Not for sale
বেশ কিছুদিন আগে জয়নাল হাজারি সুন্দরবনের হরিণ রক্ষার্থে সকল বাঘ মেরে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিল। (অন্য সব দুঃষ্কর্ম বাদ দিলেও এই বক্তব্য থেকেই তাকে কিছুটা চিনে নেয়া যায়)। তার সেই স্বপ্ন বোধহয় সত্যি হতে চলেছে। কারন বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্যিকভাবে খামারে হরিণ পালনের জন্য সুন্দরবন থেকে কয়েক হাজার হরিণ তুলে নেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজের জন্য আইন পাশ করা হয়েছে এবং পুরো ব্যাপারটি ঘটানো হয়েছে যথেষ্ট গোপনীয়তার সাথে।
সু্ন্দরবনের হরিণ আমাদের অহংকার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র খাবার। খাবার সংকটের কারনে প্রায়ই বাঘগুলোকে লোকালয়ে হামলা চালাতে দেখা যায়। এতে মানুষ ও গবাদি পশু ছাড়াও প্রতি বছর বেশ কিছু বাঘ নিহত হয়। বন থেকে হরিণ তুলে নিলে বাঘ আরো বেশি খাদ্য সংকটে পড়বে। যার ফলে বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে এমনি সুন্দরবন থেকে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
যে কোন প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান দীর্ঘদিনের পারষ্পরিক নির্ভরশীলঅতার উপর টিকে থাকে। ফলে যেকোন বাস্তুসংস্থানের প্রতিটি উপাদানই সেখানকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর যেকোন একটি উপাদান ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার প্রভাব পুরো বাস্তুসংস্থানের উপর পড়ে। কোন এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার সবচেয়ে ভাল উপায় যে যেভাবে আছে তাকে সেভাবেই থাকতে দেয়া, অস্বাভাবিক কোন কিছু সৃষ্টি না করা।
দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এবছরটিকে অর্থাৎ ২০১১ সালকে জাতিসংঘকর্তৃক বন বর্ষ হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে বনবর্ষ উপলক্ষে বনভুমি এর পরিবেশ রক্ষার্থে সেসব দেশের সরকারের পক্ষ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
অথচ আমাদের দেশে ঠিক উল্টো ঘটনাটাই ঘটছে।
এছাড়াও সরকার মংলা বন্দর থেকে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে রেল লাইন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত করে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ব্যঘাত ঘটবে। এর ফলে সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার অশঙ্কা রয়েছে। যেমটা হয়েছে লাউয়াছড়ার বনে।
সেখানে বনের ভিতর দিয়ে রেল লাইন তৈরি করায় বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে।
আমরা সুন্দরবন থেকে হরিণ আহরনের এই ঘৃন্য, ন্যাক্কারজনক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হচ্ছে নিচের এই লিংক। এখানে সাইন করে আন্দোলনকে বেগবান করুন।
Click This Link
ফেসবুক গ্রূপ:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।