A candy-colored clown they call the Sandman.Tiptoes to my room every night.Just to sprinkle stardust and to whisper "Go to sleep, everything is all right" আমরা অনেকেই পেট পুরে খেতে ভালবাসি। আর সেটা যদি হয় প্রিয় কোন খাবার তাহলে তো কথাই নেই। আপনার প্রিয় খাবারটিই আপনার জন্য হতে পারে বিষ ।
যেমন কিছুদিন আগে অতিরিক্ত কফি পানে ইংল্যান্ডে যুবকের মৃত্য।
হ্যা আসলেই তাই,পুস্টিকর প্রিয় খাবার বা পানীয়টি বেশী বেশী খেলে এই খাবারটিই হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারন।
বিশ্বাস না হলে নীচের লেখাগুলোয় চোখ বুলিয়ে যান:
ফল:
হ্যা , আবারো বলছি হ্যা , 'প্রতিদিন অন্তত পাঁচটি ফল খাও' -এই প্রবাদটি আপনার মৃত্যুর কারন হয়ে যেতে পারে যদি কোন বিশেষ ফল আপনার খাবারের তালিকায় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
যেমন ধরুন আপেলের ব্যাপারটি ,
A bite out of an apple may
keep the dentist away
- একটি ইংরেজি প্রবাদ।
এই আপেলে রয়েছে সায়ানাইড বিষ আর তাই অতিরিক্ত আপেল ভক্ষনে আপনার মৃত্যুর ঘন্টা বেজে উঠতে পারে । ইংল্যান্ডের রাজা কিং জন ১২১৬ সালে মারা যান অতিরিক্ত কাঁচা পীচ ফল খাওয়ার জন্য। চেরি হচ্ছে আরেকটি ভয়ানক ফল,এর নস্ট বীচিতে রয়েছে হাইড্রোজেন সায়ানাইড ।
ভুল করেও চেরির নস্ট বীচিতে কামড় দিলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগেই আপনি পটল তুলতে পারেন।
মাশরুম :
জনপ্রিয় স্ট্র মাশরুমের মতই দেখতে আরেকটি মাশরুম 'ডেথ ক্যাপ'। নামেই এর পরিচয়। ভুল করে ডেথ ক্যাপ খেলে আপনার কিডনি এবং লিভার ড্যামেজ হতে পারে । এতে রয়েছে ভয়ানক আলফা এমানিটিন বিষ।
রোম সম্রাট ক্লডিয়াস এবং চার্লস-৬ মারা যান ডেথ ক্যাপের বিষ ক্রিয়ায়। তবে এটা খাওয়ার পর আপনি কিডনি এবং লিভার ট্রানসপ্ল্যান্টের মাধ্যমে বেঁচে যেতে পারেন ।
আলু:
সবুজ গোলআলু হতে সাবধান। সুস্বাদু বাদামি আলু যখন সবুজ হয়ে যায় তখন তা ভরপুর থাকে ক্ষতিকারক ভয়ানক সোলানিন বিষে । তাই সবুজ আলু যদি খেতেই হয় ,খুব বেশি আগুনে সেদ্ধ করে নিবেন ।
তবে মৃত্যু ভয় থাকলে না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
মধু:
অপাস্তরিত অর্গানিক মধুতে থাকতে পারে বিষাক্ত গ্রেয়ানোটক্সিন।
তাই অতিরিক্ত অপাস্তরিত মধুপানে আপনার গা ছেড়ে দিতে পারে । তারপর গা ঘামা , বমি এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে চির তন্দ্রা।
টমেটো:
সালাদের সাথে যদি টমেটোর বোটা বা পাতা বোনাস হিসেবে পেয়ে যান তবে সযত্নে এবং নিজ স্বার্থে তা ফেলে দিবেন ।
নয়ত আপনার পাকস্থলী হতে পারে ক্ষতবিক্ষত ।
আর কাঁচা টমেটো না খাওয়া ভাল। কারন এতে রয়েছে টমেটাইন বিষ। অতিরিক্ত কাঁচা সবুজ টমেটো ভক্ষনে সেলমোনেলোসিস আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে পারে । তবে কাঁচা টমেটো ভেজে বিষ ক্রিয়ার মাত্রা কমিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আলমন্ড বাদাম:
প্রতিটি তিতকুটে আলমন্ডে রয়েছে ৪~৯মিলিগ্রাম হাইড্রোজেন সায়ানাইড । তাই বিটার আলমন্ড খাওয়ার আগে আপনার মোবাইলে ডাক্তারের নাম্বার সেভ করা আছে কিনা দেখে নেবেন। তবে ভাল করে ভাজা আলমন্ডে সায়ানাইডের পরিমান কম থাকে ।
যয়ত্রী বা জয়ফল:
যয়ত্রী বা নাটমেগ হচ্ছে হ্যাল্যুসিনোজেটিগ ড্রাগ। এর ০.২ আউন্স মাত্রা আপনার মানসিক বিপর্যস্ততার জন্য যথেস্ঠ।
০.৩ আউন্সের এফেক্ট হচ্ছে নিশ্চিত হ্যাল্যুসিনেশন। আর মাত্রার হেরফের সাক্ষাত মৃত্যু। আমাদের দেশে খাবারের সুগন্দ্ধ বাড়াবার জন্য অতি আল্প মাত্রায় জয়ফল ব্যবহার করা হয়।
ব্লো ফিশ বা ফুগো:
ফুগো জাপানিজ সাশিমি বা র-ফিশ হিসাবে বিখ্যাত । বলা হয় অন্তত ৩ থেকে ৪ বছরের অভিজ্ঞ শেফ-ই একটি নিরাপদ খাবার যোগ্য ফুগো ডিশ বানাতে পারেন ।
ফুগোতে রয়েছে টেট্রোডটোক্সিন বিষ যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। ফুগোর বিষে পটল তুলতে সময় লাগে ৪ থেকে ২৪ ঘন্টা । বিষ ক্রিয়ায় মৃত্যুর হার ৫০% থেকে ৮০%। জাপানিজ টক্সিকোলজিস্টগন এই ফুগোর বিষের উপর এখনো গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তথ্যসূত্রhttp://www.foxnews.com 5th March 2010
http://www.wikipedia.org
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।