আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কুরিয়ার ও ডাক সেবা

ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কুরিয়ার সার্ভিস তাদের দায়িত্ব ঠিক মত পালন করছে না। ফলে ইন্টিমেশন জমা দান কারি পরীক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ পরবর্তী করনীয় কাজ সময় মত জানতে পারছে না। দুর্নীতি আজ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করছে। এরপর দুর্নীতির উপার্জিত অর্থ নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছে।

কুরিয়ার সার্ভিসে চিঠি না পাঠিয়ে বলা হবে আপনার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আপনি পাননি। এমন ধরনের কথা আপনি ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন শাখা অফিসে গিয়ে শুনতে পারবেন। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায় ইন্টিমেশন জমা দান কারি যেসব সনদ পরীক্ষার্থী ঢাকার বাইরে অবস্থান করে তাদের চিঠি ডাকে পাঠানো হয়। ঢাকায় বসবাসকারী সনদ পরীক্ষার্থীদের চিঠি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

কিন্তু একাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগ তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে কিনা তা অস্পষ্ট। ইন্টিমেশন জমা দানকারী কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা গেলো । তাদের কেউ কেউ চিঠি পেয়েছে। কেউ কেউ পায়নি। যারা পায়নি তারা বার অফিস থেকে চিঠি সংগ্রহ করেছে।

এখন প্রশ্ন হলও বার অফিস কি সত্যিই চিঠি না পাওয়া পরীক্ষার্থীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলো? নাকি চিঠি না পাঠিয়ে তারা কুরিয়ার ও ডাকের টাকা মেরে দিচ্ছে। এটি কিভাবে প্রমাণ করা যায়? কুরিয়ার বা ডাকে পাঠানো চিঠি মিস হতে পারে। কিন্তু তার সংখ্যা কত? এটি যদি অনেকের ক্ষেত্রে ঘটে তবে একে কুরিয়ার বা ডাকের ভুল ভাবা কি যৌক্তিক? চিঠি না পাওয়া এক পরীক্ষার্থীর কাছে জানা গেলো তিনি চিঠির আশায় বসেছিলেন। কিন্তু চিঠি না পেয়ে বার অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে চিঠি দেওয়া হয়ে গেছে বলে জানান। তারপর তাকে এক কপি চিঠি সেখান থেকে প্রিন্ট করে দেওয়া হয়।

প্রতি বছর বহু ছাত্র ছাত্রী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অফিস থেকে ইন্টিমেশন ফরম ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করে তা পূরণ করে ৪০০(চারশত) টাকার ব্যাংক ড্রাফট সহ জমা দেয়। সনদ পরীক্ষার্থীরা সশরীরে এ কাজটি করেন। অনেকে নিজেদের পরিচিত লোক দিয়েও করান। এখন প্রশ্ন হলো একজন সনদ পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ থেকে জমাদান সহ যাবতীয় সকল কাজ যদি নিজ উদ্যোগে করতে পারেন তবে নিজ উদ্যোগে চিঠি সংগ্রহ কেনো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অফিসে গিয়ে করতে পারবে না? যেটি বাংলাদেম বার কাউন্সিল অফিসের রেজিস্ট্রেশন শাখা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। চিঠি দিয়ে কাউকে তা জানানো হবে আর কাউকে চিঠি না দিয়ে তাকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অফিসে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে।

এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দুর্নীতি লুকিয়ে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সকলকে বলে দেয় ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর নিদিষ্ট তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ও পরবর্তীতে করনীয় বিষয় গুলো বার অফিসে গিয়ে জেনে নিতে অথবা ওয়েব সাইট থেকে জেনে নিতে তাহলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.