রিয়াজ রিপন অনেক অনেক আগের কথা। কিছু শিক্ষেকের কথা আমরা জানি। এসব শিক্ষক সবসময় কীভাবে ছাত্রদের উপকার হয় সে চিন্তায় অস্থির থাকতেন। তারা কোন শিক্ষক রাজনীতি করতেন না। ভিসি হওয়ার জন্য তারা কোথাও দৌঁড়ঝাপ করতেন না।
তারা স্রেফ ছাত্রদের জ্ঞানদান করেন তৃপ্ত হতেন। এসব নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের জন্যই মূলত শিক্ষকদের অবস্থান এত উপরে। এসব কারণেই সম্ভবত শিক্ষকদের এখনো বলা হয় দ্বিতীয় গার্জিয়ান।
এখনো শিক্ষকদের দ্বিতীয় গার্জিয়ান বলা হলেও এখন কিন্তু উল্লিখিত শিক্ষকদের মতো শিক্ষকদের বড়ই আকাল। এখন শিক্ষকরা শ্রেনীকক্ষ পছন্দ করেন না।
তারা ভিসি-প্রোভিসি-প্রক্টর-রেজিস্ট্রার-শিক্ষক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হতে মরিয়া। একারণে তাই এসব শিক্ষক সারাদিন পলিটিক্স (রাজনীতি নয়) করেন। ছাত্রদের সঙ্গে তাই এদের কোন সম্পর্কই থাকে না
তবে একেবারেই যে ছাত্রদের সঙ্গে এসব শিক্ষকদের সম্পর্ক থাকে না তা নয়। এসব শিক্ষক অবশ্য কিছু ছাত্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখেন। এসব ছাত্র সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের (বিএনপির সময় ছাত্রদল আওয়ামী লীগের সময ছাত্রলীগ) নেতা-পাতি নেতা।
এদের হাতে রাখতে পারলে দ্রুত ভিসি-প্রোভিসি-প্রক্টর-রেজিস্ট্রার-শিক্ষক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হওয়া যায়।
প্রশ্ন হলো যেসব শিক্ষক নৈতিকভাবে এত দেউলিয়া তারা ছাত্রদের কী শেখাবে বা ছাত্ররা তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে কতটুকু উপকৃত হবে? একারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ভাল ছাত্র বের হলেও (শিক্ষকরা কাছের ছাত্রদের বেশি নম্বর দেন!!!) ভাল মানুষের সংখ্যা কিন্তু দিনদিন কমছেই।
কদিন আগে ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, এখন বুয়েটের শিক্ষকদের অবস্থা এমন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।