আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বাসভবনে সরকার দলীয় ক্যাডারদের নগ্ন হামলা!

আমি একজন সহজ সরল মানুষ।

---- নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সরকার দলীয় ক্যাডাররা স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। এ সময় বাসভবনের বাইরে ও ভেতরে ব্যপক ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় পৌর এলাকায় পুনরায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল হাতিয়া ইউপি নির্বাচনে চরকিং ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী গ্রুপের আবদুল আলিম আজাদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ'র সমর্থকদের মধ্যে রোববার সংঘর্ষ হয়। প্রথম দফার সংঘর্ষ হয় ফজলুল আজিম এমপির বাসার সামনে। পরে রাতে উপজেলা চত্বরে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে পৌর মেয়র ইউছুফ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হাসানসহ ১৫ জন আহত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। আজ সকাল ৮টায় ১৪৪ ধারার সময় শেষ হলে পুনরায় মোহাম্মদ আলী গ্রুপের লোকজন জড়ো হয় উপজেলা সদর ওছখালী বাজারে। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা হাতিয়া থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলার সময় হাতিয়া থানা পুলিশ এমপির বাসভবনের পাশে থাকলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার সময় এমপি বাসায় থাকলেও তিনি অক্ষত রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার পর পৌর এলাকায় পুনরায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। হাতিয়া থানার ওসি সুভাস চন্দ্র পাল জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। sheershanews


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।