আগ্রহ মোর অধীর অতি— কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা। কোনটা যে প্রেম, আর কোনটা যে বন্ধুত্ব সেটা বোঝার আগেই তোমার প্রেমে পড়েছিলাম।
তুমি আমি যখন, প্রাইভেট শেষে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যেতাম, তখন ভাবতাম এটা বন্ধুত্ব। আর প্রতিদিন পড়া ফাঁকি দিয়ে তোমার জন্য গল্প লিখে নিয়ে যেতাম, ওটাকে ভাবতাম- বন্ধুত্তের প্রুতি টান।
কিন্তু, তোমার যখন বিয়ে হয়ে গেলো, অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম, ওটা আসলে ছিল ভালোবাসা। এখন দিন যায় আর আমার ভালোবাসা গাড় হয়...... বুঝলা?? ঠিক তুমিও যখন ব্যাপারটা বুঝলা, তখন পিছন ফিরে দেখলা তিন বছর পার হয়ে গেছে।
আমি যেমন সাহস করে আমার ভালবাসার কথাটা বলতে পারি নাই, তুমিও তেমনি বুঝতেই পারনাই এটা ছিল প্রেম। তুমি ঠিক যতটুকু বোকা ছিলা, আমি ঠিক ততোটুকুই ভীতু ছিলাম। তোমার সুন্দয্য, মেধা, রক্ষণশীলতাকে যেমন ভয় পেতাম, তেমনি ভয় পেতাম মা-বাবা আর সমাজকে।
আর সবচেয়ে ভয়পেতাম আমাদের কুয়াশা ঢাকা বন্ধুত্বটাকে।
এখন সকালে যখন ঘুম ভাঙ্গে, চোখা মেলে দেখি পাশে তুমি নাই। তখন ভাবি, ইসস; কি ক্ষতি হতো যদি একটু সাহস করতাম। হয়তো লোকে ছিঃ ছিঃ করতো। তোমার আমার বাবা-মা মিলে গাল মন্দ করতো, কিন্তু তারপরও তুমি তো আমার পাশে থাকতে...... সকালে চায়ের কাপটা তো তোমার হাত থেকে নিতে পারতাম......রাতে বাসায় ফিরে বাজারের ব্যাগটা তোমার হাতে দিয়ে, তাড়াহুড়া করে সোফায় ঘামে ভেজা শরীর এলিয়ে দিয়ে বসতে যেতাম, তখন তুমি ও সূচি নিয়ে বলতে, ছিঃ ছিঃ কি কর? ওঠো, বাথরুম যাও, হাত মুখ ধুয়ে আসো।
আমি যেতে চাইতাম না, তুমি আমাকে টেনে তুলতে। বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখতাম তুমি তোয়ালা হাতে হাসি মুখে দাড়িয়ে আছও......আর কিছু না হোক, অসুখে ভোগা রাতগুলোতে তো বিনিদ্র নয়নে তোমাকে পাশে পেতাম। ইসস, কি ক্ষতি হতো, যদি একটু সাহস করতাম।
আমার মতো ভিতুরা যে কেন প্রেমে পড়তে যায়, আমি বুঝি না। তুমিই ভালো করেছো, আমার ভালোবাসা বুঝতে পারনাই।
আমি ভীতু, তুমি বোকা। আমাদের ভালোবাসা কি জমত, তুমিই বলও??? তার চেয়ে এই ভালো, আমিও যেমন ভালোবাসা হারিয়ে সবখানেই ভালোবাসা(তোমাকে) খুঁজি, তুমিও তেমনি ভালোবাসা কি, তা না বুঝেই ও পরিচিত একজনকে ভালোবেসে ফেলেছ।
শুধু এতটুকুই আফসোস, ভালোবাসা আমাদের পাশ কেটে চলে গেলো, অথচ আমারা তাকে ধরতে পারলাম না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।