আমার ব্যক্তিগত ব্লগ শাফিনকে (আমার ২বছরের ছেলে) নিয়ে গিয়েছি বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে। নানা হাবিজাবি খেয়ে মহাশয় বমি করে দিলেন। যে কোন সমস্যায় যার কাছে যান, এবারও সেই আমার কাছে এলেন এবং পুরো বমি আমার উপর করে দিলেন। এখন কথা হলো ব্যাগে সবসময় শাফিনের এক্সট্রা জামা থাকে, আমার তো আর থাকে না। কি আর করা, বাথরুমে গিয়ে সব ধুয়ে নিলাম।
কেনাকাটা তখনও শেষ হয়নি। তাই ভেজা জামা নিয়েই এরপর গেলাম মগবাজার আড়ং এ। আমার মতোন স্বাস্থ্যবান মানুষের রেডিমেড জামার জন্য আড়ং ছাড়া গতি নেই। সি এন জিতে যেতে যেতেই জামা শুকিয়ে গেল।
আড়ং এ কাপড় দেখার সময় সব সময়ই আমি যেই সমস্যায় পড়ি, সেটা হলো।
আমি একটা জামা দেখছি, এমন সময় আরেক জন সেটা হাতে নিয়ে দেখা শুরু করে দেয়, কখনও কখনও আমাকে ঢাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিজের জায়গা করে নিয়ে জামা দেখতে থাকে। এদের বিচার বিবেচনা নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কোন জায়গায় থাকে না। যাই হোক এবার এক মেয়ে এসে আমার পাশে দাড়িয়ে আমি যেই রোয়ের জামা দেখছিলাম সেখানে জামা দেখা শুরু করলো। এবং এক মুহূর্তে জায়গা ছেড়ে চলে গেল। বুঝলাম ছেলের কল্যানে আজ শান্তিতে জামা দেখতে পারবো।
বমির দুর্গন্ধে কেউ আর ডিস্টার্ব করবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।