শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলো থেকে দূরপাল্লার অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু হয়েছে।
ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে কাউন্টারগুলোতে।
টিকেট পেতে অনেককে দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এমনই একজন ইমরান হোসেন শ্যামলীর কলেজ গেটে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বললেন, “পরিবারের সাথে ঈদ করতে না পরলে আসলে ঈদের কোনো আনন্দ নেই।
তাই একটু কষ্ট করে হলেও দেশের বাড়িতে যেতে চাই। ”
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমরান গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের টিকেট নিতে এসেছেন একটু আগেভাগেই।
তিনি বলেন, “প্রথমদিন না আসলে ভালো টিকেট পাওয়া যায় না। বোঝেনই-তো অনেক দূরের রাস্তা। তাই সকাল সকালই এসেছি।
”
সেখানেই কথা হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রিফাত রায়হানের সঙ্গে। ৪ অগাস্টের পঞ্চগড়ের অগ্রিম টিকেট নিয়েছে সে।
রায়হান বলেন, “বাড়িতে বাবা-মা আছে, তাই যেতে হবে। আগেভাগে না আসলে পরে টিকেট পেতে অনেক সমস্যা হয় তাই সকালে এসেছি। ”
টিকেটের জন্য সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এমন ভিড় সামলাতে হিসসিম খেতে হয়েছে কাউন্টারের কর্মচারীদের।
মিরপুর মাজার রোডের দর্শনা ডিলাক্সের একটি কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা বাপ্পি বলেন, সকাল থেকে অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু হয়েছে। প্রথমদিন হওয়ায় ভিড় একটু বেশি।
কলেজগেট এলাকায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের প্রধান বুকিং অফিসেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে।
কাউন্টারের ব্যবস্থাপক রনি জানান, শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট।
তিনি বলেন, “প্রথমদিন হওয়ায় ভিড়টা স্বাভাবিকভাবেই বেশি।
সবাই ভালো আসনটি পেতে চান। তবে দু-এক দিনের মধ্যে ভিড় কমে যাবে। ”
মালিবাগে অবস্থিত সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের ফাহমিদা বলেন, সকাল থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। সকালের দিকে ভিড় একটু বেশি ছিলো।
একইচিত্র চোখে পড়েছে শ্যামলীর বাবলু পরিবহন, কল্যাণপুরের এসআর ট্রাভেলস, টিআর ট্রাভেলস, আসাদ গেটের শ্যামলী পরিবহন, গাবতলীর নাবিল পরিবহন, ঈগল পরিবহন, রোজিনা পরিবহন এবং পাবনা এক্সপ্রেস কাউন্টারেও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।