বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ...
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এবং অভিজ্ঞতা থেকে যে ব্যাপারটি দেখে এখন আমি প্রতিনিয়ত মর্মাহত হই তা হলো শিক্ষকদের মাদক গ্রহণ। আমার পার্বতীপুর এলাকার বেশকয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু মাদকাসক্ত শিক্ষকদের দেখে আমার একটা ধারনা তৈরী হয়েছে যে আমাদের দেশের প্রায় প্রতিষ্ঠান গুলোতে এই ধরনের কিছু মাদকাসক্ত শিক্ষক আছেন। এটার পরিমান অল্প হতে পারে আবার অনেকও হতে পারে। তবে আমার কথা কিন্তু এখানে না। সে দিন আমার এক ছোট ভাই আমাকে বলছিল
-ভাই অমুক স্যার কি ডাইল (ফেন্সিডিল) খায়?
-আমি বললাম না তো
-না ভাই খায় আওনি জানেন না।
-তুই জানিস কিভাবে?
- কামুদের বাসায় গত শুক্রবার তামিম ডাইল খাইতে গেছে দেখে স্যার ডাইলের বোতল গলায় ঢালতেছে। পালিয়ে আসতে ধরলেও তামিমকে স্যার দেখে ফেলেছে।
আমি অবাক হয়ে তার কথা শুনলাম। আমাদের এলাকার একটা স্বনামধন্য কলেজের একজন শিক্ষক যে ফেন্সিডিলসেবি এটা ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। অধ্যক্ষ সাহেব জেনেও না জানার ভান করেন।
একটা কথা এভাবে কেউ বলতে পারেন 'শিক্ষক ডাইল খাক আর যাই খাক, এটা তার তার পারসোনাল ব্যাপার। '
এটা হলেও হয়তো আমার লেখার কোন ব্যাপার থাকতো না। অনেক শিক্ষক নেশা করেই ক্লাসে আসে। এবং এমনো বলে নেশা না করলে সে পড়ানোর ফিলিংস পায় না। কথাগুলো শুনেছিলাম বন্ধু প্রতিম কিছু জুনিয়র শিক্ষকের কাছে।
একবার চিন্তা করলাম হয়তো আমার এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে এই প্রবণতা বেশি। কিন্তু ঘটনা মনে হয় সত্য নয়। আমি বেশ কিছু বন্ধু যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে তাদের কাছে একটা আবছা ধারনা নেয়ার চেষ্টা করেছি। না ঠিক আছে। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় এই প্রবণতা বেশি।
আর এটা বৃদ্ধি পাওয়ার কারন শুরুতেই অনৈতিকতা। মফস্বল এলাকার স্কুল কলেজ গুলোতে শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয় বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে।
কিছু কিছু ব্যপার এখন পরগাছা হয়ে আমাদের সমাজে এমন ভাবে বসে গেছে যে আমাদের গণপ্রতিনিধিরাও নিজেদের ভোট হারানোর ভয়ে এইসবের বিরুদ্ধে একশন নিতে যায় না।
আমাদের দেশের এক শ্রেণির গণপ্রতিনিধিদের কাছে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে অর্থের লেনদেনই নয় তোষামোদীও করতে হয়।
যাই হোক আমার মুল বক্তব্য হচ্ছে 'শিক্ষকদের অবশ্যই নেশ থেকে দূরে থাকতে হবে, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে'
যেহেতু শিক্ষকরাই শিক্ষকদের আদর্শ সেহেতু শিক্ষক যদি নৈতিকতা বিরোধী কাজ করে তাহলে শিক্ষার্থীরাও সেই কাজে লিপ্ত হবে।
ছাত্র শিক্ষক ডাইল খায়- এই ভয়াবহ অপসংস্কৃতি রোধ করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।