প্রখ্যাত রাজনীতিক-সাংবাদিক রণেশ মৈত্র তার এক কলামে লিখেছিলেন নিজে বাঁচতে চাইলে, অপরকে বাঁচাতে হয়, আজ এই নিমতলীর মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পর সেটা আবার নতুন ভাবে উপলদ্ধি করছি। আমরা যদি প্রশ্ন করি কে নেবে এই ১১৭ জন মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দায়ভার ,আমি জানি কেউ নেবেনা প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী যাবেন সমবেদনা জানাবেন এই পর্য্ন্তই কিন্তু তাঁরা কি পারবেন সেই সব ফুটফুটে শিশুদের ফিরিয়ে দিতে, পারবেন কি সেই বিয়ে বাড়ীকে ফিরিয়ে দিতে যেখানে নতুন স্বপ্ন বোনা হচ্ছিল।আমরা জানি তাঁরা পারবেন না।
এই রাজধানী ঢাকাতে রাজউক বলে একটা প্রতিষ্ঠান আছে যারা চাইলে এধরণের দূ্র্ঘটনা রোধ করতে পারত, কিন্তু সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা কিছু টাকার লোভের জন্য ছাড়পত্র দিয়ে দেয় আবাসিক বাড়ীতে রাসায়নিক কারখানা খোলার জন্য, তারা একবার ভেবে দেখেনা এর পরিণতি কি? ঢাকা শহরের বেশিরভাগ বাড়ীওয়ালা বাড়ী তৈরীর সময় নূ্ন্যতম নিয়ম মানেনা কিন্তু তারা জানেনা তাদের এই কিছু সামান্য টাকার লোভ শেষ করে দেয় অসংখ্য পরিবার,অঙ্কুরেই নষঠ করে দেয় অনেক আশাকে আর মূত্যু ঘটায় অসংখ্য স্বপ্নের।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।