আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাগো বীর-বাঙ্গালী, রুখে দাঁড়াও। বাংলা মা‘কে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে

আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি, আমি ভালোবাসতে পারি, মায়ের মুখের জন্য ছিনিয়ে আনতে পারি হাসি, আমি ছিনিয়ে আনতে পারি মানচিএ, গড়তে পারি দেশ। যদিও বা আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি। ছুঁয়ে দেখো আমায়; আমি অগোছালো শব্দের কুন্ডলি, আমি ভালোবাসতে পারি। । আমরা যারা প্রবাসে থাকি কিংবা দেশের অভ্যন্তরে থাকা অক্লান্ত পরিশ্রমী কর্মজীবি যারা সরকার কে কর্ দেই অথবা রেমিটেন্স পাঠাই দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখি।

যাদের অর্থে দেশের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, আমলা, সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারি দামি দামি গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়ান, তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছেন কিংবা বিদেশে বসবাসরত। তাদের উদ্দেশ্যেই আজ আমার কিছূ কথা। আমাদের এই অর্থে আজকের চৌকস সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী (এস.এস.এফ, ডি.জি.এফ.আই, এন.এস.আই, র‌্যাব (র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন), ডিবি, সি.আই.ডি)। ত তা আমাদের সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সুনাম সারা বিশ্বজুড়ে, জাতিসংঘে। জাতিসংঘে কর্মরত সেনাবাহিনী অন্যের দেশ গঠনে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন, বাহ্ববা কুড়াচ্ছেন যথেষ্ট।

যখন নিজের দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা আজ প্রশ্নবিদ্ধ তখন আপনারা আমাদের টাকায় কেনা দামি কালো সানগ্লাস পড়ে, পকেটে হাত ঢুকিয়ে মজা দেখছেন। আমরা এই জন্য কি কর্ দেই, আমরা এই জন্য কি রেমিটেন্স পাঠাই? আজ আমাদের সামান্য, নূন্যতম নিরাপত্তাটুকু আপনারা দিতে পারেন না । আপনারা জনগনের চাকর এই কথাটি কি মনে করিয়ে দিতে হয়? ভুলে যান আমাদের টাকায় আপনাদের সংসারের দু'মুঠো অন্ন জুটে? আজ আমার সবার কাছে এবং নিজের কাছে প্রশ্নঃ আমরা কি এতো এতো অর্থ ব্যয় করে একদল রাম-ছাগল পুষছি ? রাম-ছাগলও দুধ দেয়। আপনারা কি দিলেন জাতিকে ? কোথায় ছিলেন আমাদের রাম-ছাগলেরা ? যারা এতোটুকু তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনা সাধারন জনগণের। কেন ওই রাজাকারদের সংগঠন জামাত-শিবিরদের তান্ডবের কোন আগাম তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি? তাদের কাছে কি কোন তথ্য ছিলোনা কিংবা কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি ? যদি তাদের কাছে তথ্যই থাকবে; কেন তবে আমাদের পবিত্র ধর্মশালা মসজিদের ভেতর আগুন দিলো ওই জামাত শিবির, কেন তবে ওই জামাত শিবির আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে আগুন দিলো, কেন তবে ওই জামাত শিবির হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে আগুন দিলো? কিভাবে দিলো ? কেন আগাম ব্যবস্হা নিয়ে নিরাপত্তা দেয়া হলোনা? কেন আজ সাধারন মানুষ নিরাপত্তাহীন? কার ইশারায় আপনারা নিশ্চুপ ছিলেন ? ওই জামাত-শিবির খারাপ, ঘৃন্য পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট তা আমরা আপামোর বাংলার জনতা সবাই জানি।

নিজের দেশের সম্পদ নষ্ট হতে দিয়ে, শত শত পরিবার কে ভূমিহীন করে, কাঁদিয়ে এটা কি বর্হিবিশ্বে দেখানো বড়ই জরুরি ছিলো ? একজন বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই অনেক দু্ঃখে নিম্নক্ত কবিতাটি তার ফেইসবুক দেয়ালে পোস্ট করেছিলেনঃ "হিন্দু তুমি? তোমার নিবাস গুঁড়িয়ে দেবো সুযোগ পেলেই তোমার বাড়ি পুড়িয়ে দেবো। তুমি হচ্ছো সংখ্যা লঘু, বুঝলে কী না? রক্তে দু’হাত ক্যাম্নে রাঙাই তোমায় বিনা! তুমি হচ্ছো রাজনীতিতে দাবার গুটি ক্ষুদ্র মৎস্য, ক্ষমতাহীন, চুনোপুটি। অমর্যাদা করবো তোমায় পদে পদে যতোই কাঁদো অরক্ষিত জনপদে— রক্ষা তোমায় করবে না কেউ, পালাও তুমি হিন্দু তুমি, এ নয় তোমার জন্মভূমি! জন্ম নিলেই হয় না স্বদেশ, বুঝলে দাদা? ভোট-বাজারে তোমরা গরু তোমরা গাধা। জন্ম নিলেই হয় না স্বদেশ, বুঝলে দিদি? তোমার ভোটেই জেতে আমার প্রতিনিধি। আমার দলেও হিন্দু আছে দু’তিনখানা আচরণে ওরা সবাই শুকরছানা।

হিন্দু মেরে সাফ করে দেই তবুও ওরা দেখতে পায় না। চোক্ষে ওদের ঠুলি পোরা। প্রতিবাদ তো দূরের কথা কয় না কিছু" একদল কোট-স্যুট পড়া কিংবা ভদ্রলোক- ভদ্রমহিলা লেবাসি সর্বদাই মুখর, মিষ্টি মিষ্টি ভাষায় অনেক নীতিবাক্য বলেন; আসলে এরা সবগুলো পা চাটা নেরিকুত্তার দল। জাতির প্রয়োজনে কখনো কোন কাজে লাগেনি বরং চুরি, ঘুষ, কর্ ফাঁকি, সরকারি সম্পদ লুটপাট সহ সবধরনের অপকর্মে লিপ্ত সদা সর্বদাই। এরা আমাদের সমাজের, সরকারের সবখানেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরা-উপশিরায় ঢুঁকে ক্রমশ কামরাচ্ছে।

তারা কি রাজাকারের নামের খাতায় পড়ে না ? আমি বলিঃ তোরাও রাজাকার। আমি এসকল শ্রেনীর পশুদের ধিক্কার জানাই, ঘৃনা করি। তোদেরকেও ধ্বংস করবো আমরা । সমাজের রন্ধ্র রন্ধ্র, শিরা-উপশিরা থেকে তোদের খুঁজে বের করবো আমরা। ৪২ বছর জাতি চুপ করে থাকলেও আর নয়।

একবার মানচিত্র ছিঁনিয়ে এঁনেছি এবার বাংলা মা'কে কলঙ্কমুক্ত করবো ইন্ শা'আল্লাহ। আমাদের বিদ্রোহী কবি, জাতীয় কবির সুরে ডাকছি সবাইকে - "কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান - হাঁকিছে ভবিষ্যত, এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার!! তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান! যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান! ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান, ইহাদের পথে, নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার!! অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ, কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ! “হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র!" জয় বাংলা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.