আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের ডালে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা.....


রংপুরের পীরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মোকলেছার হত্যা মামলার তিন বছর পর দিত্বীয় দফায় রংপুর জোনের সিআইডি গত ২৭ এপ্রিল আদালতে চার্জসিট দাখিল করেছে। রহস্যজনক কারণে ওই হত্যার মামলার হুকুম দাতা আসামী চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের নাম বাদ দিয়ে পীরগঞ্জ থানার এসআই রেজাউল করিম ১৯ মার্চ ২০০৯ তারিখে চার্জসিট দাখিল করলে মামলার বাদিনী নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম আপত্তি জানালে ১৫ আগস্ট ২০০৯ রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই পিটিশন মঞ্জুর করে সিআইডির উপর সূষ্ঠ তদন্তের ভার দেয়। অবশেষে সিআইডি তদন্তে চেয়ারম্যান হাফিজারের সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। ঘটনায় প্রকাশ,২০০৮ সালের মে মাসের ৬ তারিখ দুপুরে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে উপজেলার ৭নং বড় আলমপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের হুকুমে তার সাংগ-পাঙ্গ হোসেনপুর গ্রামের মৃতঃ খেতাব উদ্দিনের পুত্র মোকলেছার রহমান (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের ডালে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মর্মে ১১ জন কে আসামী করে থানায় মামলা হয়। মামলার বাদিনী ফাতেমা বেগম স্বামী হত্যা সুবিচার পাবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।

তিনি বিভিন্ন মহলের কাছে অভিযোগে জানান, ১০ মাস অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলার চার্জসিট প্রদান না করে প্রভাবশালী আসামী ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানসহ আরো অনেকের যোগসাজসে হত্যা মামলাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এ বিষয়ে গত ১৯ মার্চ ২০০৯ এ দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশের উর্ধক্ষতন কর্তৃপ দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই দিনেই রহস্যজনক কারণে হুকুম দাতা আসামী চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের নাম বাদ দিয়ে চার্জসিট দাখিল করে। এ বিষয়ে মামলার বাদিনী এক সাাৎকারে জানান, মামলা দায়েরের সময়ও পুলিশ চেয়ারম্যান হাফিজার রহমানের নাম অন্তর্ভক্ত করায় মামলা রুজু করতে নানা তালবাহানা করে। তারই ধারাবাহিকতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রেজাউল করিম কেবল মাত্র হাফিজার রহমানের নাম বাদ দিয়ে এবং তাকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য লিখে চার্জসিট দাখিল করে।

এদিকে এ বিষয়েও গত ৫ এপ্রিল২০০৯ এ যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বাদিনী ওই চার্জসিটের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন করে। প্রায় ৬ মাস পর ১৫ আগস্ট ২০০৯ এ রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই পিটিশন মঞ্জুর করে সিআইডির উপর সূষ্ঠ তদন্তের ভার দেয়। পুনরায় নিহতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন, ফরসেনিক টেস্টসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে। তদন্ত শেষে গত ২৭ এপ্রিল হুকুমদাতা আসামী চেয়ারম্যান হাফিজারসহ ১০ জন কে আসামী করে রংপুর জোনের সিআইডি এর এসআই মো. আজিজুল ইসলাম ওই চার্জসিট দাখিল করে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.