকটির চেখেমুখে বিস্ময়, শুধু এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে।

রম্ননাকে তখনও পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ড থেকে কেবিনে দেয়া হয়নি। বাচ্চা সুস্থ থাকায় তাকে আগেই দেয়া হয়েছে। নবজাতককে নিয়ে যেন স্বজনদের মধ্যে কোলে তুলে নেয়ার প্রতিযোগিতা চলতে দেখা গেল। জামিল জানালেন, বাচ্চার নাম তিনি আগেই ঠিক করে রেখেছেন, সৈয়দ আলী মুর্তজা। তার পরও রম্ননা কেবিনে এলে তার সঙ্গে কথা বলেই নাম চূড়ানত্ম করা হবে।

তিনি জানান, এমনিতে কোন সমস্যা নেই। তবে শিশু এখনও মায়ের দুধ পায়নি এটাই যা সমস্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটা ঠিক হয়ে যাবে। ১৮/১০ হোসেনি দালান নিবাসী জামিল, বিয়ের এক মাস পরেই দুবাই চলে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। এবার দেশে এসে থেকে যাওয়াই মনস্থির করেছেন।

যে কারণে চাকরির জন্য কাগজপত্র গণভবনে জমা করেছেন বলে জানান। শীঘ্রই এ বিষয়ে পদৰেপ নেয়া হবে বলেও নাকি তাকে গণভবন থেকে আশ্বসত্ম করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, নিমতলীর ভয়াবহ অগি্নকা-ে রম্ননা ও রত্না দু'বোন এবং আসমার স্বজনরা নিহত হয়। সবহারা এই মেয়েদের নিজের মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করে সেদিন মানবতার এক অনন্য দৃষ্টানত্ম স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। আগুনে পুড়ে স্বজন হারানোয় বেদনার্ত এই অসহায় মেয়েগুলোর মাথায় স্নেহের হাত রেখে তিনি সেদিন যে দৃষ্টানত্ম উপস্থাপন করেন তা এক বিরল ঘটনা।

এর পর থেকেই তিনি মেয়েদের জন্য মায়ের দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করে যাচ্ছেন। একই দিনে নিজের মেয়ে হিসেবেই যথাযোগ্য মর্যাদায় ঘটা করে গণভবনে তাঁর তিন কন্যার বিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাদের পাছে কোন কারণে শাশুড়িবাড়িতে কথা শুনতে হয়, সেজন্য স্বামীদের চাকরি দেয়াসহ কনেদের গয়না-গাটি, ঘরের জন্য আসবাবপত্র, ফার্নিচার-কোন কিছুরই কমতি হতে দেননি তিনি। এর পর থেকেই নানা বিশেষ দিনে তাদের খোঁজ খবর নেয়া এবং ভালমন্দের দেখভালও করা হয় গণভবন থেকে। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য, প্রধানমন্ত্রীর অপর কন্যা আসমাও সনত্মানসম্ভবা।

তাঁর সম্ভাব্য তারিখ পড়েছে আগস্ট মাসে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।